আবার দেখা হবে ( পর্ব -১)
ন্যান্সি দেওয়ান©
ঊষা কবির ও সজীব রাজ, বিপরীত দুই মেরুর দুই বাসিন্দা কিন্তু তারা ভাল বন্ধু, ফেসবুকে তাদের পরিচয়। প্রায় এক বছর ধরে তারা কথা বলে শুধু মেসেঞ্জার ও ফোনে মাধ্যমে, শুধুমাত্র হাই-হ্যালোর মধ্যেই তারই তাদের কথা সীমাবন্ধ রেখেছে । ঊষা রাজের ছবি দেখেছে তার ফেসবুকে কিন্তু রাজ ঊষার এখনো অবধি কোন ছবি দেখেনি। ঊষার প্রোফাইল পিকচারে, শুধু গাছপালা, পাহাড় পর্বতের ছবি। রাজ অনেক বড় লোকের একমাত্র ছেলে তার বাবা একজন সফল ব্যবসায়ী।
মা বিজনেস ম্যাগনেট । রাজ দার্জিলিং থেকে স্কুল , কলেজ পাস করে, একটি নামকরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ছে, আর ঊষা ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পাস করে, ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে, ইংরেজি অনার্সের ছাত্রী।
ঊষার কিছু স্বপ্ন আছে ,অনেক বড় হওয়া, সে তার পূরণ করতে চায়, সে আগে ভাগে রাজকে বলে দিয়েছে যে সে তার শুধু বন্ধ, অথচ রাজের সাথে তার বন্ধুত্ব একদম মানায় না ।
রাজ একটু ফান লভিং বয়, কোন বিষয় সে Seriously নেন না, বন্ধুদের নিয়ে Hangout , কনসার্ট পার্টি করতে পছন্দ সে করে। ওদিকে ঊষা খুব প্র্যাকটিক্যাল মেয়ে, টঙ দোকানের বসে চা খেতে, সেলাই, ঘর সাজানো, রান্না করতে পছন্দ করে , তার বাবার দীর্গদিন ব্যাংকে ম্যানেজার হিসাবে চাকুরী করেছে এখন অবসর নিয়েছেন,তার মা গৃহিণী,ঊষা তার বাবা মার “নয়নমনি”। তারা তাদের মেয়ে তিনজনকে শিক্ষিত করে তুলেছেন । ঊষারা আজিমপুর থাকে , ঊষা তার মা বাবার মতন ধার্মিক। মধবিত্ত পরিবার তাদের সুখের অভাব নেই তা তাদের পরিবারকে দেখলে বুঝা যায় ঊষারা তিন বোন, বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে , মেজ বোন বুয়েট থেকে আর্কিটেকচারে পাস করে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরী করছে। ঊষা সবার ছোট।
রাজ একদিন ঊষাকে বলল “ আর কতদিন এরকম ভাবে ফেসবুকে কথা বলবো “, তোমার সাথে, এক বছর হয়ে গেল।
ঊষাঃ ধৈর্য ধরো, সবুরে কিন্তু মেওয়া ফলে
( ফোনে বলল )
রাজ ঃ আর কত ধৈর্য ধরবো । আমি নাই নাই করে কমপক্ষে ৭০ বার তোমার ছবি চেয়েছি তুমি কিন্তু দাওনি। তোমার সাথে আমার ফ্রেন্ডশিপ রাখাটাই উচিত না। আমার ফ্রেন্ডরা আমাকে কি বলে জানো "তুমি বলে একটা অদ্ভুত মেয়ে" ।
ঊষাঃ তাই আচ্ছা, তারা কি তোমাকে খাওয়ার খরচ দেয়ে, না তোমাকে চালায়ে ?
রাজঃ না । তুমি দেখা করবে কিনা বলো ? আমি লাস্ট টাইম তোমাকে বলছি। এতবার কোন মেয়ের পিছনে আমি কথা খরচ করিনি, এই বলে ফোন রেখে দিলো ।
ঊষার কথাটা বেশ আশ্চর্য লাগলো কেন রাজ তার সাথে দেখা করবার জন্য এত উঠে পরে লেগেছে মানছি এক বছর হয়ে গেছে মনে মনে বলেছে " আমার তার সাথে কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই " । আচ্ছা, দেখা করবো তার সাথে । রাজ ও ঊষার সাথে দেখা করবে ।
রাজঃফোনে ঊষাকে তার লোকেশন বলে দিলো, সে কোথায় থাকবে?
ঊষা,বাস স্ট্যান্ড থেকে নেমে মাসকট প্লাজা এসে দাঁড়ালো তার সাথে তার দুই বান্ধুবি,সেখানকার লোকদের জিজ্ঞেস করলো ,গরিবে এ মেরাজ Avenue রোডেটি কোথায়?
কথা মত সেই রোডে ঢুকলো, সেখানে দেখতে পেয়েলো, অনেকগুলো দোকান রাস্তার দুইপাশে হাতের ডান দিকে কিংফিশার রেস্টুরেন্ট, তার উপর আরেকটা রেস্টুরেন্ট ।
ঊষা ভালো করে রাজের কাছে থেকে জেনে নিয়ে একটি সাদা কাগজে পুরো ঠিকানাটা লিখে রেখে ছিল যাতে ঠিকানা খুজতে দেরি না হয় । ঊষা উত্তরায় খুব একটা আসেনি । কিংফিশার রেষ্টুরেন্টে পৌছে গেল তারা ।
---চলবে---
ঊষা কবির ও সজীব রাজ, বিপরীত দুই মেরুর দুই বাসিন্দা কিন্তু তারা ভাল বন্ধু, ফেসবুকে তাদের পরিচয়। প্রায় এক বছর ধরে তারা কথা বলে শুধু মেসেঞ্জার ও ফোনে মাধ্যমে, শুধুমাত্র হাই-হ্যালোর মধ্যেই তারই তাদের কথা সীমাবন্ধ রেখেছে । ঊষা রাজের ছবি দেখেছে তার ফেসবুকে কিন্তু রাজ ঊষার এখনো অবধি কোন ছবি দেখেনি। ঊষার প্রোফাইল পিকচারে, শুধু গাছপালা, পাহাড় পর্বতের ছবি। রাজ অনেক বড় লোকের একমাত্র ছেলে তার বাবা একজন সফল ব্যবসায়ী।
মা বিজনেস ম্যাগনেট । রাজ দার্জিলিং থেকে স্কুল , কলেজ পাস করে, একটি নামকরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ছে, আর ঊষা ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পাস করে, ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে, ইংরেজি অনার্সের ছাত্রী।
ঊষার কিছু স্বপ্ন আছে ,অনেক বড় হওয়া, সে তার পূরণ করতে চায়, সে আগে ভাগে রাজকে বলে দিয়েছে যে সে তার শুধু বন্ধ, অথচ রাজের সাথে তার বন্ধুত্ব একদম মানায় না ।
রাজ একটু ফান লভিং বয়, কোন বিষয় সে Seriously নেন না, বন্ধুদের নিয়ে Hangout , কনসার্ট পার্টি করতে পছন্দ সে করে। ওদিকে ঊষা খুব প্র্যাকটিক্যাল মেয়ে, টঙ দোকানের বসে চা খেতে, সেলাই, ঘর সাজানো, রান্না করতে পছন্দ করে , তার বাবার দীর্গদিন ব্যাংকে ম্যানেজার হিসাবে চাকুরী করেছে এখন অবসর নিয়েছেন,তার মা গৃহিণী,ঊষা তার বাবা মার “নয়নমনি”। তারা তাদের মেয়ে তিনজনকে শিক্ষিত করে তুলেছেন । ঊষারা আজিমপুর থাকে , ঊষা তার মা বাবার মতন ধার্মিক। মধবিত্ত পরিবার তাদের সুখের অভাব নেই তা তাদের পরিবারকে দেখলে বুঝা যায় ঊষারা তিন বোন, বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে , মেজ বোন বুয়েট থেকে আর্কিটেকচারে পাস করে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরী করছে। ঊষা সবার ছোট।
রাজ একদিন ঊষাকে বলল “ আর কতদিন এরকম ভাবে ফেসবুকে কথা বলবো “, তোমার সাথে, এক বছর হয়ে গেল।
ঊষাঃ ধৈর্য ধরো, সবুরে কিন্তু মেওয়া ফলে
( ফোনে বলল )
রাজ ঃ আর কত ধৈর্য ধরবো । আমি নাই নাই করে কমপক্ষে ৭০ বার তোমার ছবি চেয়েছি তুমি কিন্তু দাওনি। তোমার সাথে আমার ফ্রেন্ডশিপ রাখাটাই উচিত না। আমার ফ্রেন্ডরা আমাকে কি বলে জানো "তুমি বলে একটা অদ্ভুত মেয়ে" ।
ঊষাঃ তাই আচ্ছা, তারা কি তোমাকে খাওয়ার খরচ দেয়ে, না তোমাকে চালায়ে ?
রাজঃ না । তুমি দেখা করবে কিনা বলো ? আমি লাস্ট টাইম তোমাকে বলছি। এতবার কোন মেয়ের পিছনে আমি কথা খরচ করিনি, এই বলে ফোন রেখে দিলো ।
ঊষার কথাটা বেশ আশ্চর্য লাগলো কেন রাজ তার সাথে দেখা করবার জন্য এত উঠে পরে লেগেছে মানছি এক বছর হয়ে গেছে মনে মনে বলেছে " আমার তার সাথে কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই " । আচ্ছা, দেখা করবো তার সাথে । রাজ ও ঊষার সাথে দেখা করবে ।
রাজঃফোনে ঊষাকে তার লোকেশন বলে দিলো, সে কোথায় থাকবে?
ঊষা,বাস স্ট্যান্ড থেকে নেমে মাসকট প্লাজা এসে দাঁড়ালো তার সাথে তার দুই বান্ধুবি,সেখানকার লোকদের জিজ্ঞেস করলো ,গরিবে এ মেরাজ Avenue রোডেটি কোথায়?
কথা মত সেই রোডে ঢুকলো, সেখানে দেখতে পেয়েলো, অনেকগুলো দোকান রাস্তার দুইপাশে হাতের ডান দিকে কিংফিশার রেস্টুরেন্ট, তার উপর আরেকটা রেস্টুরেন্ট ।
ঊষা ভালো করে রাজের কাছে থেকে জেনে নিয়ে একটি সাদা কাগজে পুরো ঠিকানাটা লিখে রেখে ছিল যাতে ঠিকানা খুজতে দেরি না হয় । ঊষা উত্তরায় খুব একটা আসেনি । কিংফিশার রেষ্টুরেন্টে পৌছে গেল তারা ।
---চলবে---
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ০৪/০৯/২০২১অতুলনীয় প্রকাশ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৪/০৯/২০২১পড়তে থাকি।