অচেনা মানুষ চেনা কণ্ঠস্বর
রং নাম্বারে এক রূপবতী (ধারণা) মেয়ের সাথে পরিচয়। অসম্ভব মায়াবী কণ্ঠস্বর, তার কথা শুনলেই যে কেউ প্রেমে পড়ে যেতে পারে। আমি আলাদা কেউ নই। হুট করেই প্রেমে পড়ে গেলাম। সারাক্ষণ ওর সাথে কথা বলি। কথা বলতে একটু দেরি হলেই মন খারাপ হয়। অজান্তে চোখে পানি এসে যায়। ওর ও একই অবস্থা! কী আবেগ! কী অনুভূতি! আহা রে প্রেম! কথার মাধ্যমে ওর সম্পর্কে যে সমস্ত তথ্য গুলো পেলাম- ১. আমার চেয়ে তিন বছরের ছোট ২. দেখতে মাশাল্লাহ্ (ওর নিজের কথা না, অন্যরা নাকি বলে) ৩. একটু মোটা, তবে বেশি না। মিডিয়াম বলা চলে! ৪. বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে। ৫. অতি মাত্রায় শান্ত প্রকৃতির (কথা শুনে মনে হয় না)
যা হোক অনেক চেষ্টার পরও ওকে দেখার কোন মাধ্যম সৃষ্টি হল না। কতবার ছবি চেয়েছি কিন্তু সে ছবি দিতে রাজি হয়নি। একদিন ও দেখা করতে রাজি হল। আমাদের শহর ছাড়া ৫০ কিলোমিটার দূরে ওদের শহরে। এক বন্ধুকে নিয়ে ছুটলাম! আমাদের দেখা হওয়ার স্থান পার্ক। সময় সকাল ১১ টা। আমরা ভোরে বেরিয়েছি। এক ঘন্টা আগেই পার্কে হাজির! পার্কে তেমন একটা লোকজন নেই। আমার মন খারাপ হচ্ছে। দেখা করতে আসায় ভুল হয়েছে যা একটু প্রেম করছিলাম তাও বুঝি আজ শিকায় উঠল! ও কেমন হবে কে জানে! তাছাড়া ওই বা আমাকে পছন্দ করবে কিনা! বিভিন্ন চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে! এক সময় এগারোটা বাজলো। চার জন মেয়ে আমাদের সামনে-
-আপনাদের মধ্য রুদ্র কে?
আমি শাওনকে (বন্ধু) দেখিয়ে দিলাম। আর ও দেখিয়ে দিল আমাকে! যে মেয়েটি কথা বলছে সে অসম্ভব সুন্দরী। পাশের গুলো তার কাছে কিছুই না। নিশ্চিত তাদের মধ্যে নায়িকা সে, আর পাশের গুলো সখি। সিনেমায় যেমনটা থাকে! নিয়ম অনুযায়ী যে মেয়ে দেখা করতে আসবে, তার কথা বলার কথা নয়। মুড নিয়ে কথা বলবে তার সবচাইতে স্মার্ট বান্ধবী অর্থ্যাৎ আমি নায়িকাকে পাচ্ছি না। পাচ্ছি নায়িকার সখিকে!
-বলছেন না কেন? আপনাদের মধ্য রুদ্র কে?
-আমি! (স্বীকার করে নিলাম)
-একটু এদিকে আসুন!
মেয়েটার পিছু পিছু হাঁটছি।
-পিছন পিছন হাঁটছেন কেন? সাথে আসুন।
-জ্বি।
-আপনি কি নারভাজ ফিল করছেন?
-জ্বি! না না।
-কেন? নারভাজ ফিল করেন! আপনাকে খুব ভাল লাগছে!
-জ্বি আচ্ছা!
-আপনার মেঘলা কে দেখবেন না?
-জ্বি, কোথায় ও?
-কণ্ঠস্বর শুনেও এখনো চিনতে পারলেন না?
আমি বাকরুদ্ধ হয়ে হাঁটছি মেয়েটির পিছু পিছু। মুগ্ধ হয়ে শুনছি তার কথা। যেন হাজার বছরের চেনা সে কণ্ঠস্বর...
যা হোক অনেক চেষ্টার পরও ওকে দেখার কোন মাধ্যম সৃষ্টি হল না। কতবার ছবি চেয়েছি কিন্তু সে ছবি দিতে রাজি হয়নি। একদিন ও দেখা করতে রাজি হল। আমাদের শহর ছাড়া ৫০ কিলোমিটার দূরে ওদের শহরে। এক বন্ধুকে নিয়ে ছুটলাম! আমাদের দেখা হওয়ার স্থান পার্ক। সময় সকাল ১১ টা। আমরা ভোরে বেরিয়েছি। এক ঘন্টা আগেই পার্কে হাজির! পার্কে তেমন একটা লোকজন নেই। আমার মন খারাপ হচ্ছে। দেখা করতে আসায় ভুল হয়েছে যা একটু প্রেম করছিলাম তাও বুঝি আজ শিকায় উঠল! ও কেমন হবে কে জানে! তাছাড়া ওই বা আমাকে পছন্দ করবে কিনা! বিভিন্ন চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে! এক সময় এগারোটা বাজলো। চার জন মেয়ে আমাদের সামনে-
-আপনাদের মধ্য রুদ্র কে?
আমি শাওনকে (বন্ধু) দেখিয়ে দিলাম। আর ও দেখিয়ে দিল আমাকে! যে মেয়েটি কথা বলছে সে অসম্ভব সুন্দরী। পাশের গুলো তার কাছে কিছুই না। নিশ্চিত তাদের মধ্যে নায়িকা সে, আর পাশের গুলো সখি। সিনেমায় যেমনটা থাকে! নিয়ম অনুযায়ী যে মেয়ে দেখা করতে আসবে, তার কথা বলার কথা নয়। মুড নিয়ে কথা বলবে তার সবচাইতে স্মার্ট বান্ধবী অর্থ্যাৎ আমি নায়িকাকে পাচ্ছি না। পাচ্ছি নায়িকার সখিকে!
-বলছেন না কেন? আপনাদের মধ্য রুদ্র কে?
-আমি! (স্বীকার করে নিলাম)
-একটু এদিকে আসুন!
মেয়েটার পিছু পিছু হাঁটছি।
-পিছন পিছন হাঁটছেন কেন? সাথে আসুন।
-জ্বি।
-আপনি কি নারভাজ ফিল করছেন?
-জ্বি! না না।
-কেন? নারভাজ ফিল করেন! আপনাকে খুব ভাল লাগছে!
-জ্বি আচ্ছা!
-আপনার মেঘলা কে দেখবেন না?
-জ্বি, কোথায় ও?
-কণ্ঠস্বর শুনেও এখনো চিনতে পারলেন না?
আমি বাকরুদ্ধ হয়ে হাঁটছি মেয়েটির পিছু পিছু। মুগ্ধ হয়ে শুনছি তার কথা। যেন হাজার বছরের চেনা সে কণ্ঠস্বর...
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রানাকবি ১৮/০২/২০১৬অনেক ভাল
-
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ১৭/০২/২০১৬ভালো হয়েছে, ছোটোর মধ্যে।
-
ধ্রুব রাসেল ১৭/০২/২০১৬ভাল লাগলো।
-
পরশ ১৭/০২/২০১৬ভাল হইয়েচে