ধর্যশীল-৪ ফিনাল
(অফিস বিল্ডিং )
সকাল বেলা ..........
অফিসে যাবতীয়, দৈনিক কাজ চলছে, চৈতি তার ডেস্কে বসে, তার সামনে কম্পিউটারে তার কাজ করছিলো ঠিক, সেই সময়ে পাশের ডেস্ক থেকে একজন ভদ্রলোক উঠে এসে দাঁড়ালো চৈতির ডেস্কের সামনে এবং বললো "hi".....লোকটি অফিস ড্রেস পরা কালো প্যান্ট ও হালকা রঙের শার্ট এবং
তার গলার ঝুলানো, অফিসের পরিচয় পত্র এবং পাওয়ার আলা চশমা ।
চৈতি কাজ করা রেখে দিয়ে লোকটার দিকে মাথা তুলে তাকালো এবং চৈতি তাকে উদ্দেশ করে বললো "hello"...
লোকটি:আমি, রনি আহমেদ, আপনার desk এর ঠিক পরবর্তী দিকে দুটো ডেস্কের পাশের আমার ডেস্কে পরে,আপনি তো জানেন, দেখেছেন ।
বেশ কিছুদিন ধরে দেখেছি আপনাকে, তাই নিজেই Introduce হতে চলে এলাম । আর আমি বেশ কয়েকদিন ছুটিতে ছিলাম ।
চৈতি:ওহ আচ্ছা…… বসুন...
রনি আহমেদ: Thankyou…….পরিচয় জানতে চাই ? আর অফিস কেমন লাগছে চৈতি হেসে বললো,
চৈতি: আমার নাম চৈতি ইসলাম নাদিয়া । Computer Science B.s.c ( Hons ) এবং Post Graduate Diploma-Computer Science পাস করেছি Brac University
থেকে এই তো।
রনি আহমেদ: আমাদের অফিস কেমন লাগছে ?
চৈতি: বিষণ ভালো লাগছে, এক কথায়ে যদি বলি বেশ চমৎকার এবং আমি Proud যে এত বড় একটা পত্রিকা অফিসে কাজ করতে পেরে ।
রনি আহমেদ: এবার আমার পরিচয়টা দেয়া যাক। আমার নামটা তো আগেই বলেছি । আমি গ্রীন ইউনিভার্সিটি থেকে জার্নালিজমে অনার্স করেছি , ৬ বছর আগে। এর আগে আমি অন্য পত্রিকায় চাকরি করতাম, যখন আমি ছাত্র জীবনে মধ্যে অতিবাহিত করছিলাম basically এই পত্রিকা অফিসটা আত্মীয় সূত্রের পাওয়া । জনাব ইমরুল কায়েস. আমার খালু হন ।
চৈতি:আচ্ছা
রনি আহমেদ: actually আমার খালার শ্বশুর সাহেবের এই পত্রিকাটা অফিস ওনা Dream Project । উনার হাত ধরে শুরু হয়েছে এই পত্রিকার যাত্রা
আমাদের মূল “motive” এইযে ,,,,,,,সুষ্ঠু ও সুন্দর সংবাদ আমরা প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিব ।
আশা করি আপনি ভবিষ্যতে ও আমাদের সাথে কাজ করবেন । আপনার বেশ প্রশংসা শুনলাম অন্যদের কাছে , এভাবেই sincerely আমার সাথে কাজ করে যাবে ।
আপনার বেশ প্রশংসা শুনলাম অন্যদের কাছে , এভাবেই sincerely আমার সাথে কাজ করে যাবে ।
মিস চৈতি । wish you a good sucess .
চৈতি : জি স্যার।
রনি আহমেদ । না, না স্যার না বলবেন ভাইয়া only রনি ভাইয়া।
By the way আপনি কোথায় থাকেন? মিস চৈতি ?
চৈতি : জি ভাইয়া, Lalmatia
রনি আহমেদ ঃ ও, আমি থাকি মোহাম্মদপুরে । ধানমণ্ডি, আর মোহাম্মদপুর তো বেশ কাছে ।
রনি আহমেদ তার ডান হাতে ধরা কলমটা দিয়ে কলম ডেস্ক এর উপরে “ঠক ঠক “ শব্দ করে ঘষছিল ।
হাসি মুখে জবাব দিল চৈতি ।
চৈতি ঃ একেবারে কিন্তু ভাইয়া, বেশি কাছে না বেশি দূর আছে ।
রনি আহমেদ । টেবিলের উপর নিজের কলম দিয়ে ঠকঠক করা বাদ দিয়ে, তার চশমার ভিতর দিয়ে অবাক দৃষ্টিতে তাকাল দিকে তাকালো । এবং বলল ,,,,,, রনি আহমেদ ।
রনি আহমেদ ঃ Very smart আপনার মত স্মার্ট, দেখতে সুন্দরী, qualified employee তো চাই ।
রনি আহমেদ: তা কি কাজ করছিলেন ?
চৈতি : জি, হিসাবের ফাইল গুলো ঠিক করছিলাম ।
রনি আহমেদ:ঠিক আছে ...... করেন, মাঝে মাঝে কিন্তু আপনার সাথে গল্প করতে আসবো ……এখন চলি …………।।
......
চৈতি তার মোবাইল চেক করলো।
কারন কিছুক্ষণ আগে একটা miss call এসেছিল.Misscal টা কার সেটা দেখবার জন্য মোবাইল চেক করছিল দেখল, চৈতির বান্ধবী রিপার কাছ থেকে call এসেছে, সেটা দেখে চৈতি রিপাকে ফোন দিল ।
চৈতি মোবাইল ফোনে কথা বলছে ............
চৈতি ঃ সরি দোস্ত, ফোন ধরতে পারিনি ,,,,,,, দেখলাম তোর মিসসচাল ।
অফিসের এক colleague এসেছিল আমার সাথে পরিচিত হতে ।
তার সাথে কথা বলছিলাম,
রিপা ঃ তুই, শুক্রবারে ফ্রি আছিস তিনটার দিকে?
চৈতি । হ্যাঁ কেন রে? রিপা ।
রিপা ঃ নাজনীন আর সারা মিলে মুভি দেখা।। প্লান করেছে ওই মুভিটা যে ছবিটা theatre এ ভাল চলছে ।
চৈতি ঃ ও আচ্ছা তাই অবশ্যই যাবো, আমি এখনই রিমাইন্ডার দিয়ে রাখছি আচ্ছা
টিকিটের মূল্য কত টাকা ?
রিপা ঃ ২৫০ থেকে ৪00 ধরে রাখ ।
চৈতি ঃ আচ্ছা , আমি অন টাইমে পৌঁছে যাব ।
রিপা ঃ কি রে? তোর গলাটা এরকম ভার ভার লাগছে কেন ?
তোর কি মুড অফ , কোন ব্যাপারে আপসেট নাকি?
চৈতি ঃ ঠিক ধরেছিস রিপা,একটু mood off
রিপা ঃএকটু আগে যে লোকটি আমার সাথে পরিচিত হতে এসেছিল সে লোকটিকে আমার কাছে ছেচরা টাইপের লেগেছে .....
রিপা ঃ মেয়েরা সব ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা ভুগে এর জন্য দায়ী, আমাদের পরিবেশটা
আমিও এসব মাঝে মাঝে face করি চৈতি । “Don’t worry”.
চৈতি : এই চাকরিটা আমি কষ্ট করে পেয়েছি তোরা তো সবাই জানিস, এখন ছেড়ে যদি দেই কিভাবে চলবে ।
চৈতির কন্ঠে হতাশার সুর ভেসে উঠলো …….একটা দীর্ঘশ্বাস।
হৃদয় জুড়ে শুধু ব্যর্থতা আর ব্যর্থতা।
রিপা : শোন, মনের ভিতরে সাহস রাখবি, সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস রাখ । আর রাখ প্রবল ধার্য একমাত্র ধার্যশীলরাই পারে জীবনে সাফল্য আনে আল্লাহতালা আমাদের সবাইকে কোন না কোন সমস্যা জর্জরিত করে পরীক্ষা করেন।
আর আজকাল ছেলেরা তো এমনই হয়ে গেছে। দেবদূত পাবি কোথায়? চৈতি ।
চৈতি ঃ সত্যি কি আসবে আমার জীবনে কোন দেবদূত ?
( সন্ধ্যায় )
অফিস ছুটি হয়ে গেছে রাস্তার বাতি গুলো জ্বলে উঠেছে, চৈতি রাস্তা এক পাশে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে অফিসের বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল ।
হঠাৎ আরিফ এসে পাশে দাঁড়ালো, আরিফ ফোন কথা বলায়ে বাস্ত ছিল বলে
চৈতি একবার আরিফের দিকে, তাকালো,কিন্তু সে কোন ভাবে খেল করতে পারল না আরিফকে । আরিফ মোবাইল ফোনে কথা বলা শেষ করে চৈতির দিকে তাকাতে চিনে গেল ।
আরিফ ঃ চিনতে পারছেন আমাকে ? ওই যে ব্যাগের ঘটনাটি, আপনি ব্যাগ ফেলে এসেছিলাম মনে আছে ।
চৈতি ঃ হ্যাঁ, তাইতো ভাবছি আপনাকে যেন আমি কোথায় দেখেছি ।
আরিফ ঃ দেখেন, আপনি আপনাকে আমি ঠিকই মনে রেখেছি ।
চৈতি ঃ তাই তো দেখছি। অফিস থেকে বাসায়ে যাওয়ার জন্য bus এর জন্য ওয়েট করেছেন ?
মনের অজান্তেই এই কথাগুলো কেমন ভাবে আরিফকে বলে ফেলল,
আরিফ ঃ RNZ Tower এর পত্রিকা অফিসে আমি জব করি,
চৈতি ঃ তাই আমিও,ওই RNZ Tower বিল্ডিং আছি দিনকাল এ জব করি ।
আরিফ : Oh my God . আমি তো ওই পত্রিকা অফিসে জব করি Senior Journalist Arif Iqbal, বিনোদন পাতা ।
আরিফ হাত এগিয়ে দিলো চৈতির “হাত মিলানোর জন্য”
চৈতি ঃ চৈতি ইসলাম নাদিয়া
"আরিফ : “ What a Coincidence" আপনি কোন ডিপার্টমেন্টে কর্মরত ?
চৈতি ঃ Financial Department
চৈতি : তাই, অনেক ভালো লাগছে শুনে, একটা পুরনো মানুষের দেখা পেলাম।
( অফিস বাস এসে পরেছে )
অফিস এমপ্লয়ীরা তারাহুরা করে বসে উঠে পরলো,বাসের ভিতরে,ভাগ্যের কি অপরূপ লীলাখেলা,
বাসের ভিতরে আরিফ চৈতির পাশের খালি সিটাতে বসে পরলো, যার কয়েক মাস আগে দেখা হলো ঠিক সেই মানুষটাই এখন তার পাসে বসা ।
বাস চলছে ……………..
আরিফ: কেমন আছে ?
চৈতি: জি, ভালো আছি, আপনি?
আরিফ: দৈনিক দিনকাল অফিসে আপনি কবে থেকে join করেছেন ?
চৈতি: 2 weeks হবে ........
আরিফ:তাই, আমি এখানে Job করছি , প্রায় ৭ বছর ধরে মিডিয়া সাংবাদিক হিসাবে ।
মিডিয়ার তর তাজা খবরের কভার করি । ভালই হল আপনাকে পেয়ে collegue
হিসাবে । অফিস বাস use করি না লোকাল বাস এ উঠি ,but আজকে একটা বিশেষ কারণে এই bus kore বাসার দিকে যাচ্ছি আর আপনার সাথে দেখা হয়ে গেলো ।
ভাগ্যের কি অপূর্ব নিদর্শন দেখেন ।
আমি কিন্তু সাধারণত এই অফিসের By the way আপনি থাকেন কোথায় ?
চৈতি:লালমাটিয়া
আরিফ: আমি মিরপুর-১ ।
চৈতি: আমরা একই অফিস আছি তাই আমার কাছে কেমন যেন,
স্বপ্নের মতো লাগছে ।
আরিফ: লাগাতেই স্বাভাবিক ।
রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামের বাস দাঁড়িয়ে আছে রাস্তায়, দুইজন কথা বলছে চলছে হাসাহাসি,
জ্যাম ছাড়ল বাস চলতে শুরু করলো, বাস চলতে চলতে লালমাটিয়ার ধানমন্ডি ২৭ তে এসে পিছালো ।
চৈতি আরিফ কাছে থেকে বিদায়ে নিয়ে বাস থেকে নেমে পড়লো । হেঁটে হেঁটে বাসায়ে ফিরলো ।
লালমাটিয়ার এ ব্লক তার বাসা ।
( চৈতির বাসা )
বাবার রুম চৈতি
তার বাবাকে ঔষুধ খাওয়াতে এলো
চৈতির বাবা (হুমায়ন কবির) : কিরে মা, অফিসে ঠিক মতো খাবার খাছিস তো ?
চৈতি: আমি ঠিক মতো খাবার খাই ।
বাবা:না,আমার চোখের ভুল হতে পারে, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হও ।
মা (মমতা খানম )রুমের ভিতরে প্রবেশ করলো এবং বললো
মেয়েকে যে খাবার খাওয়ার কথা বলছো আর ওই দিকে তোমার ছোট ছেলে,খাবার না খেয়ে,
খালি Games খেলছে আমি কতবার বললাম, সে শুনলনা আমাকে বলে " তার ক্ষিদে নেই সে নাকি খুব ব্যাস্ত Level 5 এ এই লেভেলটা পার তাকে হতেই হবে
চৈতি: হাসলো মা এইটা এখনকার trend আমি দেখছি ।
সাজিব (ছোটভাই ) এর রুমে চৈতি সাজিব মোবাইল টিপছে
চৈতি: এই ভাত খাবি না ?
সজীব ঃ আচ্ছা তোরা এতো বিরক্ত করছি কেন ?
সকাল বেলা ..........
অফিসে যাবতীয়, দৈনিক কাজ চলছে, চৈতি তার ডেস্কে বসে, তার সামনে কম্পিউটারে তার কাজ করছিলো ঠিক, সেই সময়ে পাশের ডেস্ক থেকে একজন ভদ্রলোক উঠে এসে দাঁড়ালো চৈতির ডেস্কের সামনে এবং বললো "hi".....লোকটি অফিস ড্রেস পরা কালো প্যান্ট ও হালকা রঙের শার্ট এবং
তার গলার ঝুলানো, অফিসের পরিচয় পত্র এবং পাওয়ার আলা চশমা ।
চৈতি কাজ করা রেখে দিয়ে লোকটার দিকে মাথা তুলে তাকালো এবং চৈতি তাকে উদ্দেশ করে বললো "hello"...
লোকটি:আমি, রনি আহমেদ, আপনার desk এর ঠিক পরবর্তী দিকে দুটো ডেস্কের পাশের আমার ডেস্কে পরে,আপনি তো জানেন, দেখেছেন ।
বেশ কিছুদিন ধরে দেখেছি আপনাকে, তাই নিজেই Introduce হতে চলে এলাম । আর আমি বেশ কয়েকদিন ছুটিতে ছিলাম ।
চৈতি:ওহ আচ্ছা…… বসুন...
রনি আহমেদ: Thankyou…….পরিচয় জানতে চাই ? আর অফিস কেমন লাগছে চৈতি হেসে বললো,
চৈতি: আমার নাম চৈতি ইসলাম নাদিয়া । Computer Science B.s.c ( Hons ) এবং Post Graduate Diploma-Computer Science পাস করেছি Brac University
থেকে এই তো।
রনি আহমেদ: আমাদের অফিস কেমন লাগছে ?
চৈতি: বিষণ ভালো লাগছে, এক কথায়ে যদি বলি বেশ চমৎকার এবং আমি Proud যে এত বড় একটা পত্রিকা অফিসে কাজ করতে পেরে ।
রনি আহমেদ: এবার আমার পরিচয়টা দেয়া যাক। আমার নামটা তো আগেই বলেছি । আমি গ্রীন ইউনিভার্সিটি থেকে জার্নালিজমে অনার্স করেছি , ৬ বছর আগে। এর আগে আমি অন্য পত্রিকায় চাকরি করতাম, যখন আমি ছাত্র জীবনে মধ্যে অতিবাহিত করছিলাম basically এই পত্রিকা অফিসটা আত্মীয় সূত্রের পাওয়া । জনাব ইমরুল কায়েস. আমার খালু হন ।
চৈতি:আচ্ছা
রনি আহমেদ: actually আমার খালার শ্বশুর সাহেবের এই পত্রিকাটা অফিস ওনা Dream Project । উনার হাত ধরে শুরু হয়েছে এই পত্রিকার যাত্রা
আমাদের মূল “motive” এইযে ,,,,,,,সুষ্ঠু ও সুন্দর সংবাদ আমরা প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিব ।
আশা করি আপনি ভবিষ্যতে ও আমাদের সাথে কাজ করবেন । আপনার বেশ প্রশংসা শুনলাম অন্যদের কাছে , এভাবেই sincerely আমার সাথে কাজ করে যাবে ।
আপনার বেশ প্রশংসা শুনলাম অন্যদের কাছে , এভাবেই sincerely আমার সাথে কাজ করে যাবে ।
মিস চৈতি । wish you a good sucess .
চৈতি : জি স্যার।
রনি আহমেদ । না, না স্যার না বলবেন ভাইয়া only রনি ভাইয়া।
By the way আপনি কোথায় থাকেন? মিস চৈতি ?
চৈতি : জি ভাইয়া, Lalmatia
রনি আহমেদ ঃ ও, আমি থাকি মোহাম্মদপুরে । ধানমণ্ডি, আর মোহাম্মদপুর তো বেশ কাছে ।
রনি আহমেদ তার ডান হাতে ধরা কলমটা দিয়ে কলম ডেস্ক এর উপরে “ঠক ঠক “ শব্দ করে ঘষছিল ।
হাসি মুখে জবাব দিল চৈতি ।
চৈতি ঃ একেবারে কিন্তু ভাইয়া, বেশি কাছে না বেশি দূর আছে ।
রনি আহমেদ । টেবিলের উপর নিজের কলম দিয়ে ঠকঠক করা বাদ দিয়ে, তার চশমার ভিতর দিয়ে অবাক দৃষ্টিতে তাকাল দিকে তাকালো । এবং বলল ,,,,,, রনি আহমেদ ।
রনি আহমেদ ঃ Very smart আপনার মত স্মার্ট, দেখতে সুন্দরী, qualified employee তো চাই ।
রনি আহমেদ: তা কি কাজ করছিলেন ?
চৈতি : জি, হিসাবের ফাইল গুলো ঠিক করছিলাম ।
রনি আহমেদ:ঠিক আছে ...... করেন, মাঝে মাঝে কিন্তু আপনার সাথে গল্প করতে আসবো ……এখন চলি …………।।
......
চৈতি তার মোবাইল চেক করলো।
কারন কিছুক্ষণ আগে একটা miss call এসেছিল.Misscal টা কার সেটা দেখবার জন্য মোবাইল চেক করছিল দেখল, চৈতির বান্ধবী রিপার কাছ থেকে call এসেছে, সেটা দেখে চৈতি রিপাকে ফোন দিল ।
চৈতি মোবাইল ফোনে কথা বলছে ............
চৈতি ঃ সরি দোস্ত, ফোন ধরতে পারিনি ,,,,,,, দেখলাম তোর মিসসচাল ।
অফিসের এক colleague এসেছিল আমার সাথে পরিচিত হতে ।
তার সাথে কথা বলছিলাম,
রিপা ঃ তুই, শুক্রবারে ফ্রি আছিস তিনটার দিকে?
চৈতি । হ্যাঁ কেন রে? রিপা ।
রিপা ঃ নাজনীন আর সারা মিলে মুভি দেখা।। প্লান করেছে ওই মুভিটা যে ছবিটা theatre এ ভাল চলছে ।
চৈতি ঃ ও আচ্ছা তাই অবশ্যই যাবো, আমি এখনই রিমাইন্ডার দিয়ে রাখছি আচ্ছা
টিকিটের মূল্য কত টাকা ?
রিপা ঃ ২৫০ থেকে ৪00 ধরে রাখ ।
চৈতি ঃ আচ্ছা , আমি অন টাইমে পৌঁছে যাব ।
রিপা ঃ কি রে? তোর গলাটা এরকম ভার ভার লাগছে কেন ?
তোর কি মুড অফ , কোন ব্যাপারে আপসেট নাকি?
চৈতি ঃ ঠিক ধরেছিস রিপা,একটু mood off
রিপা ঃএকটু আগে যে লোকটি আমার সাথে পরিচিত হতে এসেছিল সে লোকটিকে আমার কাছে ছেচরা টাইপের লেগেছে .....
রিপা ঃ মেয়েরা সব ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা ভুগে এর জন্য দায়ী, আমাদের পরিবেশটা
আমিও এসব মাঝে মাঝে face করি চৈতি । “Don’t worry”.
চৈতি : এই চাকরিটা আমি কষ্ট করে পেয়েছি তোরা তো সবাই জানিস, এখন ছেড়ে যদি দেই কিভাবে চলবে ।
চৈতির কন্ঠে হতাশার সুর ভেসে উঠলো …….একটা দীর্ঘশ্বাস।
হৃদয় জুড়ে শুধু ব্যর্থতা আর ব্যর্থতা।
রিপা : শোন, মনের ভিতরে সাহস রাখবি, সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস রাখ । আর রাখ প্রবল ধার্য একমাত্র ধার্যশীলরাই পারে জীবনে সাফল্য আনে আল্লাহতালা আমাদের সবাইকে কোন না কোন সমস্যা জর্জরিত করে পরীক্ষা করেন।
আর আজকাল ছেলেরা তো এমনই হয়ে গেছে। দেবদূত পাবি কোথায়? চৈতি ।
চৈতি ঃ সত্যি কি আসবে আমার জীবনে কোন দেবদূত ?
( সন্ধ্যায় )
অফিস ছুটি হয়ে গেছে রাস্তার বাতি গুলো জ্বলে উঠেছে, চৈতি রাস্তা এক পাশে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে অফিসের বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল ।
হঠাৎ আরিফ এসে পাশে দাঁড়ালো, আরিফ ফোন কথা বলায়ে বাস্ত ছিল বলে
চৈতি একবার আরিফের দিকে, তাকালো,কিন্তু সে কোন ভাবে খেল করতে পারল না আরিফকে । আরিফ মোবাইল ফোনে কথা বলা শেষ করে চৈতির দিকে তাকাতে চিনে গেল ।
আরিফ ঃ চিনতে পারছেন আমাকে ? ওই যে ব্যাগের ঘটনাটি, আপনি ব্যাগ ফেলে এসেছিলাম মনে আছে ।
চৈতি ঃ হ্যাঁ, তাইতো ভাবছি আপনাকে যেন আমি কোথায় দেখেছি ।
আরিফ ঃ দেখেন, আপনি আপনাকে আমি ঠিকই মনে রেখেছি ।
চৈতি ঃ তাই তো দেখছি। অফিস থেকে বাসায়ে যাওয়ার জন্য bus এর জন্য ওয়েট করেছেন ?
মনের অজান্তেই এই কথাগুলো কেমন ভাবে আরিফকে বলে ফেলল,
আরিফ ঃ RNZ Tower এর পত্রিকা অফিসে আমি জব করি,
চৈতি ঃ তাই আমিও,ওই RNZ Tower বিল্ডিং আছি দিনকাল এ জব করি ।
আরিফ : Oh my God . আমি তো ওই পত্রিকা অফিসে জব করি Senior Journalist Arif Iqbal, বিনোদন পাতা ।
আরিফ হাত এগিয়ে দিলো চৈতির “হাত মিলানোর জন্য”
চৈতি ঃ চৈতি ইসলাম নাদিয়া
"আরিফ : “ What a Coincidence" আপনি কোন ডিপার্টমেন্টে কর্মরত ?
চৈতি ঃ Financial Department
চৈতি : তাই, অনেক ভালো লাগছে শুনে, একটা পুরনো মানুষের দেখা পেলাম।
( অফিস বাস এসে পরেছে )
অফিস এমপ্লয়ীরা তারাহুরা করে বসে উঠে পরলো,বাসের ভিতরে,ভাগ্যের কি অপরূপ লীলাখেলা,
বাসের ভিতরে আরিফ চৈতির পাশের খালি সিটাতে বসে পরলো, যার কয়েক মাস আগে দেখা হলো ঠিক সেই মানুষটাই এখন তার পাসে বসা ।
বাস চলছে ……………..
আরিফ: কেমন আছে ?
চৈতি: জি, ভালো আছি, আপনি?
আরিফ: দৈনিক দিনকাল অফিসে আপনি কবে থেকে join করেছেন ?
চৈতি: 2 weeks হবে ........
আরিফ:তাই, আমি এখানে Job করছি , প্রায় ৭ বছর ধরে মিডিয়া সাংবাদিক হিসাবে ।
মিডিয়ার তর তাজা খবরের কভার করি । ভালই হল আপনাকে পেয়ে collegue
হিসাবে । অফিস বাস use করি না লোকাল বাস এ উঠি ,but আজকে একটা বিশেষ কারণে এই bus kore বাসার দিকে যাচ্ছি আর আপনার সাথে দেখা হয়ে গেলো ।
ভাগ্যের কি অপূর্ব নিদর্শন দেখেন ।
আমি কিন্তু সাধারণত এই অফিসের By the way আপনি থাকেন কোথায় ?
চৈতি:লালমাটিয়া
আরিফ: আমি মিরপুর-১ ।
চৈতি: আমরা একই অফিস আছি তাই আমার কাছে কেমন যেন,
স্বপ্নের মতো লাগছে ।
আরিফ: লাগাতেই স্বাভাবিক ।
রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামের বাস দাঁড়িয়ে আছে রাস্তায়, দুইজন কথা বলছে চলছে হাসাহাসি,
জ্যাম ছাড়ল বাস চলতে শুরু করলো, বাস চলতে চলতে লালমাটিয়ার ধানমন্ডি ২৭ তে এসে পিছালো ।
চৈতি আরিফ কাছে থেকে বিদায়ে নিয়ে বাস থেকে নেমে পড়লো । হেঁটে হেঁটে বাসায়ে ফিরলো ।
লালমাটিয়ার এ ব্লক তার বাসা ।
( চৈতির বাসা )
বাবার রুম চৈতি
তার বাবাকে ঔষুধ খাওয়াতে এলো
চৈতির বাবা (হুমায়ন কবির) : কিরে মা, অফিসে ঠিক মতো খাবার খাছিস তো ?
চৈতি: আমি ঠিক মতো খাবার খাই ।
বাবা:না,আমার চোখের ভুল হতে পারে, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হও ।
মা (মমতা খানম )রুমের ভিতরে প্রবেশ করলো এবং বললো
মেয়েকে যে খাবার খাওয়ার কথা বলছো আর ওই দিকে তোমার ছোট ছেলে,খাবার না খেয়ে,
খালি Games খেলছে আমি কতবার বললাম, সে শুনলনা আমাকে বলে " তার ক্ষিদে নেই সে নাকি খুব ব্যাস্ত Level 5 এ এই লেভেলটা পার তাকে হতেই হবে
চৈতি: হাসলো মা এইটা এখনকার trend আমি দেখছি ।
সাজিব (ছোটভাই ) এর রুমে চৈতি সাজিব মোবাইল টিপছে
চৈতি: এই ভাত খাবি না ?
সজীব ঃ আচ্ছা তোরা এতো বিরক্ত করছি কেন ?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অরন্য রানা ২৩/০৯/২০১৮বাহ বেশ তো!
-
লিখন মাহমুদ ০৮/০৯/২০১৮বেশ!
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ০৬/০৯/২০১৮ভাল