Devil Father – ( পর্ব -৮ )
Devil Father – ( পর্ব -৮ )
ন্যান্সি দেওয়ান ©
( খোলা নীল আকাশ )
বাড়ির ছাঁদ ...............।।
সাদা মেঘের ভেলা।
দুটো ঘুড়ি । একটি নীল আর অপরটি সবুজ।
দুটো ঘুড়ি মনে হচ্ছে একসাথে পাল্লা দিচ্ছে । বাতাসে বাতাসে দুটো ঘুড়ি, যেন খেলা করছে ওই নীল আকাশে।
হঠাৎ করে সবুজ ঘড়িটা অনেক উপরে উঠে গেল এবং শেষ পর্যন্ত সবুজ ঘড়িটাকে দেখা গেল না, ওই ঘড়িটা কাঁটা পরেছে নীল ঘুড়িটার দ্বারা ।
সবুজ ঘড়িটা সাথে সাথে মিলে গেল সাদা মেঘের মাঝে । নীল ঘুড়িটা ঠিকই আকাশে উড়ছে বাতাসে ।
আকাশ, আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে ওই সবুজ ঘুড়িটা খুঁজছে ।
পিছন থেকে একটি মিষ্টি মেয়ের কন্ঠ ভেসে এলো ।
“ এই যে শুনছেন - একটু শুনবেন “
আকাশ তাড়াতাড়ি ঘুরে দাঁড়ালো, এবং দেখলো একটি সুন্দরী মেয়ে,তার মাথার ঘন কালো লম্বা চুল, তার পরনে সবুজ রঙের সালোয়ার কামিজ এবং তার মাথায় ওড়না দেওয়া । ঠিক তার পাশের
বাড়ির ছাঁদে দাড়িয়ে আছে ।
অচেনা সেই মেয়েটি বললো….....................
“ এই যে আপনি, এটা কি করলেন? “ সবুজ ঘুড়িটাকে কেটে দিলেন কেন?
ওটা আমার ঘুড়ি ছিল ।
আকাশঃ থতমত খেয়ে গেলো এবং বলে উঠলো - না, না, আমি কিছু করিনি ?
বাতাসের তোড়ে কেটে গেছে। I am so sorry.
আকাশের চোখে ধরা পরল সেই অচেনা মেয়েটি ,অভিমানী মুখ,আকাশের তাকে ভাল লেগে গেল ।
অচেনা মেয়েটি বলল আমি ও আমার ছোট ভাই মিলে, এই ঘুড়িটি খুব যত্ন সহকারে বানিয়ে ছিলাম । আচ্ছা চলি সব মাটি করে দিলেন ।
এই কথাটা বলে, মেয়েটি জায়গা ছেড়ে চলে যেতে লাগলো ।
আর আকাশ সেই মুহূর্তে বলে উঠলো ...............।
আপনি কে ওই বাসায় নতুন এসেছেন ? আপনি আমার সবুজ ঘড়িটা নিজের হাতে বানিয়ে দিব ?
আমি কাল ছাঁদে আপনার জন্য অপেক্ষা করব , আপনি আপনার ঘড়ি ফিরে পাবেন আসবেন তো, আমি কিন্তু অপেক্ষা করব ?
অন্তত, আপনার নামটা বলে যান ?
হ্যালো ............
মেয়েটি কোন দিকে না তাকিয়ে চলে গেল ।
আকাশ,বলল “Please “ আপনার নাম বলে যান।
আকাশ যেও না বলে,
(আকাশ ঘুম থেকে চিৎকার করে, উঠে পড়লো )
এতক্ষণ ধরে আকাশ স্বপ্ন দেখছিল ...............।।
এবং সে বিছানায় বসে পড়লো ।
আকাশের চিৎকার শুনে পাশে চয়ন উঠে পরল এবং আর নিচে সিদ্দিক মামা বেডিং করে ঘুমাচ্ছিল সে ও আকাশ চিৎকার শুনে বিছানায় বসে পড়লো ।
চয়নঃ কি হইছে? চিৎকার, দিলি কেন মামা ?
স্বপ্নে কি কোনো কিছু খারাপ দেখেছিস আর যেওনা বলিস রে বলছিস কেন ?
আকাশঃ না , সুন্দর স্বপ্ন দেখছি। স্বপ্নের মধ্যে আমার রাজকন্যাকে দেখছি ।
চয়নঃ আরে, তারাই যেওনা বলে ডাকছিলি ?
আকাশঃ কেন তোর Girlfriend রে স্বপ্নে দেখেছিস না ?
চয়নঃ না, দুইবার দেখছিস ছিলাম ।
সিদ্দিক মামা ঃ শোন, আকাশ কে ভাল হুজুর দিয়ে জারাইতে হবে, কাল আমি ভাবিকে ফোন করে,সামনের মাসে আসতে বলবো । জিন,পরি আকাশ স্বপ্নে দেখছে । তোদের হয়েছে প্রেম রোগ, এসব রোগ কিভাবে ছাড়াতে হয় তা আমি জানি । বলে ঘুমিয়ে পড়লো ।
আকাশ আর চয়ন বাড়িওয়ালা , সিদ্দিক মামা হলো এই এপার্টমেন্টের মালিক তার বৌয়ের নাম তামান্না । তিনি আবার সামিরার বান্ধবী নাজনীনের ছোটখালা হয়, তাদের একটা মেয়ে ছিল সে অনেক আগে মারা গেছে । তারপর এই স্বামী ও স্ত্রী, নতুন করে কোন বাচ্চা নেয়নি, আকাশ আর চয়নকে তারা ভাড়াতে হিসাবে দেখে না বরং তারা এই দুইজনকে তাদের সন্তানের মতো দেখে। সেদিন তামান্না মামী বাড়িতে ছিল না কারন তার বড় বোনের মেয়ের বিয়ে ।
---চলবে---
ন্যান্সি দেওয়ান ©
ন্যান্সি দেওয়ান ©
( খোলা নীল আকাশ )
বাড়ির ছাঁদ ...............।।
সাদা মেঘের ভেলা।
দুটো ঘুড়ি । একটি নীল আর অপরটি সবুজ।
দুটো ঘুড়ি মনে হচ্ছে একসাথে পাল্লা দিচ্ছে । বাতাসে বাতাসে দুটো ঘুড়ি, যেন খেলা করছে ওই নীল আকাশে।
হঠাৎ করে সবুজ ঘড়িটা অনেক উপরে উঠে গেল এবং শেষ পর্যন্ত সবুজ ঘড়িটাকে দেখা গেল না, ওই ঘড়িটা কাঁটা পরেছে নীল ঘুড়িটার দ্বারা ।
সবুজ ঘড়িটা সাথে সাথে মিলে গেল সাদা মেঘের মাঝে । নীল ঘুড়িটা ঠিকই আকাশে উড়ছে বাতাসে ।
আকাশ, আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে ওই সবুজ ঘুড়িটা খুঁজছে ।
পিছন থেকে একটি মিষ্টি মেয়ের কন্ঠ ভেসে এলো ।
“ এই যে শুনছেন - একটু শুনবেন “
আকাশ তাড়াতাড়ি ঘুরে দাঁড়ালো, এবং দেখলো একটি সুন্দরী মেয়ে,তার মাথার ঘন কালো লম্বা চুল, তার পরনে সবুজ রঙের সালোয়ার কামিজ এবং তার মাথায় ওড়না দেওয়া । ঠিক তার পাশের
বাড়ির ছাঁদে দাড়িয়ে আছে ।
অচেনা সেই মেয়েটি বললো….....................
“ এই যে আপনি, এটা কি করলেন? “ সবুজ ঘুড়িটাকে কেটে দিলেন কেন?
ওটা আমার ঘুড়ি ছিল ।
আকাশঃ থতমত খেয়ে গেলো এবং বলে উঠলো - না, না, আমি কিছু করিনি ?
বাতাসের তোড়ে কেটে গেছে। I am so sorry.
আকাশের চোখে ধরা পরল সেই অচেনা মেয়েটি ,অভিমানী মুখ,আকাশের তাকে ভাল লেগে গেল ।
অচেনা মেয়েটি বলল আমি ও আমার ছোট ভাই মিলে, এই ঘুড়িটি খুব যত্ন সহকারে বানিয়ে ছিলাম । আচ্ছা চলি সব মাটি করে দিলেন ।
এই কথাটা বলে, মেয়েটি জায়গা ছেড়ে চলে যেতে লাগলো ।
আর আকাশ সেই মুহূর্তে বলে উঠলো ...............।
আপনি কে ওই বাসায় নতুন এসেছেন ? আপনি আমার সবুজ ঘড়িটা নিজের হাতে বানিয়ে দিব ?
আমি কাল ছাঁদে আপনার জন্য অপেক্ষা করব , আপনি আপনার ঘড়ি ফিরে পাবেন আসবেন তো, আমি কিন্তু অপেক্ষা করব ?
অন্তত, আপনার নামটা বলে যান ?
হ্যালো ............
মেয়েটি কোন দিকে না তাকিয়ে চলে গেল ।
আকাশ,বলল “Please “ আপনার নাম বলে যান।
আকাশ যেও না বলে,
(আকাশ ঘুম থেকে চিৎকার করে, উঠে পড়লো )
এতক্ষণ ধরে আকাশ স্বপ্ন দেখছিল ...............।।
এবং সে বিছানায় বসে পড়লো ।
আকাশের চিৎকার শুনে পাশে চয়ন উঠে পরল এবং আর নিচে সিদ্দিক মামা বেডিং করে ঘুমাচ্ছিল সে ও আকাশ চিৎকার শুনে বিছানায় বসে পড়লো ।
চয়নঃ কি হইছে? চিৎকার, দিলি কেন মামা ?
স্বপ্নে কি কোনো কিছু খারাপ দেখেছিস আর যেওনা বলিস রে বলছিস কেন ?
আকাশঃ না , সুন্দর স্বপ্ন দেখছি। স্বপ্নের মধ্যে আমার রাজকন্যাকে দেখছি ।
চয়নঃ আরে, তারাই যেওনা বলে ডাকছিলি ?
আকাশঃ কেন তোর Girlfriend রে স্বপ্নে দেখেছিস না ?
চয়নঃ না, দুইবার দেখছিস ছিলাম ।
সিদ্দিক মামা ঃ শোন, আকাশ কে ভাল হুজুর দিয়ে জারাইতে হবে, কাল আমি ভাবিকে ফোন করে,সামনের মাসে আসতে বলবো । জিন,পরি আকাশ স্বপ্নে দেখছে । তোদের হয়েছে প্রেম রোগ, এসব রোগ কিভাবে ছাড়াতে হয় তা আমি জানি । বলে ঘুমিয়ে পড়লো ।
আকাশ আর চয়ন বাড়িওয়ালা , সিদ্দিক মামা হলো এই এপার্টমেন্টের মালিক তার বৌয়ের নাম তামান্না । তিনি আবার সামিরার বান্ধবী নাজনীনের ছোটখালা হয়, তাদের একটা মেয়ে ছিল সে অনেক আগে মারা গেছে । তারপর এই স্বামী ও স্ত্রী, নতুন করে কোন বাচ্চা নেয়নি, আকাশ আর চয়নকে তারা ভাড়াতে হিসাবে দেখে না বরং তারা এই দুইজনকে তাদের সন্তানের মতো দেখে। সেদিন তামান্না মামী বাড়িতে ছিল না কারন তার বড় বোনের মেয়ের বিয়ে ।
---চলবে---
ন্যান্সি দেওয়ান ©
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইউসুফ জামিল ১৬/০৪/২০২১সুন্দর লেখনী ম
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১৬/০৪/২০২১Very Sad.
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৬/০৪/২০২১nice