www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

Devil Father ( পর্ব- ১২)

Devil Father – ( পর্ব -১২ )
ন্যান্সি দেওয়ান ©

Announcement ,
মাইশা এবং পলিন অথৈর (cousin sister) Accounment করে বলল DJ party কথা এবং সবাইকে স্টেজের সামনের ফাকা জায়গাটাতে আসতে বলে .........।।
Music ,,,,,,
নাজনীন সামিরা আর রিপার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে চাইলো কিন্তু ওরা দুইজন গেল না ,
সারা Dance Party Attend করে ।
সামিরা চেয়ার এ বসে পড়লো আর রিপা গেল তার পরিবারের কাছে,
সামিরা অনুষ্ঠান উপভোগ করছে ।
হঠাৎ, সিদ্দিক খালু আকাশকে নিয়ে হাজির তার সামনে ।
সিদ্দিক খালু ঃ মামনি,
সামিরাঃ জি খালু ?
সিদ্দিক খালুঃ আমাদের আকাশ তোমার সাথে নাচবে বলে “আবদার করেছে” মানে ইচ্ছে “পোষণ করেছেন “ ।
সামিরাঃ খালু ! আমি তো প্রফেশনাল ডান্সার না।
আকাশ সিদ্দিক মামার পাশে দাঁড়িয়ে, হাসিমুখে সামিরাকে সেই দিনের নাচের কথা বলল এবং তার নাচের প্রশংসা করলো ।
(আকাশ ভাবলো তার আবদারটি সামিরা রাখবে )
সামিরা বলে আমার বান্ধবী
রিকোয়েস্ট করাতে সে নেচেছে ।
সিদ্দিক খালু,ঃ মামনি ওর আবদার রাখো । না হলে, দেখা যাবে “আকাশ” স্বপ্নের মধ্যে তোমার সাথে নাচছে ।
সামিরাঃ জী খালু ???কি বলেন !!
সেই জায়গাতে , চয়ন এসে পড়লো এবং বলল না, না, Uncle বলেছে মামির নাচের কথা ।
দেখেন, মামি নাচছে ।
চয়ন ঃ কেমন আছেন আপু ?
সামিরাঃ হ্যাঁ ভাল
চয়ন ঃ আমি যাই , নাচি গিয়ে।
এই বলে চয়ন চলে গেল .........।।
সামিরাঃ মামি তো দারুন নাচে খালু । খালু, আপনার সেখানে যাওয়া উচিত ।
সিদ্দিক খালু,ঃ ঠিক বলেছ । আকাশ চল । ওকে জোর করো না ।
সামিরাঃ Sorry খালু ।
সিদ্দিক খালুঃ Its okay
সিদ্দিক মামা চলে গেল ,,,,,,,
আকাশ, সামিরার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলো ।
আকাশের (mood off ) মনে হচ্ছিল তার মনে কালো মেঘ জমেছে , সামিরা উঠে বলল আকাশকে
Excuse me.আকাশ বলল Sure এই বলে আকাশের সামনে দিয়ে সামিরা চলে গেল,
আকাশ সামিরার দিকে তাকিয়ে থাকলো ।
চয়ন নাচ থেকে এসে আকাশকে ধরে জোর করে নিয়ে গেল।
----------
( খাবারের- হল রুম)
খাবারের চেয়ার-টেবিলে কেউ কেউ বসা, রিপার পরিবার ও সামিরা পরিবারও বসা ।
( কথাবার্তা বলছে ) লোক নেই , সবাই DJ party নিয়ে Busy ।
সামিরা এসে রিপার পাশের বসলো এবং বলল তামান্না Aunty দের বাসার সেই ছেলেটার কথা ।
জলি হেসেছে উঠলো,
( জলি সামিরার মামাতো বোন )এবং সে বলল ওই
খাটো ফর্সা , ছেলেটা ,
রিপাঃ আতশবাজি , আকাশ টিভি।
সামিরাঃ সে কি শিশু বাচ্চা – যে সে আমার সাথে নাচবে বলে “আবদার” করছেন।
জলি, রিপা হেসেই চলছে ।
সামিরাঃ খালুর তাকে Prioty দিয়ে মাথায় তুলছে - ছিঃ ছিঃ ।
জলিঃ তুই , না হেসে আছিস কি আশিস সামি?
সামিরার মামি বলল কিসের এত হাসাহাসি চলছে ???? শুনি ।
জলি সবটা বলল...............।। এবার সবাই মিলে হাসতে শুরু করলো ।
পাশে থেকে রাব্বানী Uncle (সামিরার আত্মীয় ) হাসতে হাসতে বলে উঠলো ............
রাব্বানী Uncle ঃ সিদ্দিকের ছেলে তো, তাই আবদার করেছে , রাখলি না কেন মা ?
সামিরা ঃUncle কি বলছেন আপনি ? !!!!
বাচ্চা মারা যাওয়ার দুঃখে তামান্না তো পাগল হয়ে গেছিল ।
ওদেরকে পেয়ে তামান্নার সিদ্দিকের মুখে হাসি ফুটেছে ।
রিপাঃ তামান্না খালার মেয়ে কিভাবে মারা গেছে? আরেকজন বলল উঠলো typhoid জ্বরে ।
আহা বাচ্চাটা------- এখন বেঁচে থাকলে , মেয়েটির বয়স ১৬ বছর হতো ।
সিদ্দিক মত ভালো স্বামী? তামান্না বড় কপালিয়া মেয়ে, দুইটা ছেলেকে নিয়ে বেশ আছে ।
অনুষ্ঠান থেকে বিদায় নিয়ে সামিরা চলে যাবে ।
নাজমিনঃ পরশুদিন কিন্তু রিসেপশনে সামি Try করিস ।
(Care hospital )
অ্যাভন exercise করে, ফ্রেশ ও
খাবার খেয়ে, শুয়ে আছে ।
সামিরা তার রুমে ঢুকলো তার (Treatment ) করবে ।
সামিরাঃ কেমন আসেন ?
অ্যাভনঃ ভাল আছি, আপনি ?
সামিরাঃ আমিও ভাল ।
অ্যাভনঃ আপনি, এতদিন আসনি কেন ?
সামিরাঃ একটা wedding party দাওয়াত ছিল ।
অ্যাভন বলল সামিরাকে যে , সেদিন তার ভয়েসটা রেকর্ড করে,সামিরা Doctor এবং পুলিশ ইন্সপেক্টরকে বা তার বাবাকে শুনিয়েছে ।
সামিরা ( হতবম্ভ হয়ে গেল . (মনে মনে ভাবলো “এই শয়তান রুগীটা জানলো কিভাবে”
অ্যাভনঃ কি ভাবছেন? Doctor ,আমি mind read করতে জানি !!!!
সামিরা ঃ না না, আপনি mind read পারেন নি।
অ্যাভনঃ তাহলে কী ভাবছেন ???????
সামিরাঃ দেখছি, আপনাকে , আপনি তো বেশ handsome
আপনার প্রেমে কোন মেয়ে পরেনি ?
অ্যাভনঃ হয়তো, আমি সাড়া দেয়নি। আপনি কি এটাই ভাবছিলেন ?
সামিরা: yes ………, (সামিরা মনে মনে বলছে - বেশি বেশি , ঘঙ),
আপনি কি, আপনার হাতে কোনো রকমের recording device দেখেছেন?
অ্যাভনঃ না ।
সামিরা ঃ তাহলে, এরকম ভ্রান্ত ধারণা হলো কেন ?
অ্যাভনঃ মানুষকে এই সময়ে বিশ্বাস করতে নেই ।
সামিরা ঃ যাদের কে আপনি বিশ্বাস করেছিলেন, তারা কি ভালো ???? আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলুন তো ?
অ্যাভনঃ না, আমার বাবাকে খুন করতে বলতো । ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন , আমি একজন হলিউড হিরো মত দেখতে । তার নাম অ্যান্টোনিও ব্যান্ডারাসের, তার খুব কম বয়সের ছবিগুলো দেখেন,
সামিরা (মনে মনে ) ছাই দেখবো ।
অ্যাভনঃ আমি তার ভক্ত , The mask of Zorro, Desperado movie দেখেছেন?
সামিরা ঃ না, শুনেছি।
অ্যাভনঃ আমার বড় বোন আমাকে খালি তার নাম ধরে ডাকতো ,
তার স্বামীকে কে কাগজ দেয়া হলে, সেখানে কিছু প্রশ্নের উত্তর আছে, অ্যাভন ।
২০ মিনিটে উত্তর ঠিক ঠাক দিলো সামিরাকে দিলো সামিরা check করে বলল, Very Good…..
অ্যাভন তার পরিবার থেকে কয়েকটা জিনিস আনতে বলে দিলো ।
------------
সামিরা মনে মনে ভাবছে ওনার Treatment জন্য আমাকে ওনার সাথে কত মিথ্যা কথা বলতে হচ্ছে এমন কি আমার নিজের বাবাকে নিয়ে বাজে কথা বলেছি “হে আল্লাহপাক” তুমি আমাকে মাফ করে দিও।
ইন্সপেক্টর সাকিল অ্যাভনের স্কেচ গুলো একজন স্কেচ Artist, কে দিয়ে আরও কিছু স্কেচ তৈরি করে Investigation অনেক গুলো প্রমান পেয়ে গেল।
( অ্যাপোলো হসপিটাল ) শান্তা তার স্বামীকে নিয়ে এলো,এবং তার স্বামীকে সামিরারসাথে পরিচয় করে দিলো,আর সামিরা কাছে অ্যাভনের চাওয়া জিনিস গুলো শান্তা আপু কাছে থেকে তিনটা bag নিলো ,নাদভী জিজ্ঞাসা করলো অ্যাভন কিরকম Improve হয়েছে ।
সামিরা বলে দিলো ভালো, release করে দিবে আর বলল
ডক্টর শামসুদ্দিনের যা বলেছেন সেই মত অ্যাভন ভাইয়ার caring চলবে ।
নাদভী জিজ্ঞাসা সামিরাকে London এ সে ছিল ।
সামিরা বলল Central London এবং Greenwich University তে psychology পড়েছি,
Intership ছিল main campus ।

সামিরা তাদের বলে দিলো 4pm hospital চলে আসতে ।
( Care- Hospital ) অ্যাভনের cabin
সামিরার অ্যাভনের হাতে তিনটা Bag দিলো
অ্যাভন তাড়াতাড়ি খুলে দেখলো ।
তার Poster গুলো পুরনো হয়ে গেছে । অ্যাভন সে গুলো খুলে ফেলল। সে তার শখের জিনিস,
scrapbook, stampbook ,Backstreet Boys Boyzone. Titanic Romeo and Juliet. Steve Austin.Teenage mutant nijia turtles,Fantasic Four cartoon books.
Jennifer Lopaz, Tom Crush magazine সব ঠিক আছে
অ্যাভন সামিরাকে Thankyou !! Doctor ? এবং Antanio Banderas Poster দেখালো
সামিরাঃ Welcome ……
অ্যাভন জানি আমার বোন, এ সব দিয়েছে আপনাকে !!! ও আমার উপরে খুব রাগ করে আছে।
সামিরাঃ বোন ও দুল্লাভাই হসপিটালের ওয়েটিং রুমে বসা , আপনাকে দেখার জন্য এসেছে ।
অ্যাভন ঃ কই তারা আ আঃ আমি, তাকে দেখতে চাই।
সামিরা শান্তা আপুকে ফোন করলো । শান্তা ও নাদভী রুমের দরজা খুললো রুমে প্রবেশ করলো এবং অ্যাভনকে তার বোনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকলো । দুই ভাই বোনের করুণ বেদনাদায়ক দৃশ্য সামিরা না, সহ্য করতে পেরে রুম থেকে বার হয়ে গেল এবং রুমের সামনে নিশ্চুপ ভাবে দাঁড়িয়ে থাকলো, তার চোখে পানি ,চোখের চশমাটা খুলে, bag থেকে ইস্যু বের চোখ মুছলো।

চলবে
ন্যান্সি দেওয়ান ©
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৪৫৭ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২১/০৫/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • অনুপম
  • জাগ্রত যুবক ১৩/০৭/২০২১
    পড়তে পড়তে হাপিয়ে উঠেছি,, আরো বড় গল্প চাই,, আর কেউ না পড়লেও আমি পড়বো,, আর নতুন নতুন বিষয়ে জানতে চাইবো
  • বেশ সুন্দর কথোপকথন। বানানগত দিক গুলো আরো পরিমার্জিত হলে ভালো হতো। ধন্যবাদ কবি সামিরা।
  • মিঠুন দত্ত (বাবু) ২৩/০৫/২০২১
    সত্যি অসাধারণ
  • পাখিরা বনে সুন্দর।
  • নাইস
  • সুয়েল হক ২১/০৫/২০২১
    এক্সিলেন্ট
  • ফয়জুল মহী ২১/০৫/২০২১
    চমৎকার কথা মালা
 
Quantcast