এ শিকল ভাঙ্গবে কবে
ক্ষমতার লোভে,অহংকারে জ্বালানো অশান্তির আগুন জ্বালিয়েছে দুনিয়াটাকে গোলাম করা বিশ্ব-বর্বরতার প্রতিনিধি,ধারক-পোষক আর নায়ক সেই শক্তিশালী বিশাল দানব । দাউ দাউ করে জ্বলছে সেই অগ্নি চর্তুদিকে—
দরজা-জানালা ক্রমশ বন্ধ হয়ে আসছে । অন্যায়ের বিরুদ্ধে , ধ্বংসের বিরুদ্ধে, বে-লাগাম অসভ্যতার বিরুদ্ধে, রক্তক্ষয়ী স্থায়ী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সমাজের সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ ঝিমিয়ে পড়েছে । রাজনীতির এ দল, সে দল যারা “আমরা-ওরা”য় বিভক্ত –তাদের নিজেদের গায়ে আচড় পড়লে মারমুখী মিছিল বের করে । কিন্তু সমাজ “সাইলেন্ট মেজরিটির” ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় । অবাক হয়ে ধ্বংসাত্বক কান্ড দেখেও না দেখার ভান নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে । অথবা কেউ কেউ বড়জোর রকে,চায়ের দোকানে,আড্ডায় কিছুক্ষণ মেতে ওঠে । তারপর নিঃশব্দের অভ্যাসে হেলান দিয়ে দৈনন্দিনতায় ভাসতে থাকে । পরিস্থিতি এরকম হবার কথা নয় । বছর কয়েক আগেও বিবেক আর তারুণ্য কোথাও কোন অঘটন ঘটলেই মাঠে ময়দানে ঝড় তুলতো,জড়ো হয়ে কন্ঠে ধ্বিক্কারের ধ্বনি জুড়ে দিতো । উদাহরণ হিসেবে বলতেই পারি রাজাকার আলবদরদের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল শাহবাগের কথা । আজ যেভাবে দেশে-বিদেশে ধর্মের নামে,রাজনীতির নামে,ক্ষমতা দখলের নামে নিরন্তন সভ্যতার গায়ে অসভ্যতার থাবা পড়ছে আর এসব অন্যায়কে বৃহত্তর সমাজ তাদের ক্ষোভ আর আক্রোশ কে অনায়াসেই হজম করছে । নিকটত্ম অতীতেও কখনো এরকম দেখা যায় নি । এই নিস্তেজ ,এই গড়িমসির কারন কি?
হতাশ, চিন্তার অবসাদ?
নাকি সংঘবদ্ধ হিংসায় আক্রান্ত হবার ভয় ।
আসলেই আমাদের ভয়টা কোথায়?
অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার নাকি ন্যায়ের পক্ষে মাথা তুলে দাঁড়াবার । নাকি ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মুখে কুলুপ এঁটে অন্যায় কে প্রশ্রয় দেয়ার রীতিকে । যে রীতি আদিকাল হতে আমাদের ঘাড়ে বসে আছে সমাজপতিদের সাজানো নিয়ম হয়ে । কবে মুক্ত হবো আমরা সেই মিথ্যার আর অসত্য নিয়মের বেড়াজাল থেকে ।
আমরা কবে বলতে শিখবো ?
শত অন্যায় হজম করতে করতে আজ আমরা একটি বোবা জাতিতে পরিনত হচ্ছি । আমাদের মুখের ভাষা ফিরিয়ে আনতে হবে । যা অন্যায় ,অসত্য তার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে । আপনি ভাবছেন আপনি একা বললেই সব সমাধান হয়ে যাবে নাকি?
আসলে তা নয় ,শুধু আপনি একা বললেই সব সমাধান হবে না বা সমাধান আসবে না । তবে আপনার বলার কারনে আরো দশজন কথা বলার ,আপনার পাশে দাড়াবার ,অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা তুলবার সাহস পাবে, আর সেই স্বঞ্চারিত সাহস আর কন্ঠের শক্তি নিয়ে সামনে এগিয়ে আসবে ।
কবে জেগে উঠবে আমাদের বিবেক ,চিন্তা-চেতনা,মনুষ্যত্ব । সমাজপতিদের চাপিয়ে দেয়া শত শত অন্যায়,অ-বিচার আরো কতো জনম হজমের জড়িবুটি গিলে একে একে হজম করতে থাকবো আমরা । একটি বারও কি অন্যায় কে অন্যায় আখ্যায়িত করে কন্ঠের স্বর নিচু থেকে উচুতে তুলবো না ?
আমাদের স্বর উচু করতেই হবে সমাজপতিদের চাপিয়ে দেয়া অন্যায়,অ-ন্যায্য সিদ্ধান্তের প্রতি,জুলুমের বিরুদ্ধে । দীর্ঘদিনের চাপিয়ে দেয়া অন্যায়ের হাতকড়া, পায়ের শিকল ভাঙ্গতেই হবে আমাদের । আঘাতে আঘাতে চুরমার করতে হবে অন্যায়ের সকল দেয়াল ।
কেননা অন্যায় দেয়ালের ওপাড়ে ন্যায়ের সূর্য তার দীপ্তি ছড়াতে ব্যাকুল । যে ন্যায়ের আলোয় আলোকিত হবে গোটা দেশ,সমাজ,গোটা জাতি । এ অন্যায়ের শিকল আমাদের ভাঙ্গতেই হবে ভাঙ্গতেই হবে ।
এসব প্রশ্ন তুললাম এই জন্য যে, আমরা বেঁচে আছি , আমরা ভাবছি, আমরা সাহস হারাই নি । ঘা-ঘোর নির্বিশেষের “আমরা” কে দ্রুত,আরো দ্রুত জাগিয়ে তোলার আজান ফুঁকতে হবে । লাউড স্পীকারে নয় । অন্ধকার আর স্তব্ধতার সীমা আছে । তারা চুপ করে আসে ,ভাঙচুর কে,ভাঙ্গন কে প্রশ্রয় দেয় । আধারে দৈত্যর সঙ্গী হয় । কিন্তু প্রভাতের আলো কিংবা মশাল যখন জ্বলে ওঠে তখন ওরা, আর দৈত্যরা ভয় পায় । আমারা ঐ ভয় প্রতিদিন রাস্তায়,সমাবেশে,গৃহকোণে জাগিয়ে রাখি আসুন ।
দরজা-জানালা ক্রমশ বন্ধ হয়ে আসছে । অন্যায়ের বিরুদ্ধে , ধ্বংসের বিরুদ্ধে, বে-লাগাম অসভ্যতার বিরুদ্ধে, রক্তক্ষয়ী স্থায়ী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সমাজের সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ ঝিমিয়ে পড়েছে । রাজনীতির এ দল, সে দল যারা “আমরা-ওরা”য় বিভক্ত –তাদের নিজেদের গায়ে আচড় পড়লে মারমুখী মিছিল বের করে । কিন্তু সমাজ “সাইলেন্ট মেজরিটির” ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় । অবাক হয়ে ধ্বংসাত্বক কান্ড দেখেও না দেখার ভান নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে । অথবা কেউ কেউ বড়জোর রকে,চায়ের দোকানে,আড্ডায় কিছুক্ষণ মেতে ওঠে । তারপর নিঃশব্দের অভ্যাসে হেলান দিয়ে দৈনন্দিনতায় ভাসতে থাকে । পরিস্থিতি এরকম হবার কথা নয় । বছর কয়েক আগেও বিবেক আর তারুণ্য কোথাও কোন অঘটন ঘটলেই মাঠে ময়দানে ঝড় তুলতো,জড়ো হয়ে কন্ঠে ধ্বিক্কারের ধ্বনি জুড়ে দিতো । উদাহরণ হিসেবে বলতেই পারি রাজাকার আলবদরদের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল শাহবাগের কথা । আজ যেভাবে দেশে-বিদেশে ধর্মের নামে,রাজনীতির নামে,ক্ষমতা দখলের নামে নিরন্তন সভ্যতার গায়ে অসভ্যতার থাবা পড়ছে আর এসব অন্যায়কে বৃহত্তর সমাজ তাদের ক্ষোভ আর আক্রোশ কে অনায়াসেই হজম করছে । নিকটত্ম অতীতেও কখনো এরকম দেখা যায় নি । এই নিস্তেজ ,এই গড়িমসির কারন কি?
হতাশ, চিন্তার অবসাদ?
নাকি সংঘবদ্ধ হিংসায় আক্রান্ত হবার ভয় ।
আসলেই আমাদের ভয়টা কোথায়?
অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার নাকি ন্যায়ের পক্ষে মাথা তুলে দাঁড়াবার । নাকি ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মুখে কুলুপ এঁটে অন্যায় কে প্রশ্রয় দেয়ার রীতিকে । যে রীতি আদিকাল হতে আমাদের ঘাড়ে বসে আছে সমাজপতিদের সাজানো নিয়ম হয়ে । কবে মুক্ত হবো আমরা সেই মিথ্যার আর অসত্য নিয়মের বেড়াজাল থেকে ।
আমরা কবে বলতে শিখবো ?
শত অন্যায় হজম করতে করতে আজ আমরা একটি বোবা জাতিতে পরিনত হচ্ছি । আমাদের মুখের ভাষা ফিরিয়ে আনতে হবে । যা অন্যায় ,অসত্য তার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে । আপনি ভাবছেন আপনি একা বললেই সব সমাধান হয়ে যাবে নাকি?
আসলে তা নয় ,শুধু আপনি একা বললেই সব সমাধান হবে না বা সমাধান আসবে না । তবে আপনার বলার কারনে আরো দশজন কথা বলার ,আপনার পাশে দাড়াবার ,অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা তুলবার সাহস পাবে, আর সেই স্বঞ্চারিত সাহস আর কন্ঠের শক্তি নিয়ে সামনে এগিয়ে আসবে ।
কবে জেগে উঠবে আমাদের বিবেক ,চিন্তা-চেতনা,মনুষ্যত্ব । সমাজপতিদের চাপিয়ে দেয়া শত শত অন্যায়,অ-বিচার আরো কতো জনম হজমের জড়িবুটি গিলে একে একে হজম করতে থাকবো আমরা । একটি বারও কি অন্যায় কে অন্যায় আখ্যায়িত করে কন্ঠের স্বর নিচু থেকে উচুতে তুলবো না ?
আমাদের স্বর উচু করতেই হবে সমাজপতিদের চাপিয়ে দেয়া অন্যায়,অ-ন্যায্য সিদ্ধান্তের প্রতি,জুলুমের বিরুদ্ধে । দীর্ঘদিনের চাপিয়ে দেয়া অন্যায়ের হাতকড়া, পায়ের শিকল ভাঙ্গতেই হবে আমাদের । আঘাতে আঘাতে চুরমার করতে হবে অন্যায়ের সকল দেয়াল ।
কেননা অন্যায় দেয়ালের ওপাড়ে ন্যায়ের সূর্য তার দীপ্তি ছড়াতে ব্যাকুল । যে ন্যায়ের আলোয় আলোকিত হবে গোটা দেশ,সমাজ,গোটা জাতি । এ অন্যায়ের শিকল আমাদের ভাঙ্গতেই হবে ভাঙ্গতেই হবে ।
এসব প্রশ্ন তুললাম এই জন্য যে, আমরা বেঁচে আছি , আমরা ভাবছি, আমরা সাহস হারাই নি । ঘা-ঘোর নির্বিশেষের “আমরা” কে দ্রুত,আরো দ্রুত জাগিয়ে তোলার আজান ফুঁকতে হবে । লাউড স্পীকারে নয় । অন্ধকার আর স্তব্ধতার সীমা আছে । তারা চুপ করে আসে ,ভাঙচুর কে,ভাঙ্গন কে প্রশ্রয় দেয় । আধারে দৈত্যর সঙ্গী হয় । কিন্তু প্রভাতের আলো কিংবা মশাল যখন জ্বলে ওঠে তখন ওরা, আর দৈত্যরা ভয় পায় । আমারা ঐ ভয় প্রতিদিন রাস্তায়,সমাবেশে,গৃহকোণে জাগিয়ে রাখি আসুন ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নাজিম খান ০৪/০৫/২০২১বাহ!
-
Biswanath Banerjee ২৮/০১/২০২১wonderful
-
ফয়জুল মহী ২৭/০১/২০২১Good post