পূর্ণতা
লীনা হন্তদতো হয়ে চৌতির রুমের ঢুকলো। লীনার হাতে একটা সংবাদ পত্র, চৌতির মুখের সামনে ধরলো লীনা: দেখ,অঙ্কন প্রতিযোগিতা চৌতি সংবাদ পত্রের দিকে তাকালো।
লীনা:তুই তোর ছবি গুলো এই প্রতিযোগিতাতে পাঠা চৌতি:না,কি হবে শুধু শুধু মিথ্যে আশা রেখে,
বাবা সেদিন ।
(ফ্লাশব্যাক)
বসার ঘরে,চৌতির বাবা,চৌতিকে বোকা দিচ্ছে পাশে,চৌতির সৎ মা দাঁড়ানো ।
চৌতির বাবা:পড়াশোনা বাদ ছবি আঁকা - বলে চৌতির বাবা তার হাত থেকে চৌতির অর্ধ আঁকা ছবিটা ছিড়ে ফেললো,
বাবা: যে মেয়ের জন্মের সময়ে মা মারা তার আবার বাহাদুরি, আমার সংসারে বোঝা
চৌতির মা:আবার কাঁদে , অলক্ষনি মেয়ে।
(বর্তমান)
চৌতি:আমি আমার আঁকা ছবি গুলো তো ছিড়ে ফেলেছি।
লীনা:আমি খুব দুঃখিত আর কখনো বলবো না তোকে ছবি আঁকার কথা,
না,বলাই ভালো তাহলে আমি খুশি হবো
চৌতি:হুম,না,বলাই ভালো তাহলে আমি খুশি হবো ।
অন্যদিন)
সেদিন আবার চৈতির বাবা ঢাকার বাহিরে গেছে, চৈতির মা তাদের বুয়া'কে বাসায় থাকতে বলে।
বুয়া বলছে:.... ভাবি, রাতে থাকবার পারবো না,
চৈতি'র মা: ও মা সে কি তুমি না বল্লালে রাতে থাকবে,
বুয়া.... হুম,বলছিলাম, কিন্তু বাচ্চার বাপে ফোন দিয়ে আমারে না থাকতে কয় আমি কি করবো ,আমার বাচ্চা কাঁদবে সে সামলাইতে পারবে না। কাল খুব সকালে চইলা আসমু ভাবি।
চৈতি'র মা:.. আচ্ছা যাও তোমাকে থাকতে হবে না, এদিকে আমার শরীরের জ্বর জ্বর ভাব।
বুয়া.... কি বলেন ভাবি আপনার গায়ে জ্বর..?
চৈতির মা... হুম
বুয়া.... ওষুধ খাইবেন ভাবি ?
চৈতি'র মা..... না থাক,তুমি যাও,
(রাতে) চৈতি পড়ার টেবিলে পড়ছে চৈতির ভাই বলতে লাগলো আপু তাড়াতাড়ি আসো,মায়ের যে খুব জ্বর.!
চৈতি:....কি,বলিস..?? চলতো দেখি।
চৈতির মা জ্বরে কাতরাচ্ছে বিচানায়।
চৈতি.. তার মায়ের পাশে বসে মায়ের কপালে হাত দিল,
চৈতি :ইস,জ্বরে তো শরীর পুড়ে যাচ্ছে.!
চৈতি... যাও তো জিসান ফ্রীজ থেকে বরফ বের করে আইস-ব্যাগে নিয়ে আসো,
চৈতি তার মায়ের সেবা করা শুরু করলো, এমন অবস্থায়....
(ভোর হয়ে গেছে ) সকালে চৈতির মা চৈতির বাবার সাথে ফোনে কথা বলে আর সব কিছু খুলে বলতে লাগলো।
চৈতির বাবা: আগে বললে সকালে টিকেট কাটতাম,
চৈতির মা: না তার কোনো প্রয়োজন হবে না, আর ডাক্তার আমার কাছে আছে, তোমার মেয়ের মমতা মাখা যত্নে আমি ভালো হয়ে গেছি। ও ওহো আমি আমার নিজের ভুল বুঝতে পড়েছি, আমি এতো দিন চৈতির সাথে অন্যায়ে করেছি, নিজের মেয়ে মনে করিনি, আমার খুব ভুল হয়ে গেছে, নিজে ক্ষমা করতে পারছিনা আমি।
চৈতির বাবার:... শান্ত হও ,তোমার একাকি ভুল হয়নি আমি ও নিজে কে দোষী মনে করছি, এবার থেকে আর ভুল হবে না, আমরা দুজন মিলে চৈতিকে অনেক আদর করবো, মায়া মমতা বাড়িয়ে তার সব অভিযোগ কষ্ট মুছে দিবো, দেখো চৈতি অতীতের কথা মনে রাখবে না আর।
চৈতির মা: হ্যাঁ ঠিক বলেছো তুমি, ও যায় চাইবে তাই আমরা করবো,ওর কোনো ইচ্ছে অপূর্ণতা রাখবো না। চৈতির বাবা...... হ্যাঁ চৈতির কোন ইচ্ছায় আর অপূর্ণতায় রাখবো না।
চৈতি তার বাবা ও মা মাঝে বসে তার মায়ের কাঁদে মা আছে
চৈতির মা:আমার লক্ষি মামনি,
আব্বু আম্মু তোমাকে অনেক অনেক আদর করবে ।
আমাদের দোয়া তোমার সাথে সব সময়ে থাকবে,যা মন চাইবে তাই পাবে,
কোনো ইচ্ছে অপূর্ণতা রাখবো না।
চৈতি খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেছে, যেন পৃবিথীর সব আনন্দ সে এক সাথে পেয়ে গেছে ।
চৈতি:আমার আর কিছু চাইবার নেই আমিতো আমার জীবনের সব চেয়ে দামি উপহার পেয়ে গেছি
দেখ খুশিতে আমার চোখে পানি চলে এসেছে ।
চৈতির বাবা:কোনোদিন মন খারাপ করে থাকবে না,
চৈতি: না, বাবা আমি আর কোনোদিন ও মন খারাপ করে থাকবো না ।
চৈতির বাবা:আয়,মা আমার কাছে আয় ।
চৈতি তার বাবাকে আনন্দে জড়িয়ে ধরলো,
চৈতির মা:বাবা মার দোয়া সবসময়ে
থাকবে তোমার সাথে ।
চৈতি:আমি পৃথিবীর সব সুখ এক সাথে পেয়ে গেছি
চৈতির বাবা: কিন্তু মামনি,আমি যে তোমার জন্য একটা জিনিস না কিনে থাকতে পারলাম ,
চৈতি হাসি মুখে বললো
চৈতি:কি বাবা?
চৈতির বাবা:Wait.
চৈতি তার মার দিকে তাকালো,
চৈতির বাবা:দেখ,মামনি,
চৈতি যখন দেখলো তার বাবার হাতের ছবি আঁকা সরঞ্জাম,চৈতি অবাক হয়ে গেলো কি বলে সে ভেবে পাচ্ছে না ।
চৈতির বাবা:তোমার ইচ্ছে গুলো,তোমার পছন্দের জিনিস গুলো আমি তোমার হাতে তুলে দিলাম, একদিন তুমি অনেক বড় শিল্পী হবে, আমাদের নাম উজ্জ্বল করবে ।
চৈতি ছবি আঁকা সরঞ্জাম হাতে পেয়ে খুশিতে ভাষাহীন হয়ে জিনিস গুলোর উপরে হাত বুলাতে লাগলো ।আর বাবা ও মা দিকে হাসি মুখে তাকিয়ে থাকে ।
পরিশেষ:একমাত্র বাবা ও মা পারে তাদের সন্তানদের এগিয়ে নিয়ে যেতে,সন্তানদের উপরে উঠবার সিঁড়ি কেবল মাত্র বাবা ও মা ।
লীনা:তুই তোর ছবি গুলো এই প্রতিযোগিতাতে পাঠা চৌতি:না,কি হবে শুধু শুধু মিথ্যে আশা রেখে,
বাবা সেদিন ।
(ফ্লাশব্যাক)
বসার ঘরে,চৌতির বাবা,চৌতিকে বোকা দিচ্ছে পাশে,চৌতির সৎ মা দাঁড়ানো ।
চৌতির বাবা:পড়াশোনা বাদ ছবি আঁকা - বলে চৌতির বাবা তার হাত থেকে চৌতির অর্ধ আঁকা ছবিটা ছিড়ে ফেললো,
বাবা: যে মেয়ের জন্মের সময়ে মা মারা তার আবার বাহাদুরি, আমার সংসারে বোঝা
চৌতির মা:আবার কাঁদে , অলক্ষনি মেয়ে।
(বর্তমান)
চৌতি:আমি আমার আঁকা ছবি গুলো তো ছিড়ে ফেলেছি।
লীনা:আমি খুব দুঃখিত আর কখনো বলবো না তোকে ছবি আঁকার কথা,
না,বলাই ভালো তাহলে আমি খুশি হবো
চৌতি:হুম,না,বলাই ভালো তাহলে আমি খুশি হবো ।
অন্যদিন)
সেদিন আবার চৈতির বাবা ঢাকার বাহিরে গেছে, চৈতির মা তাদের বুয়া'কে বাসায় থাকতে বলে।
বুয়া বলছে:.... ভাবি, রাতে থাকবার পারবো না,
চৈতি'র মা: ও মা সে কি তুমি না বল্লালে রাতে থাকবে,
বুয়া.... হুম,বলছিলাম, কিন্তু বাচ্চার বাপে ফোন দিয়ে আমারে না থাকতে কয় আমি কি করবো ,আমার বাচ্চা কাঁদবে সে সামলাইতে পারবে না। কাল খুব সকালে চইলা আসমু ভাবি।
চৈতি'র মা:.. আচ্ছা যাও তোমাকে থাকতে হবে না, এদিকে আমার শরীরের জ্বর জ্বর ভাব।
বুয়া.... কি বলেন ভাবি আপনার গায়ে জ্বর..?
চৈতির মা... হুম
বুয়া.... ওষুধ খাইবেন ভাবি ?
চৈতি'র মা..... না থাক,তুমি যাও,
(রাতে) চৈতি পড়ার টেবিলে পড়ছে চৈতির ভাই বলতে লাগলো আপু তাড়াতাড়ি আসো,মায়ের যে খুব জ্বর.!
চৈতি:....কি,বলিস..?? চলতো দেখি।
চৈতির মা জ্বরে কাতরাচ্ছে বিচানায়।
চৈতি.. তার মায়ের পাশে বসে মায়ের কপালে হাত দিল,
চৈতি :ইস,জ্বরে তো শরীর পুড়ে যাচ্ছে.!
চৈতি... যাও তো জিসান ফ্রীজ থেকে বরফ বের করে আইস-ব্যাগে নিয়ে আসো,
চৈতি তার মায়ের সেবা করা শুরু করলো, এমন অবস্থায়....
(ভোর হয়ে গেছে ) সকালে চৈতির মা চৈতির বাবার সাথে ফোনে কথা বলে আর সব কিছু খুলে বলতে লাগলো।
চৈতির বাবা: আগে বললে সকালে টিকেট কাটতাম,
চৈতির মা: না তার কোনো প্রয়োজন হবে না, আর ডাক্তার আমার কাছে আছে, তোমার মেয়ের মমতা মাখা যত্নে আমি ভালো হয়ে গেছি। ও ওহো আমি আমার নিজের ভুল বুঝতে পড়েছি, আমি এতো দিন চৈতির সাথে অন্যায়ে করেছি, নিজের মেয়ে মনে করিনি, আমার খুব ভুল হয়ে গেছে, নিজে ক্ষমা করতে পারছিনা আমি।
চৈতির বাবার:... শান্ত হও ,তোমার একাকি ভুল হয়নি আমি ও নিজে কে দোষী মনে করছি, এবার থেকে আর ভুল হবে না, আমরা দুজন মিলে চৈতিকে অনেক আদর করবো, মায়া মমতা বাড়িয়ে তার সব অভিযোগ কষ্ট মুছে দিবো, দেখো চৈতি অতীতের কথা মনে রাখবে না আর।
চৈতির মা: হ্যাঁ ঠিক বলেছো তুমি, ও যায় চাইবে তাই আমরা করবো,ওর কোনো ইচ্ছে অপূর্ণতা রাখবো না। চৈতির বাবা...... হ্যাঁ চৈতির কোন ইচ্ছায় আর অপূর্ণতায় রাখবো না।
চৈতি তার বাবা ও মা মাঝে বসে তার মায়ের কাঁদে মা আছে
চৈতির মা:আমার লক্ষি মামনি,
আব্বু আম্মু তোমাকে অনেক অনেক আদর করবে ।
আমাদের দোয়া তোমার সাথে সব সময়ে থাকবে,যা মন চাইবে তাই পাবে,
কোনো ইচ্ছে অপূর্ণতা রাখবো না।
চৈতি খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেছে, যেন পৃবিথীর সব আনন্দ সে এক সাথে পেয়ে গেছে ।
চৈতি:আমার আর কিছু চাইবার নেই আমিতো আমার জীবনের সব চেয়ে দামি উপহার পেয়ে গেছি
দেখ খুশিতে আমার চোখে পানি চলে এসেছে ।
চৈতির বাবা:কোনোদিন মন খারাপ করে থাকবে না,
চৈতি: না, বাবা আমি আর কোনোদিন ও মন খারাপ করে থাকবো না ।
চৈতির বাবা:আয়,মা আমার কাছে আয় ।
চৈতি তার বাবাকে আনন্দে জড়িয়ে ধরলো,
চৈতির মা:বাবা মার দোয়া সবসময়ে
থাকবে তোমার সাথে ।
চৈতি:আমি পৃথিবীর সব সুখ এক সাথে পেয়ে গেছি
চৈতির বাবা: কিন্তু মামনি,আমি যে তোমার জন্য একটা জিনিস না কিনে থাকতে পারলাম ,
চৈতি হাসি মুখে বললো
চৈতি:কি বাবা?
চৈতির বাবা:Wait.
চৈতি তার মার দিকে তাকালো,
চৈতির বাবা:দেখ,মামনি,
চৈতি যখন দেখলো তার বাবার হাতের ছবি আঁকা সরঞ্জাম,চৈতি অবাক হয়ে গেলো কি বলে সে ভেবে পাচ্ছে না ।
চৈতির বাবা:তোমার ইচ্ছে গুলো,তোমার পছন্দের জিনিস গুলো আমি তোমার হাতে তুলে দিলাম, একদিন তুমি অনেক বড় শিল্পী হবে, আমাদের নাম উজ্জ্বল করবে ।
চৈতি ছবি আঁকা সরঞ্জাম হাতে পেয়ে খুশিতে ভাষাহীন হয়ে জিনিস গুলোর উপরে হাত বুলাতে লাগলো ।আর বাবা ও মা দিকে হাসি মুখে তাকিয়ে থাকে ।
পরিশেষ:একমাত্র বাবা ও মা পারে তাদের সন্তানদের এগিয়ে নিয়ে যেতে,সন্তানদের উপরে উঠবার সিঁড়ি কেবল মাত্র বাবা ও মা ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৮/০৯/২০১৯বেশ তো!!!
-
এন এস এম মঈনুল হাসান সজল ০৭/০৯/২০১৯বেশ ভাল।
-
সুপ্রিয় কুমার চক্রবর্তী ২৫/০৮/২০১৯গল্পটা মঞ্চ নাটকের স্টাইলে লেখা মনে হলো !
-
সাইফ রুদাদ ২৮/০৭/২০১৯স্কিপ মনে হলো
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ২৪/০৭/২০১৯উচ্চতম মর্যাদা কেবল বাবা মায়েরই।
-
মেহেদী হাসান (নয়ন) ১৮/০৭/২০১৯খুব ভাল লিখেন কবি
-
শেখ ফারুক হোসেন ১৮/০৭/২০১৯আশারাখি অনেক বড় হবেন
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৮/০৭/২০১৯নাটকীয়।
-
আব্দুল হক ১৭/০৭/২০১৯সুন্দর!