বিশুদ্ধ পিছুটান
জানো,ভাসমান মেঘের কোনো নাম হয়না,ঝরে পড়া বৃষ্টিরও।
তেমনি আমিও পাতাহীন শিমুলের ফুল অথবা আরতিতে শঙ্খের সুর
কিম্বা পৃথিবীর চোখে মাংসের কঙ্কাল।
জয়িতা,শরতের পাতলা মেঘে মেঘে সাদা বকের সাঁতার কাটার স্বপ্ন
আজ কেবলি ধানসিঁড়ির মতো দৃষ্টির ভূল।
গোধূলীর বাতায়নে ঘরহীন রাখালের বাঁশির সুর
পাখির ডানায় একে দেয় জীবনের প্রতিচ্ছবি।
মাছের চোখের মতোই বাদাম চিবানো মৃত বিকেল
দীর্ঘশ্বাসের নদীতে বেওয়ারিশ লাশের নামান্তর।
নিশাচর পাখির মতো কাঠ ঠোকরা মন নিয়ে
হয়তো মুখবুকে রাতভর জেগে থাকো অন্য জোছনায়।
আমার আকাশে হাসে নর্তকী চাঁদ
ফসকা পোড়া সময়ে মুক্তি চায় জল বসন্ত দিন
বাস্তবতার সংসারে কল্পনাকে তালাক দিছি
তবু কেন জানি পিছু ডাকে পতিতা হৃদয়
কবি, তুমি মুক্তি চাও?
বুকে প্রেম পুষে মুক্তি হয় কি কখনো?
তেমনি আমিও পাতাহীন শিমুলের ফুল অথবা আরতিতে শঙ্খের সুর
কিম্বা পৃথিবীর চোখে মাংসের কঙ্কাল।
জয়িতা,শরতের পাতলা মেঘে মেঘে সাদা বকের সাঁতার কাটার স্বপ্ন
আজ কেবলি ধানসিঁড়ির মতো দৃষ্টির ভূল।
গোধূলীর বাতায়নে ঘরহীন রাখালের বাঁশির সুর
পাখির ডানায় একে দেয় জীবনের প্রতিচ্ছবি।
মাছের চোখের মতোই বাদাম চিবানো মৃত বিকেল
দীর্ঘশ্বাসের নদীতে বেওয়ারিশ লাশের নামান্তর।
নিশাচর পাখির মতো কাঠ ঠোকরা মন নিয়ে
হয়তো মুখবুকে রাতভর জেগে থাকো অন্য জোছনায়।
আমার আকাশে হাসে নর্তকী চাঁদ
ফসকা পোড়া সময়ে মুক্তি চায় জল বসন্ত দিন
বাস্তবতার সংসারে কল্পনাকে তালাক দিছি
তবু কেন জানি পিছু ডাকে পতিতা হৃদয়
কবি, তুমি মুক্তি চাও?
বুকে প্রেম পুষে মুক্তি হয় কি কখনো?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সূর্য্যিন্দুদীপ রাজ ০৬/০৪/২০১৭দারুণ ভালো লাগল
-
খন্দকার সাকিব ০৫/০৪/২০১৭খুব সুন্দর
-
যাদব চৌধুুরী ০৪/০৪/২০১৭কবিতাটিতে রয়েছে প্রচুর উপমা, চিত্রকল্পের ব্যবহার l ভাসমান মেঘ, ঝরে পড়া বৃষ্টি, পাতাহীন শিমুল ফুল, আরতির শঙ্খ, কঙ্কাল, শরতের মেঘে সাদা বকের সাঁতার কাটার স্বপ্ন, গোধূলির বাতায়ন, ধানসিড়ির মতো দৃষ্টির ভুল, ঘরহীন রাখালের বাঁশি, বাদাম চিবানো মৃত বিকেল, দীর্ঘশ্বাসের নদীতে বেওয়ারিশ লাশ নিশাচর পাখির মতো কাঠঠোকরা মন, আকাশে হস্ নর্তকী চাঁদ, ফোসকা পড়া সময় জলবসন্ত দিন, পতিতা হৃদয়ের পিছু ডাক এবং সবশেষে - বুকে প্রেম পুষে মুক্তি পাওয়া যায় না - কবির এই বিলম্বিত বোধোদয়, যার ফলে কল্পনাকে তালাক দিয়েও তিনি পিছুটান অনুভব করেন l
কবিতার থাকে একটি দৃশ্যমান চেহারা এবং থাকে তার সৌন্দর্য l ব্যবহৃত শব্দ ও বাক্য কবিতার দৃশ্যমান চেহারা নির্মাণ করে l আর ছন্দ, নানা ভাষা অলঙ্কার যেমন উপমা, অনুপ্রাস, উৎপ্রেক্ষা, চিত্রকল্প সেই ভাষার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে l আমরা জানি সাজগোজ - তার একটা সীমা আছে l মানবদেহ - পুরুষ বা নারী, তার নিজস্ব একটা সৌন্দর্য আছে l এর ওপরে অলঙ্কার ইত্যাদি ব্যবহার করলে সেই সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় l কিন্তু সেই সাজগোজেরও একটা সীমা আছে l সাজগোজ এতটা না হয় যে শরীরের নিজস্ব সৌন্দর্য আর নজরেই এলো না, তা উপেক্ষিত থেকে গেল l
বর্তমান কবিতাটিতে এরকমটাই হয়েছে বলে আমার পর্যবেক্ষণ l প্রথম পঙ্ক্তি থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি অংশে এত বেশি উপমা ব্যবহার করা হয়েছে যে সাধারন শব্দ বাক্য ব্যবহার করে কবিতাটির দৃশ্যমান চেহারাটি দাঁড়াতেই পারে নি l
এমনিতে উপমাগুলি সুন্দর l কিন্তু উপমায় উপমায় আসল কবিতাটি হারিয়ে গেছে l
থিম এর দিক থেকে একটা বিষয় খুব স্বস্তিদায়ক ঠেকেছে l সেটা হলো অন্তরে প্রেমের অস্তিত্ব এবং তালাকরূপ মুক্তির কার্যকারিতাকে খারিজ করা l
অমর প্রেমের এই বার্তা দিয়ে কবি তার কবিতাটিতে জীবনমুখী, স্বাস্থ্যকর বাতাস প্রবাহিত করেছেন l -
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ০৪/০৪/২০১৭ওহঃ
বন্ধু
একি কবিতা তুমি গাঁথলে!
অনন্ত .. এক কম্পোজিশন। -
ডঃ সুজিতকুমার বিশ্বাস ০৪/০৪/২০১৭ঠিক। শুভেচ্ছা।
-
আলীমুশ্বান সাইমুন ০৪/০৪/২০১৭সুন্দর