শ্রেষ্ঠ কবি ইমরুল কায়েস
শ্রেষ্ঠ কবি ইমরুল কায়েস
জাকিরুল চৌধুরী
ইমরুল কায়েস হলেন আরবি ভাষার উল্লেখযোগ্য ও শ্রেষ্ঠ কবিন। তার প্রকৃত নাম আবু হারিস হুনদুজ ইবনে হুজর আল কিন্দি৷ তিনি ইমরুল কায়েস নামে খ্যাত। তিনি আরবের নাজদ এলাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। কবিতা গান আর সুরা (মদ) এই নিয়ে ছিল তার জীবন। ঘরের চেয়ে বাইরের দিকে টান ছিল তার বেশি। তাই তিনি ভবঘুরে যুবরাজ নামে পরিচিত ছিলেন। শৈশবে অতি আদর যত্নে প্রতিপালিত হন।যৌবনে পদার্পন করে ছিল ভবঘুরে যুবকের সাহচর্যে জীবন যাপনের অভ্যস্থ হয়ে পড়েন। তার পিতা তাকে এজন্য তিরস্কার করেন। পিতার আদেশ অমান্য করায় পিতা তার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন। এভাবে নাচগান ও পানাহারে যখন তিনি মগ্ন তখন পিতার মর্মাতান্তিক মৃত্যুর খবর তার কাছে পৌঁছে। পিতার মৃত্যুর সংবাদে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত হন পিতার মৃত্যুর প্রতিশোধ না নেওয়ার পর্যন্ত গোশত ও শরাব মোটেও স্বর্শ না করার এবং মাথায় তেল না দেওয়ার শপথ করেন। প্রতিশ্রুতি রক্ষায় তিনি খুবই অটল ছিলেন বলে তাকে ইমরুল কায়েস বলা হয়। আরবি সাহিত্যের সমালোচকরা এ ব্যাপারে একমত যে আরবি সাহিত্য ইমরুল কায়েসের বিকল্প আসেনি। ষষ্ঠ শতাব্দীর প্রথম দিকে তার কাব্যচর্চার ব্যাপক প্রসার ঘটে। সাহিত্য সমালোচকানের মতে আরবি সাহিত্যের এ কবি হাতে গোনা কয়েকটি বিষয়ে নিজের কবিতাকে সীমিত রাখেন। আরবীয় মরুভূমি, উট, ঘোড়া আর প্রেমিকা উনাইজা ই মৌলিক বিষয়। পারস্য সম্রাট জাস্টিনিয়ানের ষড়যন্ত্রের ফলে কবি বিষযুক্ত বর্ম পরলে সমস্ত শরীর দগদগে ঘায়ে ভরে যায়। এর ফলে আরব কবিকুল সম্রাট আংকারার ৫৩০ ও ৫৪০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন।
জাকিরুল চৌধুরী
ইমরুল কায়েস হলেন আরবি ভাষার উল্লেখযোগ্য ও শ্রেষ্ঠ কবিন। তার প্রকৃত নাম আবু হারিস হুনদুজ ইবনে হুজর আল কিন্দি৷ তিনি ইমরুল কায়েস নামে খ্যাত। তিনি আরবের নাজদ এলাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। কবিতা গান আর সুরা (মদ) এই নিয়ে ছিল তার জীবন। ঘরের চেয়ে বাইরের দিকে টান ছিল তার বেশি। তাই তিনি ভবঘুরে যুবরাজ নামে পরিচিত ছিলেন। শৈশবে অতি আদর যত্নে প্রতিপালিত হন।যৌবনে পদার্পন করে ছিল ভবঘুরে যুবকের সাহচর্যে জীবন যাপনের অভ্যস্থ হয়ে পড়েন। তার পিতা তাকে এজন্য তিরস্কার করেন। পিতার আদেশ অমান্য করায় পিতা তার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন। এভাবে নাচগান ও পানাহারে যখন তিনি মগ্ন তখন পিতার মর্মাতান্তিক মৃত্যুর খবর তার কাছে পৌঁছে। পিতার মৃত্যুর সংবাদে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত হন পিতার মৃত্যুর প্রতিশোধ না নেওয়ার পর্যন্ত গোশত ও শরাব মোটেও স্বর্শ না করার এবং মাথায় তেল না দেওয়ার শপথ করেন। প্রতিশ্রুতি রক্ষায় তিনি খুবই অটল ছিলেন বলে তাকে ইমরুল কায়েস বলা হয়। আরবি সাহিত্যের সমালোচকরা এ ব্যাপারে একমত যে আরবি সাহিত্য ইমরুল কায়েসের বিকল্প আসেনি। ষষ্ঠ শতাব্দীর প্রথম দিকে তার কাব্যচর্চার ব্যাপক প্রসার ঘটে। সাহিত্য সমালোচকানের মতে আরবি সাহিত্যের এ কবি হাতে গোনা কয়েকটি বিষয়ে নিজের কবিতাকে সীমিত রাখেন। আরবীয় মরুভূমি, উট, ঘোড়া আর প্রেমিকা উনাইজা ই মৌলিক বিষয়। পারস্য সম্রাট জাস্টিনিয়ানের ষড়যন্ত্রের ফলে কবি বিষযুক্ত বর্ম পরলে সমস্ত শরীর দগদগে ঘায়ে ভরে যায়। এর ফলে আরব কবিকুল সম্রাট আংকারার ৫৩০ ও ৫৪০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
উবায়দুল্লাহ ফারুক ১২/০১/২০২২সুন্দর লিখেছেন
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ১২/০১/২০২২সুন্দর বিষয় জানতে পারলাম। ধন্যবাদ রইল।
-
ফয়জুল মহী ১১/০১/২০২২Jana holo
-
তালাল উদ্দিন ১১/০১/২০২২ইমরুল কায়েস সম্পর্কে নতুন কিছু জেনে অনেক ভালো লাগলো।