এবং তোমার প্রেম-৩
(কিছুদিন পর)
সোহান দাঁড়িয়ে নাদিয়ার বাসার সামনের গলিতে, সোহান জানে না, নাদিয়ার বাড়ির ঠিকানা কিন্তু নাদিয়াকে সে ছাড়তে, অনেক সময়ে এই জায়গাতে আসতো, সোহানের ধারণা, এই পথেই,নাদিয়ার দেখা সে পেয়ে যাবে ।
একদিন, দুইদিন, তিনদিন, কেটে গেলো,কিন্তু নাদিয়াকে সে খুঁজছে পেলো না ।
দূর থেকে একজন লোক, সোহানকে দেখে তার কাছে এসে, জিজ্ঞাসা করলো,
লোকটি :"Excuse Me".
সোহান লোকটির দিকে তাকালো ।
লোকটি :আপনাকে বেশ কয়েক দিন ধরে দেখছি,এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে ।কেউ আপনাকে,এখানে আসতে বলেছে, তাই আপনি তার খোঁজে, এখানে দাঁড়িয়ে আছেন ।
সোহান:হ্যাঁ,আমি একজনকে খুঁজছি, সে এই গলিতে থাকে,কিন্তু আমি তার ঠিকানা জানি না,তার সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নেই আর কোনো উপায়ে নেই তার সাথে যোগাযোগ করবার, তাই এভাবে এই রাস্তা দাঁড়িয়ে আছি, যদি তার দেখা, পেয়ে যাই ।
লোকটি:জানতে পারি, মানুষটির সাথে আপনার
কি দরকার ? যদি, আপনি কিছু, না মনে করেন ।
সোহান:সে আপনার, প্রেমিকা ।
লোকটি:তাই বলেন,মানে মনের ব্যাপার,Oh, By the way আমি ইমরোজ খান,এই সামনের ফ্ল্যাটের তিন তলায় আমি থাকি,অনেকক্ষণ ধরে দেখছি দাঁড়িয়ে আছেন,এক কাপ চা, যদি আমার বাসায় এসে খেতেন, তাহলে খুশি হতাম । আপনি হয়তো ভাববেন, একজন অজানা অচেনা লোক, আপনাকে তার ফ্ল্যাটে ডাকছে এবং চায়ের দাওয়াত দিচ্ছে, আসলে ভাই, আমি ও প্রেম করে, বিয়ে করেছি, প্রেমের মূল্য অনেক বুঝি ।
তারপর, আমি এই পাড়ায় ছেলে, আপনার যদি কোনো কাজে আসতে পারি ।
সোহান:ভাই, আমি ওসব কিছুই মনে করিনি,আসলে "সাথী হারানোর বেদনা, যে কি কষ্টের,তা একমাত্র সেই বুঝে "আপনার আমন্ত্রণ, আমি গ্রহণ করলাম ।
ইমরোজ খান :চা খেতে খেতে, না হয় শুনবো
আপনার কথা ।
সোহান হাসি মুখে বললো ।
সোহান : চলুন ।
দুইজন এই জায়গাটি ছেড়ে, সামনে বড় ফ্ল্যাটের দিকে হাটতে শুরু করলো ।
(ডাইনিং রুম )
রুমটি, সুন্দর সাজানো গুছানো,সোহান বসে আছে,
একটু পর ঘরের কাজের মেয়েটি,হাতের ট্রেতে চায়ের কাপ আর বিস্কুটের প্লেট, সোফার সামনে রাখা টেবিল উপর রাখলো, টেবিলের সোহান চায়ের কাপের দিকে তাকিয়ে আছে,তার চোখে নেই সেই আগের মতো চঞ্চলতা ।
ইমরোজ খান:বুঝলেন ভাই আজকে আপনার ভাবি নেই,সে তার বাবার বাড়িতে গেছে তার নাস্তার জন্য বেশি কিছু করতে পারলাম না ।
সোহান:অনেক কিছু দিয়েছেন ।
ইমরোজ খান:এই বাসায় আমি আর আমার বৌ থাকি আর এই কাজের মেয়েটি, এখন বলেন আপনার ঘটনা? Please take your tea.
সোহান:তার কথা বলতে শুরু করলো,ঘটনার মাঝে পথে তার চোখে, পানি চলে আসলো ।
ইমরোজ খান:সবই তো শুনলাম, আমার মনে হয়েছে আপনার সবাইকে এসব ঘটনাখুলে বলা উচিত,ব্যাপারটি অনেক ব্যাপক,আশা করি, আপনি আপনার, ভালবাসার মানুষটিকে খুঁজে পান,এই আশায় করি ।
সোহান:আমার পুরো পৃথিবীটা জুড়ে নাদিয়া আছে, ওকে না পেলে,আমার এই পৃথিবীটা আঁধারে ঢেকে যাবে,আমি নিজের সম্পর্কে, এই কয়েকদিনে যা জেনেছি, তা আমি এক "জগন্নতম মানুষ" যার পৃথিবীতে বেঁচে থাকবার, কোনো মূল্য নেই ।
ইমরোজ খান:ওর কোনো ছবি?
সোহান:তার মোবাইল থেকে ছবি বের করে ইমরোজ খানকে দেখালো ।
ইমরোজ খান: বাহ্ বেশ সুন্দর যেন মুখে কত মায়া,
সোহান মোবাইল ফোনে রাখা একটার পর এক ছবি দেখতে থাকলো
ইমরোজ খান দেখতে থাকলো
সোহান নিজের মানি ব্যাগ বের করে নাদিয়ার ছবি দেখালো
সোহান:দেখেন আমি সব জায়গাতে ওর ছবি রেখেছি ওকে ছাড়া আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি প্রতিটি রাত কাটছে নির্ঘুম ।
ইমরোজ খান:আমি যদি, রাস্তায় আপনার প্রেমিকাকে দেখি, তাহলে অবশ্যই,আপনার কথা, জানাবো আর তাকে বলবো, সে কত ভাগ্যবতী, যে আপনার মতো একজন ভালো মানুষকে, তার জীবন সঙ্গী হিসাবে পেয়েছে ।
বিয়ের আগে আমরা ৪ বছর প্রেম করেছি । আমাদের ভালবাসার মধ্যেও বিরহ ছিল,সব কিছু, সেই ভাবে,আমরা অতিক্রম করেছি,আপনিও পারবেন আমার বিশ্বাস ।
-চলবে-
সোহান দাঁড়িয়ে নাদিয়ার বাসার সামনের গলিতে, সোহান জানে না, নাদিয়ার বাড়ির ঠিকানা কিন্তু নাদিয়াকে সে ছাড়তে, অনেক সময়ে এই জায়গাতে আসতো, সোহানের ধারণা, এই পথেই,নাদিয়ার দেখা সে পেয়ে যাবে ।
একদিন, দুইদিন, তিনদিন, কেটে গেলো,কিন্তু নাদিয়াকে সে খুঁজছে পেলো না ।
দূর থেকে একজন লোক, সোহানকে দেখে তার কাছে এসে, জিজ্ঞাসা করলো,
লোকটি :"Excuse Me".
সোহান লোকটির দিকে তাকালো ।
লোকটি :আপনাকে বেশ কয়েক দিন ধরে দেখছি,এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে ।কেউ আপনাকে,এখানে আসতে বলেছে, তাই আপনি তার খোঁজে, এখানে দাঁড়িয়ে আছেন ।
সোহান:হ্যাঁ,আমি একজনকে খুঁজছি, সে এই গলিতে থাকে,কিন্তু আমি তার ঠিকানা জানি না,তার সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নেই আর কোনো উপায়ে নেই তার সাথে যোগাযোগ করবার, তাই এভাবে এই রাস্তা দাঁড়িয়ে আছি, যদি তার দেখা, পেয়ে যাই ।
লোকটি:জানতে পারি, মানুষটির সাথে আপনার
কি দরকার ? যদি, আপনি কিছু, না মনে করেন ।
সোহান:সে আপনার, প্রেমিকা ।
লোকটি:তাই বলেন,মানে মনের ব্যাপার,Oh, By the way আমি ইমরোজ খান,এই সামনের ফ্ল্যাটের তিন তলায় আমি থাকি,অনেকক্ষণ ধরে দেখছি দাঁড়িয়ে আছেন,এক কাপ চা, যদি আমার বাসায় এসে খেতেন, তাহলে খুশি হতাম । আপনি হয়তো ভাববেন, একজন অজানা অচেনা লোক, আপনাকে তার ফ্ল্যাটে ডাকছে এবং চায়ের দাওয়াত দিচ্ছে, আসলে ভাই, আমি ও প্রেম করে, বিয়ে করেছি, প্রেমের মূল্য অনেক বুঝি ।
তারপর, আমি এই পাড়ায় ছেলে, আপনার যদি কোনো কাজে আসতে পারি ।
সোহান:ভাই, আমি ওসব কিছুই মনে করিনি,আসলে "সাথী হারানোর বেদনা, যে কি কষ্টের,তা একমাত্র সেই বুঝে "আপনার আমন্ত্রণ, আমি গ্রহণ করলাম ।
ইমরোজ খান :চা খেতে খেতে, না হয় শুনবো
আপনার কথা ।
সোহান হাসি মুখে বললো ।
সোহান : চলুন ।
দুইজন এই জায়গাটি ছেড়ে, সামনে বড় ফ্ল্যাটের দিকে হাটতে শুরু করলো ।
(ডাইনিং রুম )
রুমটি, সুন্দর সাজানো গুছানো,সোহান বসে আছে,
একটু পর ঘরের কাজের মেয়েটি,হাতের ট্রেতে চায়ের কাপ আর বিস্কুটের প্লেট, সোফার সামনে রাখা টেবিল উপর রাখলো, টেবিলের সোহান চায়ের কাপের দিকে তাকিয়ে আছে,তার চোখে নেই সেই আগের মতো চঞ্চলতা ।
ইমরোজ খান:বুঝলেন ভাই আজকে আপনার ভাবি নেই,সে তার বাবার বাড়িতে গেছে তার নাস্তার জন্য বেশি কিছু করতে পারলাম না ।
সোহান:অনেক কিছু দিয়েছেন ।
ইমরোজ খান:এই বাসায় আমি আর আমার বৌ থাকি আর এই কাজের মেয়েটি, এখন বলেন আপনার ঘটনা? Please take your tea.
সোহান:তার কথা বলতে শুরু করলো,ঘটনার মাঝে পথে তার চোখে, পানি চলে আসলো ।
ইমরোজ খান:সবই তো শুনলাম, আমার মনে হয়েছে আপনার সবাইকে এসব ঘটনাখুলে বলা উচিত,ব্যাপারটি অনেক ব্যাপক,আশা করি, আপনি আপনার, ভালবাসার মানুষটিকে খুঁজে পান,এই আশায় করি ।
সোহান:আমার পুরো পৃথিবীটা জুড়ে নাদিয়া আছে, ওকে না পেলে,আমার এই পৃথিবীটা আঁধারে ঢেকে যাবে,আমি নিজের সম্পর্কে, এই কয়েকদিনে যা জেনেছি, তা আমি এক "জগন্নতম মানুষ" যার পৃথিবীতে বেঁচে থাকবার, কোনো মূল্য নেই ।
ইমরোজ খান:ওর কোনো ছবি?
সোহান:তার মোবাইল থেকে ছবি বের করে ইমরোজ খানকে দেখালো ।
ইমরোজ খান: বাহ্ বেশ সুন্দর যেন মুখে কত মায়া,
সোহান মোবাইল ফোনে রাখা একটার পর এক ছবি দেখতে থাকলো
ইমরোজ খান দেখতে থাকলো
সোহান নিজের মানি ব্যাগ বের করে নাদিয়ার ছবি দেখালো
সোহান:দেখেন আমি সব জায়গাতে ওর ছবি রেখেছি ওকে ছাড়া আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি প্রতিটি রাত কাটছে নির্ঘুম ।
ইমরোজ খান:আমি যদি, রাস্তায় আপনার প্রেমিকাকে দেখি, তাহলে অবশ্যই,আপনার কথা, জানাবো আর তাকে বলবো, সে কত ভাগ্যবতী, যে আপনার মতো একজন ভালো মানুষকে, তার জীবন সঙ্গী হিসাবে পেয়েছে ।
বিয়ের আগে আমরা ৪ বছর প্রেম করেছি । আমাদের ভালবাসার মধ্যেও বিরহ ছিল,সব কিছু, সেই ভাবে,আমরা অতিক্রম করেছি,আপনিও পারবেন আমার বিশ্বাস ।
-চলবে-
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পবিত্র চক্রবর্তী ০৫/০৫/২০১৮সুন্দর
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ০৫/০৫/২০১৮অব্যাহত থাকুক এই চর্চা ....