ধর্যশীল-৫
চৈতি অন্ধকার বারান্দায় বসে ভাবছিলো,তার চোখে দুইফোটা পানি ঝরে পড়লো তার জামায়ে রাস্তার সোডিয়াম বাতির আলো এসে পড়েছে ঘরের মেজেতে আজ অফিস কালিক নিপুনের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলো চৈতি হঠাৎ তাদের বাসার টেলিভিশনে মোহিতের নাটক,চৈতির চোখে পড়ে গেল,তার নাটকে ব্যাকগ্রাউন্ড চলা সেই "গানটি" যে গানটি চৈতি নিজের গলার গেয়ে শুনিয়েছিল কোনো এক বৃষ্টি ভেঝা রাতে,মোহিত সেই গানটি তার নাটকে নাটকে গান হিসাবে লাগিয়েছে
চৈতি কিছুক্ষণের জন্য তার চোখ বন্ধ করলো, চোখ খুলতেই দেখতে পেল,মোহিত তার পাশে বসে চৈতির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,মোহিতের ঠোঁট নিশ্চুপ যেন চৈতিকে কি বলতে চাইছে,চৈতির দুই হাত ধরলো ।
চৈতি চোখের পাতা ভারী হয়ে আসলো ।
ক্ষত করে দরজা খোলার শব্দ হলো,চৈতির মা দরজা খুলে ভিতরে এলো ।
(চৈতির রুম )
অপছা অন্ধকার ঘর চৈতির মা এসে রুমের বাতি জ্বালালো,
চৈতির মা: কি মা অন্ধকারে বসে আছিস,কি হয়েছে ?
চৈতি:না কিছু না ।
চৈতির মা:দেখ, আমি তোর মা, তুই কিছু না বলেও, আমি বুজতে পেরেছি,সেই ছেলেটির কথা ভাবছিস ।
চৈতি মার মুখে এই কথাটি শুনে পেরে তার মায়ের কাঁদে,মাথা রাখলো,জড়িয়ে ধরলো তার মাকে, চৈতির চোখ থেকে পানি পড়তে লাগলো,
চৈতি: মা তুমি ঠিক বলেছো, আমি তার কথাই ভাবছিলাম,ওর একটা নাটকের কিছুটা অংশ দেখলাম নিপুনের বাড়িতে,মা হয়তো, ও সুজানাকে, বিয়ে করে, সুখে থাকবে কিন্তু আমার জীবনটা তো অন্ধকারে হারিয়ে গেল,আমিতো মোহিতকে ভালোবেসে আলো মুখ দেখলাম না,ওর স্মৃতি গুলো নিয়ে কেন কাঁদতে হয় আমাকে,
একটা দীর্গশাস ফেললো চৈতি
চৈতির মা:তুই কি মনে করিস, ওই মেয়েটিকে নিয়ে ও অনেক সুখে থাকবে, যে অন্যায়ে করে, সে কোনোদিনও শান্তি পায়ে না,চরম শাস্তি পাবে ও ।
চৈতি:মা ও কথা বলো না ।
চৈতির মা:তুই অনেক ভালো মেয়ে, তাই কারো খারাপ চাস না মামনি,আশা করি তোর জীবনে এমন কেউ আসবে যে তোকে অনেক সুখে রাখবে,তুই অনেক সুখী হবি ।
চৈতি:চাইনা,আমি, কেউকে আমার জীবনের সাথে জড়াতে,মা এই কথা প্লিজ বলো না,
চৈতির মা:আচ্ছা ঠিক আছে, এক সময়ে, তুই নিজেই চিন্তা করবি, কাউকে তোর পাশে দরকার,আমার লক্ষি মা,এবার চোখ মুছে ফেল তোর এখন এগিয়ে চলা সময় ,পিছনে যা কিছু হয়েছে তা নিয়ে পড়ে থাকিস না ।
চৈতির মুখে এক কোণায় হাসি ফুটলো
চৈতির মা:চুলগুলো করেছিস কি আয়ে মাথায় তেল দিয়ে দেই ।
চৈতি:মা আমার কাল অফিসে তেল লাগানো মাথা নিয়ে যাবো বলে হাসল ।
চৈতির মা:আচ্ছা,অফিসে যাবার আগে শ্যাম্পু করে নিস্ তা হলেই তো হলো ।
চৈতি:তাহলে, মা দাও
আমার লক্ষি মা ।
(অফিস লিফ্ট )
সবাই দাঁড়িয়ে আছে লিফ্ট ভিতরে,হঠাৎ ৩ তলা থেকে লোক উঠলো,চৈতি সামনে তাকাতেই দেখলো আরিফকে
আরিফ সেই তলা থেকে লিফটে চড়ে উঠলো দাঁড়ালো চৈতিকে দেখেই হাসি মুখে সে বললো কেমন আছেন ?,
চৈতি:হাসি মুখে জবাব দিলো ভালো আছি,আপনার সাথে অনেক পরে দেখা, প্রায় এক মাস মতো তো হবেই
আরিফ:একই অফিস আছি কিন্তু দেখা নেই,এই এক মাস খুব ব্যস্ত ছিলাম ।
লিফ্ট নির্দিষ্ট তলায় এসে দাঁড়ালো,লিফ্ট থেকে লোকজন বাহিরে যেতে শুরু করলো,আরিফ ও চৈতি লিফ্ট থেকে বাহিরে বাড়িয়ে এক পাশে যেয়ে দাঁড়ালো ।
চৈতি:কি হয়েছিল আপনার মার ?
আরিফ:হাই ব্লাড প্রেসার এবং হার্নিয়ার ব্যথা,এই কয়েকদিন আমার মা খুব কষ্ট পেল,মাকে নিয়ে, এই ডাক্তার সেই ডাক্তার কাছে দৈড়া দৈরি তারপর আবার আমার ছোট বোনের ইন্টার এক্সাম ছিল,এসব নানা জামেলা নিয়ে ছিলাম,আপনার কি অবস্থা ?
চৈতি:আমার দিন কেটে যাচ্ছে সাধারণ ভাবে,অফিসের কাজের মাঝে নিজেকে ব্যস্ত রাখা এই আর কি,দোয়া করি আপনার মা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক ।
আরিফ:আর আমিও ভালো থাকবেন, আচ্ছা চলি ।
চৈতি:আরিফ,আপনার ফোন নম্বরটি ?
আরিফ:আমিতো ভুলে গেছিলাম, আমাকে আমার ফোন নম্বর দিতে,সেভ করেন ০১৭৭ ....
চৈতি:করেছি,আমি আমাকে নম্বরটি রিপিট করছি ।
আরিফ:ঠিক আছে ,একটা কল দেবেন ?
চৈতি:দিচ্ছি ।
আরিফ:Got it then bye
পাশের ডেস্ক থেকে কবিতা চৈতিকে দেখে
বললো কি ব্যাপার,আজ তোমাকে এত খুশি খুশি লাগছে যে,কারো সাথে দেখা হয়েছে ?
চৈতি:একজন পরিচিতির সাথে অনেক পর দেখা ।
কবিতা:মনে হয়েছে স্পেশাল কেউ,স্পেশাল কেউ যদি হয়,তার নাম কি বলা যাবে?
চৈতি:সেই রকম স্পেশাল কেউ না আমাদের অফিসেরই একজন ।
কবিতা:তাই, থাক পরে, এক ফাঁকে শুনবো তার কথা ।
চৈতি কবিতার সাথে কথা শেষ তার কাজে মনোযোগ দিলো,চৈতি তার ডেস্ক উপরে রাখা ফাইলে লেখা অক্ষর গুলোতে চোখ বুলাতে থাকলো,লিখবার জন্য পেন বের করলো ডেস্ক থেকে,আশিক ডেস্কের সামনে এসে চেয়ার টেনে বসলো ।
আশিক:তোমার উপরে আমি দারুন রেগে আছি,তুমি এলে না কেন আমার ছোট বোনের জন্মদিনে ?
চৈতি:সরি,সেদিন আমার শরীরটা খারাপ ছিল
আশিক:কি হয়েছিল ?
চৈতি:তেমন কিছুই না জোর ভাব
আশিক:এখন কেমন আছো ?
চৈতি:এখন ভালো, সরি যে জন্মদিনে যেতে পারিনি ।
আশিক:না,তোমার প্রতি আমার রাগ কেটে গেছে চা খাবে,
এই বলে চেয়ার ছেড়ে দাঁড়ালো আশিক,
চৈতি:না এতো ব্যস্ত হয়না আমি খেয়ে এসেছি
চৈতি চোখের পাতা ভারী হয়ে আসলো
ক্ষত করে দরজা খোলার শব্দ হলো,চৈতির মা দরজা খুলে ভিতরে এলো
চৈতির রুম
অপছা অন্ধকার চৈতির মা এসে রুমের বাতি জ্বালালো,
চৈতির মা: কি মা অন্ধকারে বসে আছিস,কি হয়েছে ?
চৈতি:না কিছু না
চৈতির মা:দেখ, আমি তোর মা, তুই কিছু না বলেও, আমি বুজতে পেরেছি,সেই ছেলেটির কথা ভাবছিস,
চৈতি মার মুখে এই কথাটি শুনে পেরে তার মায়ের কাঁদে,মাথা রাখলো, চৈতির চোখ থেকে পানি পড়তে লাগলো,
চৈতি: মা তুমি ঠিক বলেছো, আমি তার কথাই ভাবছিলাম,ওর একটা নাটকের কিছুটা অংশ দেখলাম নিপুনের বাড়িতে,মা হয়তো, ও সুজানাকে, বিয়ে করে, সুখে থাকবে আর আমার জীবনটা অন্ধকারে হারিয়ে গেল, আমিতো মোহিতকে ভালোবেসে আলো মুখ দেখলাম না,ওর স্মৃতি গুলো নিয়ে কেন কাঁদতে হয়ে আমায়,
একটা দীর্গশাস ফেললো চৈতি
চৈতির মা:তুই কি মনে করিস ওই মেয়েটিকে নিয়ে ও অনেক সুখে থাকবে যে অন্যায়ে করে সে কোনোদিনও শান্তি পায়ে না,চরম শাস্তি পাবে,
চৈতি:মা ও কথা বলো না
চৈতির মা:তুই অনেক ভালো মেয়ে তাই কারো খারাপ চাস না মামনি,আশা করি তোর জীবনে এমন কেউ আসবে যে তোকে অনেক সুখে রাখবে,তুই অনেক সুখী হবি মা
চৈতি:চাইনা,আমি, কেউকে আমার জীবনের সাথে জড়াতে,মা এই কথা প্লিজ বলো না,আচ্ছা ঠিক আছে এক সময়ে তুই নিজে চিন্তা করবি, কাউকে তোর পাশে খুব দরকার,আমার লক্ষি মা, চোখ মুছে ফেল তোর জীবনকে নিয়ে এগিয়ে চলা সময় এটা,পিছনে যা কিছু হয়েছে তা নিয়ে পড়ে থাকিস না,
চৈতির মুখে এক কোণায় হাসি ফুটলো
চৈতির মা:চুলগুলো করেছিস কি আয়ে মা, মাথায় তেল দিয়ে দেই,
চৈতি:মা আমার কাল অফিস
চৈতির মা:আচ্ছা,অফিসে যাবার আগে শ্যাম্পু করে নিস্ তা হলেই তো হলো
চৈতি:তাহলে, মা দাও
আমার লক্ষি মা
অফিস লিফ্ট
সবাই দাঁড়িয়ে আছে লিফ্ট ভিতরে,হঠাৎ ৩ তলা থেকে লোক উঠলো,চৈতি সামনে তাকাতেই দেখলো আরিফকে
আরিফ সেই তলা থেকে লিফটে চড়ে উঠলো দাঁড়ালো ,চৈতিকে দেখেই হাসি মুখে সে বললো কেমন আছেন ?,
চৈতি:হাসি মুখে জবাব দিলো ভালো আছি,আপনার সাথে অনেক পরে দেখা, প্রায় এক মাস মতো তো হবেই
আরিফ:একই অফিস আছি কিন্তু দেখা নেই,এই এক মাস খুব ব্যস্ত ছিলাম,
লিফ্ট নির্দিষ্ট তলায় এসে দাঁড়ালো,লিফ্ট থেকে লোকজন বাহিরে যেতে শুরু করলো,আরিফ ও চৈতি লিফ্ট থেকে বাহিরে বাড়িয়ে এক পাশে যেয়ে দাঁড়ালো,
চৈতি:কি হয়েছিল আপনার মার
আরিফ:হাই প্রেসার এবং হার্নিয়া, এতে আমার মা খুব কষ্ট পেল,মা কি নিয়ে, এই ডাক্তার সেই ডাক্তার কাছে দৈড়া দৈরি তারপর আবার আমার ছোট বোনের ইন্টার এক্সাম ছিল,এসব নানা জামেলা, আপনার কি অবস্থা ?
চৈতি:আমার দিন কেটে যাচ্ছে সাধারণ ভাবে,অফিসের কাজের মাঝে নিজেকে ব্যস্ত রাখা এই আর কি,দোয়া করি আপনার মা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে
আরিফ:আর আমিও ভালো থাকবেন, আচ্ছা চলি
চৈতি:আরিফ, আপনার ফোন নম্বরটি
আরিফ:আমিতো ভুলে গেছিলাম আমাকে আমার ফোন নম্বর দিতে,সেভ করেন ০১৭৭ ....
চৈতি:করেছি,আমি আমাকে নম্বরটি রিপিট করছি
আরিফ:ঠিক আছে ,একটা কল দেবেন ?
চৈতি:দিচ্ছি
আরিফ:Got it then bye
পাশের ডেস্ক থেকে কবিতা চৈতিকে দেখে বললো কি ব্যাপার,আজ তোমাকে খুশি খুশি লাগছে যে, কারো সাথে দেখা হয়েছেন
চৈতি:একজন পরিচিতির সাথে অনেক পর দেখা
কবিতা :মনে হয়েছে স্পেশাল কেউ, স্পেশাল কেউ যদি হয়,তার নাম কি বলা যাবে?
চৈতি:সেই রকম স্পেশাল কেউ না আমাদের অফিসেরই একজন
কবিতা:তাই, থাক পরে, এক ফাঁকে শুনবো তার কথা
চৈতি তার ডেস্ক উপরে রাখা ফাইলে লেখা অক্ষর গুলোতে চোখ বুলাতে থাকলো,লিখবার জন্য পেন বের করলো ডেস্ক থেকে
আশিক ডেস্কের সামনে এসে চেয়ার টেনে বসলো,
আশিক:তোমার উপরে আমি দারুন রেগে আছি,তুমি এলে না কেন আমার ছোট বোনের জন্মদিনে,
চৈতি:সরি,সেদিন আমার শরীরটা খারাপ ছিল
আশিক:কি হয়েছিল ?
চৈতি:তেমন কিছুই না জোর ভাব
আশিক:এখন কেমন আছো ?
চৈতি:এখন ভালো, সরি যে জন্মদিনে যেতে পারিনি
আশিক:না,তোমার প্রতি আমার রাগ কেটে গেছে চা খাবে,
এই বলে চেয়ার ছেড়ে দাঁড়ালো আশিক,
চৈতি:না এতো ব্যস্ত হয়না আমি খেয়ে এসেছি ।
চৈতি কিছুক্ষণের জন্য তার চোখ বন্ধ করলো, চোখ খুলতেই দেখতে পেল,মোহিত তার পাশে বসে চৈতির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,মোহিতের ঠোঁট নিশ্চুপ যেন চৈতিকে কি বলতে চাইছে,চৈতির দুই হাত ধরলো ।
চৈতি চোখের পাতা ভারী হয়ে আসলো ।
ক্ষত করে দরজা খোলার শব্দ হলো,চৈতির মা দরজা খুলে ভিতরে এলো ।
(চৈতির রুম )
অপছা অন্ধকার ঘর চৈতির মা এসে রুমের বাতি জ্বালালো,
চৈতির মা: কি মা অন্ধকারে বসে আছিস,কি হয়েছে ?
চৈতি:না কিছু না ।
চৈতির মা:দেখ, আমি তোর মা, তুই কিছু না বলেও, আমি বুজতে পেরেছি,সেই ছেলেটির কথা ভাবছিস ।
চৈতি মার মুখে এই কথাটি শুনে পেরে তার মায়ের কাঁদে,মাথা রাখলো,জড়িয়ে ধরলো তার মাকে, চৈতির চোখ থেকে পানি পড়তে লাগলো,
চৈতি: মা তুমি ঠিক বলেছো, আমি তার কথাই ভাবছিলাম,ওর একটা নাটকের কিছুটা অংশ দেখলাম নিপুনের বাড়িতে,মা হয়তো, ও সুজানাকে, বিয়ে করে, সুখে থাকবে কিন্তু আমার জীবনটা তো অন্ধকারে হারিয়ে গেল,আমিতো মোহিতকে ভালোবেসে আলো মুখ দেখলাম না,ওর স্মৃতি গুলো নিয়ে কেন কাঁদতে হয় আমাকে,
একটা দীর্গশাস ফেললো চৈতি
চৈতির মা:তুই কি মনে করিস, ওই মেয়েটিকে নিয়ে ও অনেক সুখে থাকবে, যে অন্যায়ে করে, সে কোনোদিনও শান্তি পায়ে না,চরম শাস্তি পাবে ও ।
চৈতি:মা ও কথা বলো না ।
চৈতির মা:তুই অনেক ভালো মেয়ে, তাই কারো খারাপ চাস না মামনি,আশা করি তোর জীবনে এমন কেউ আসবে যে তোকে অনেক সুখে রাখবে,তুই অনেক সুখী হবি ।
চৈতি:চাইনা,আমি, কেউকে আমার জীবনের সাথে জড়াতে,মা এই কথা প্লিজ বলো না,
চৈতির মা:আচ্ছা ঠিক আছে, এক সময়ে, তুই নিজেই চিন্তা করবি, কাউকে তোর পাশে দরকার,আমার লক্ষি মা,এবার চোখ মুছে ফেল তোর এখন এগিয়ে চলা সময় ,পিছনে যা কিছু হয়েছে তা নিয়ে পড়ে থাকিস না ।
চৈতির মুখে এক কোণায় হাসি ফুটলো
চৈতির মা:চুলগুলো করেছিস কি আয়ে মাথায় তেল দিয়ে দেই ।
চৈতি:মা আমার কাল অফিসে তেল লাগানো মাথা নিয়ে যাবো বলে হাসল ।
চৈতির মা:আচ্ছা,অফিসে যাবার আগে শ্যাম্পু করে নিস্ তা হলেই তো হলো ।
চৈতি:তাহলে, মা দাও
আমার লক্ষি মা ।
(অফিস লিফ্ট )
সবাই দাঁড়িয়ে আছে লিফ্ট ভিতরে,হঠাৎ ৩ তলা থেকে লোক উঠলো,চৈতি সামনে তাকাতেই দেখলো আরিফকে
আরিফ সেই তলা থেকে লিফটে চড়ে উঠলো দাঁড়ালো চৈতিকে দেখেই হাসি মুখে সে বললো কেমন আছেন ?,
চৈতি:হাসি মুখে জবাব দিলো ভালো আছি,আপনার সাথে অনেক পরে দেখা, প্রায় এক মাস মতো তো হবেই
আরিফ:একই অফিস আছি কিন্তু দেখা নেই,এই এক মাস খুব ব্যস্ত ছিলাম ।
লিফ্ট নির্দিষ্ট তলায় এসে দাঁড়ালো,লিফ্ট থেকে লোকজন বাহিরে যেতে শুরু করলো,আরিফ ও চৈতি লিফ্ট থেকে বাহিরে বাড়িয়ে এক পাশে যেয়ে দাঁড়ালো ।
চৈতি:কি হয়েছিল আপনার মার ?
আরিফ:হাই ব্লাড প্রেসার এবং হার্নিয়ার ব্যথা,এই কয়েকদিন আমার মা খুব কষ্ট পেল,মাকে নিয়ে, এই ডাক্তার সেই ডাক্তার কাছে দৈড়া দৈরি তারপর আবার আমার ছোট বোনের ইন্টার এক্সাম ছিল,এসব নানা জামেলা নিয়ে ছিলাম,আপনার কি অবস্থা ?
চৈতি:আমার দিন কেটে যাচ্ছে সাধারণ ভাবে,অফিসের কাজের মাঝে নিজেকে ব্যস্ত রাখা এই আর কি,দোয়া করি আপনার মা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক ।
আরিফ:আর আমিও ভালো থাকবেন, আচ্ছা চলি ।
চৈতি:আরিফ,আপনার ফোন নম্বরটি ?
আরিফ:আমিতো ভুলে গেছিলাম, আমাকে আমার ফোন নম্বর দিতে,সেভ করেন ০১৭৭ ....
চৈতি:করেছি,আমি আমাকে নম্বরটি রিপিট করছি ।
আরিফ:ঠিক আছে ,একটা কল দেবেন ?
চৈতি:দিচ্ছি ।
আরিফ:Got it then bye
পাশের ডেস্ক থেকে কবিতা চৈতিকে দেখে
বললো কি ব্যাপার,আজ তোমাকে এত খুশি খুশি লাগছে যে,কারো সাথে দেখা হয়েছে ?
চৈতি:একজন পরিচিতির সাথে অনেক পর দেখা ।
কবিতা:মনে হয়েছে স্পেশাল কেউ,স্পেশাল কেউ যদি হয়,তার নাম কি বলা যাবে?
চৈতি:সেই রকম স্পেশাল কেউ না আমাদের অফিসেরই একজন ।
কবিতা:তাই, থাক পরে, এক ফাঁকে শুনবো তার কথা ।
চৈতি কবিতার সাথে কথা শেষ তার কাজে মনোযোগ দিলো,চৈতি তার ডেস্ক উপরে রাখা ফাইলে লেখা অক্ষর গুলোতে চোখ বুলাতে থাকলো,লিখবার জন্য পেন বের করলো ডেস্ক থেকে,আশিক ডেস্কের সামনে এসে চেয়ার টেনে বসলো ।
আশিক:তোমার উপরে আমি দারুন রেগে আছি,তুমি এলে না কেন আমার ছোট বোনের জন্মদিনে ?
চৈতি:সরি,সেদিন আমার শরীরটা খারাপ ছিল
আশিক:কি হয়েছিল ?
চৈতি:তেমন কিছুই না জোর ভাব
আশিক:এখন কেমন আছো ?
চৈতি:এখন ভালো, সরি যে জন্মদিনে যেতে পারিনি ।
আশিক:না,তোমার প্রতি আমার রাগ কেটে গেছে চা খাবে,
এই বলে চেয়ার ছেড়ে দাঁড়ালো আশিক,
চৈতি:না এতো ব্যস্ত হয়না আমি খেয়ে এসেছি
চৈতি চোখের পাতা ভারী হয়ে আসলো
ক্ষত করে দরজা খোলার শব্দ হলো,চৈতির মা দরজা খুলে ভিতরে এলো
চৈতির রুম
অপছা অন্ধকার চৈতির মা এসে রুমের বাতি জ্বালালো,
চৈতির মা: কি মা অন্ধকারে বসে আছিস,কি হয়েছে ?
চৈতি:না কিছু না
চৈতির মা:দেখ, আমি তোর মা, তুই কিছু না বলেও, আমি বুজতে পেরেছি,সেই ছেলেটির কথা ভাবছিস,
চৈতি মার মুখে এই কথাটি শুনে পেরে তার মায়ের কাঁদে,মাথা রাখলো, চৈতির চোখ থেকে পানি পড়তে লাগলো,
চৈতি: মা তুমি ঠিক বলেছো, আমি তার কথাই ভাবছিলাম,ওর একটা নাটকের কিছুটা অংশ দেখলাম নিপুনের বাড়িতে,মা হয়তো, ও সুজানাকে, বিয়ে করে, সুখে থাকবে আর আমার জীবনটা অন্ধকারে হারিয়ে গেল, আমিতো মোহিতকে ভালোবেসে আলো মুখ দেখলাম না,ওর স্মৃতি গুলো নিয়ে কেন কাঁদতে হয়ে আমায়,
একটা দীর্গশাস ফেললো চৈতি
চৈতির মা:তুই কি মনে করিস ওই মেয়েটিকে নিয়ে ও অনেক সুখে থাকবে যে অন্যায়ে করে সে কোনোদিনও শান্তি পায়ে না,চরম শাস্তি পাবে,
চৈতি:মা ও কথা বলো না
চৈতির মা:তুই অনেক ভালো মেয়ে তাই কারো খারাপ চাস না মামনি,আশা করি তোর জীবনে এমন কেউ আসবে যে তোকে অনেক সুখে রাখবে,তুই অনেক সুখী হবি মা
চৈতি:চাইনা,আমি, কেউকে আমার জীবনের সাথে জড়াতে,মা এই কথা প্লিজ বলো না,আচ্ছা ঠিক আছে এক সময়ে তুই নিজে চিন্তা করবি, কাউকে তোর পাশে খুব দরকার,আমার লক্ষি মা, চোখ মুছে ফেল তোর জীবনকে নিয়ে এগিয়ে চলা সময় এটা,পিছনে যা কিছু হয়েছে তা নিয়ে পড়ে থাকিস না,
চৈতির মুখে এক কোণায় হাসি ফুটলো
চৈতির মা:চুলগুলো করেছিস কি আয়ে মা, মাথায় তেল দিয়ে দেই,
চৈতি:মা আমার কাল অফিস
চৈতির মা:আচ্ছা,অফিসে যাবার আগে শ্যাম্পু করে নিস্ তা হলেই তো হলো
চৈতি:তাহলে, মা দাও
আমার লক্ষি মা
অফিস লিফ্ট
সবাই দাঁড়িয়ে আছে লিফ্ট ভিতরে,হঠাৎ ৩ তলা থেকে লোক উঠলো,চৈতি সামনে তাকাতেই দেখলো আরিফকে
আরিফ সেই তলা থেকে লিফটে চড়ে উঠলো দাঁড়ালো ,চৈতিকে দেখেই হাসি মুখে সে বললো কেমন আছেন ?,
চৈতি:হাসি মুখে জবাব দিলো ভালো আছি,আপনার সাথে অনেক পরে দেখা, প্রায় এক মাস মতো তো হবেই
আরিফ:একই অফিস আছি কিন্তু দেখা নেই,এই এক মাস খুব ব্যস্ত ছিলাম,
লিফ্ট নির্দিষ্ট তলায় এসে দাঁড়ালো,লিফ্ট থেকে লোকজন বাহিরে যেতে শুরু করলো,আরিফ ও চৈতি লিফ্ট থেকে বাহিরে বাড়িয়ে এক পাশে যেয়ে দাঁড়ালো,
চৈতি:কি হয়েছিল আপনার মার
আরিফ:হাই প্রেসার এবং হার্নিয়া, এতে আমার মা খুব কষ্ট পেল,মা কি নিয়ে, এই ডাক্তার সেই ডাক্তার কাছে দৈড়া দৈরি তারপর আবার আমার ছোট বোনের ইন্টার এক্সাম ছিল,এসব নানা জামেলা, আপনার কি অবস্থা ?
চৈতি:আমার দিন কেটে যাচ্ছে সাধারণ ভাবে,অফিসের কাজের মাঝে নিজেকে ব্যস্ত রাখা এই আর কি,দোয়া করি আপনার মা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে
আরিফ:আর আমিও ভালো থাকবেন, আচ্ছা চলি
চৈতি:আরিফ, আপনার ফোন নম্বরটি
আরিফ:আমিতো ভুলে গেছিলাম আমাকে আমার ফোন নম্বর দিতে,সেভ করেন ০১৭৭ ....
চৈতি:করেছি,আমি আমাকে নম্বরটি রিপিট করছি
আরিফ:ঠিক আছে ,একটা কল দেবেন ?
চৈতি:দিচ্ছি
আরিফ:Got it then bye
পাশের ডেস্ক থেকে কবিতা চৈতিকে দেখে বললো কি ব্যাপার,আজ তোমাকে খুশি খুশি লাগছে যে, কারো সাথে দেখা হয়েছেন
চৈতি:একজন পরিচিতির সাথে অনেক পর দেখা
কবিতা :মনে হয়েছে স্পেশাল কেউ, স্পেশাল কেউ যদি হয়,তার নাম কি বলা যাবে?
চৈতি:সেই রকম স্পেশাল কেউ না আমাদের অফিসেরই একজন
কবিতা:তাই, থাক পরে, এক ফাঁকে শুনবো তার কথা
চৈতি তার ডেস্ক উপরে রাখা ফাইলে লেখা অক্ষর গুলোতে চোখ বুলাতে থাকলো,লিখবার জন্য পেন বের করলো ডেস্ক থেকে
আশিক ডেস্কের সামনে এসে চেয়ার টেনে বসলো,
আশিক:তোমার উপরে আমি দারুন রেগে আছি,তুমি এলে না কেন আমার ছোট বোনের জন্মদিনে,
চৈতি:সরি,সেদিন আমার শরীরটা খারাপ ছিল
আশিক:কি হয়েছিল ?
চৈতি:তেমন কিছুই না জোর ভাব
আশিক:এখন কেমন আছো ?
চৈতি:এখন ভালো, সরি যে জন্মদিনে যেতে পারিনি
আশিক:না,তোমার প্রতি আমার রাগ কেটে গেছে চা খাবে,
এই বলে চেয়ার ছেড়ে দাঁড়ালো আশিক,
চৈতি:না এতো ব্যস্ত হয়না আমি খেয়ে এসেছি ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জামাল উদ্দিন জীবন ২৩/০৮/২০২১সুন্দর
-
সোহরাব রিপন ১৩/১০/২০১৮ভাল লেগেছে
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১১/১০/২০১৮গল্পের ভাষা আরও সুসংহত হওয়া প্রয়োজন।
-
গোলাম মুস্তাফা ১১/১০/২০১৮নাটকীয় পরিবেশ আছে। খুব ভাল
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১১/১০/২০১৮বেশ লেগেছে।