www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

বাঁধন -৯

(ডাইনিং রুম)
শুভর বাবা: আহা, বৌমা তুমি compromise করে চলতে পারোনা,তোমাকে আমরা দেখে শুনে নিয়ে এসেছি তোমার যদি আমার ছেলেকে পছন্দ না ছিল তো বিয়ে করলে কেন? ইতি মধ্যে তোমাকে নিয়ে অনেক কথা উঠেছে ,পরিবারে মধ্যে, শুভর মা একই সহ্য করেছে না,ব্যাপারটা, আমিও তো তোমার আচরণ লক্ষ করছি ।
শুভর মা :এই মেয়েকে দয়া করে, এখানে খেতে বসতে না কর,আমি ওর নাস্তা ওর ঘরে পাঠিয়ে দিচ্ছি,না খেয়ে আমার ছেলেটা চলে গেলো আর এই শাঁকচুরনি এসেছে ।
খাবার গিলতে, গলা দিয়ে তোর খাবার হজম হবে ? শুভর মা রেগে তাকালো আদিনার দিকে ।
ডাইনিং রুম আদিনা দাঁড়িয়ে,ক্ষুদ্ধ চোখে তার শাশুড়ি ও তার শশুর দিকে তাকালো, সেও পাল্টা জবাব দিলো কর্কষ কণ্ঠে বলে উঠলো ।
আদিনা:এর রকম খারাপ ভাষায় কথা বলছেন কেন ? মা আপনার ছেলেতো বরাবরই আগেই খায়,আর আমি ঘুম থেকে late করে উঠি, এটা তো নতুন কিছু না ।
শুভর মা:দেখেছো, কি বেয়াদবি করছে, আমার সাথে ।
শুভর বাবা রাগান্বিত ভাবে তাকালো আদিনার দিকে,এবং
বললো বেয়াদবির সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছ, বৌমা
নিজের মেয়ে হলে এতো ক্ষনে চড় লাগিয়ে দিতাম ।
আদিনা:এখানে বেয়াদবি করবার মতো কিছুই নেই,আমাকে চড় মারবার অধিকার আপনাদের আছে আর এখন মেয়েদের আইন অনেক কড়া,মেয়েদের গায়ে হাত দেয়া একমের নারী নির্যাতন,এটা ২১ শতক যুগ এই যুগে যে কোনো মেয়ে গায়ে হাত দেয়া, উচিত না আর বাবা একটা কথা বলা আপনাদের এখন দরকার আমার এই বিয়েতে কোনো মত ছিল না আমার মনের অনিচ্ছাতে আমি এই বিয়েতে রাজি হয়েছি শুধু আমার বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে ।
শুভ অনেক ভালো ছেলে ওর প্রতি কোনো কোনো অভিযোগ নেই ।
শুভর বাবা:এতো বড় মুখের উপর কথা বেরিয়ে যায় এখনই যাও এই বাড়ি থেকে,তোমার ভাত উঠে গেছে, তোমার বাবাকে এই কাজের জন্য জবাব দিহি করতে হবে,এতো বড় ধাপাবাজি আমাদের সাথে ।
শুভর মা:এই মেয়ের তো মোরা উচিত বাবার বাড়ি যেয়ে মর, শয়তান মেয়ে মুখপুড়ি ।
আদিনা:আমি, চলে যাচ্ছি, আপনারা ভালো থেকেন বলে আদিনা ডাইনিং রুম থেকে বের হয়ে চলে গেলো ।
কাজের মেয়ে রহিমা ফ্রীজের এক কোণে দাঁড়িয়ে হতভব্বো হয়ে,সব ঝগড়া শুনছিলো,হঠাৎ বলে উঠলো, খালাম মা শান্ত হন, পানি খাইবেন ? পানি
শুভর মা:এই তুই এখানে কি করিস, যা এখান থেকে ।
(দুপুর )
(অফিস রুম)
সবাই কাজ করা নিয়ে ব্যস্ত,মিস্টার একরাম, শুভর ডেস্ক এসে বলো,শুনলাম প্রজেক্টের এডিট ফাইল কি আপনার কাছে ?
শুভ:ঠিক শুনছেন ।
মিস্টার একরাম : স্যারকে দিয়ে চেক করিয়ে আনা ভালো আর এই কাজের ডেডলাইন তো জানেন ।
শুভ:এই কাজের ছোট খাটো দিক গুলো কারেকশন করে স্যার কাছে কাল পরশু ফাইল মধ্যে জমা দিবো ।
মিস্টার একরাম,কাছে ফোন এলো,তিনি পকেট থেকে ফোনটা বের করে ধরলো ... ।
মিস্টার একরাম :Excuse Me.
মিস্টার একরাম কথা বলতে বলতে অন্য
দিকে চলে গেলো ।
শুভ সেই ফাঁকে মনে করলো আদিনাকে একটা কল দিবে,টেবিল রাখা ফোনটি সে হাতে নিলো,কল লিস্ট যেয়ে ফোন ডায়াল করলো,আদিনার ফোন নম্বর ।
কিন্তু শুনে আদিনার ফোন অফ তখন সে তার বাসায় ফোন দিলো ।
বাসার ল্যান্ডফোন বেজে উঠলো,কাজের মেয়ের রহিমা ফোন ধরলো ।
রহিমা:হ্যালো
শুভ:আমি শুভ ।
তোর ভাবিকে বল, আমি ফোন দিয়েছি,ভাবীতো বাসায় নাই ওনার বাপের বাড়ি গেছে ।
শুভ:কেন?
শুভর মা:এই তুই কার সাথে কথা বলছি ?
রহিমা:ভাইজান ।
শুভর মা:এই আমাকে, তাড়াতাড়ি দেয়,
ফোন নিয়ে শুভর মা কথা বলতে শুরু করলো
শুভর মা:বাবা তুই খেয়েছিস, কতবার ফোন দিলাম তোকে তুই ফোন ধরলিনা ।
শুভ:খেয়েছি, আমি কাজের ছিলাম, আদিনা কখন গেছে ওর বাবার বাড়িতে, তুমিতো আমাকে মেসেজ জানাতে পারতে ।
শুভর মা:ওই আদিনা তোর মাথাটা খেয়েছে, তোর মা বাবা কি খেল না খেল, তোর কিছুই আসে যায়না, তোর খালি চিন্তা, ওই বেয়াদব নচ্ছার মেয়ের জন্য ।
শুভ :আহা, মা এভাবে বলছো কেন?
তোর বৌ তুই চলে যাওয়ার পর, কি করেছে আমাদের সাথে,তা আমি ফোনে বলতে চাচ্ছি না ।
বাসায় আয়,বাসায় এলেই বলবো ।
শুভ ফোন রেখে দিলো,শুভর মা তো একটু অবাক হলো শুভর আচরণ দেখে পাশ থেকে কাজের
মেয়ে রহিমা বলে উঠলো ।
রহিমা:একটা কথা বলি, খালাম মা, আমার মনে হয়ে কি আদিনা ভাবি, ভাইজানরে যদুটোনা করছে, নাহলে এরকম করবো ক্যান?
শুভর মা:শোন্ এখানে বোক বোক, না করে, রান্না ঘরে কাজটা এগিয়ে রাখ,আমার খুব শরীর খারাপ লাগছে, বয়েস হয়েছে, এই বয়েস এতো কষ্ট হবে কে,জানতো কি জন্য যে ছেলেকে এই মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছিলাম ওই যে বলে না সুখে থাকতে ভূতে কিলায়ে ।

-চলবে-
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৫৬৯ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৫/০৮/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast