এবং তোমার প্রেম গল্প-২
সোহান:রাস্তা দিয়ে হাটছে,কল্পনায় স্মৃতিগুলো নাদিয়ার চোখের সামনে ভাসছে ।
নাদিয়া একটি গোলাপি রঙের ড্রেস পরা ,তার হাতে মোবাইল ফোন,সে সোহানের তার পাশে দাঁড়ানো,নাদিয়া বার বার করে তার মোবাইল ফোনে রাখা, বিড়ালের ছবিটা দেখছিলো কারণ বিড়াল তার খুব পছন্দের পশু,তাই বিড়ালের কিছু ছবি,সে গুগল থেকে ডাউনলোড করে মোবাইলে রেখেছে,বিড়ালের একটা ছবি সোহানকে দেখাচ্ছে ।
নাদিয়া:দেখো,কি সুন্দর বিড়ালটা ।
সোহান:উফফ,তোমাকে নিয়ে আর পারলাম না,এসব ফালতু জন্ত জানোয়ার,আমার ভালো লাগে না ।
নাদিয়া তখন মন খারাপ করে মাথা নিচু করে বলল ।
নাদিয়া:ঠিক আছে, আমি আর দেখাব না ।
সোহান:মনে থাকে জানি ।
নাদিয়া মাথা তুলে সোহানের দিকে তাকালো তার ঠোঁটের কণার একটু হাসি,যেহুতু সোহান বিরক্ত না হয়ে কথা বলেছে তাই । এমনিতে সোহান নাদিয়া সাথে খুব একটা ভালো ব্যবহার করেনি,অন্যনো মেয়েদের সাথে বেশ মিষ্টি করে কথা বলতো সোহান আর নাদিয়ার সাথে সেটা দেখলে চোখ দিয়ে এমনিতে পানি চলে আসবে,নাদিয়া এসবের কিছুই দরদারে না সোহানকে সে অনেক ভালোবাসে যতই সোহান তার উপর চড়াও গলায় কথা বলুক না কেন ।
(বর্তমান)
সোহানের চোখে পানি ছলছল করছে,ছেলেরা,কাঁদলে নাকি,বুঝা যায়না কিন্তু সোহানের চোখের পানির ঠিক কি, বুঝা যাচ্ছে,মুখে তার বেদনার আর্তনাত, কেউকে না পাওয়ার কষ্ট, তাকে খাবলে খাচ্ছে ।
সোহান দাঁড়ালো রাস্তার একপাশে,তার পকেট থেকে মোবাইলে ফোন বের করলো,নাদিয়ার ফোন নম্বরটি ডায়াল করল,নম্বরটি বন্ধ, কিছুদিন আগেই , এই নম্বর থেকে ফোনে এলে সে এক সময়ে বিরক্ত হত, অনেকবার সোহান চেয়েছিল ফোন নম্বরটি সে ব্লকলিস্টে দিবে,কিন্তু আজ সেই ফোন নম্বরটি তার কাছে অতি প্রিয় হয়ে গেছে, সবই সৃষ্টিকর্তা লীলা খেলা ।নম্বরটি বন্ধ পেয়ে,কান থেকে মোবাইলটি,নামিয়ে নাদিয়ার ছবিটা, তার মুখের সামনে মেলে ধরলো,ছবিতে নাদিয়া হাসছে,তার সেই মিষ্টি হাসিখানা,সোহানের মনকে,ব্যাকুল করে তুললো মুহূর্তে মধ্যে ।
(রুমের ভিতরে সোহান)
ঘরের বাতি নিবানো,শুয়ে আছে,সোহানের ছোট বোন রুম্পা,সোহানকে ধাক্কা দিয়ে বললো ।
ভাইঃ কিরে খাবি না?সবাই খাবার টেবিল বসেই পরেছে খাবার খাওয়ার জন্য ।
সোহান:আমার ক্ষিদে নেই ।
রুম্পা:তোর কি হয়েছে? কাল রাতেও তো কিছুই খেলিনা, আজকেও খাবিনা, ভাইয়া, তোর হয়েছে কি?
সোহান:বললাম না,আমার ক্ষিদে নেই, তুই যা তো ।
আমাকে ঘুমাতে দেয় ।
রুম্পা:ঝাড়ি, দিস কেন?,যা বলবার, মাকে বলিস ।
দেয়ালের দিকে সোহান ফিরে শুয়ে থাকলো ।
(কল্পনায়)
তার সাথে নাদিয়ার স্মৃতিগুলো মনে করছে ।
নাদিয়াকে নামাতে,নাদিয়ার বাড়ির কাছে,কিছু দূরে গলির মুখে তাদের রিসক্সা থামাতে বললো ।
রিসক্সাওয়ালাক সোহান বলল এইখানে রাখো ।
নাদিয়া : এই এখানে কেন? আমার বাসায় তো গলির শেষে আর তোমার না আজকে আমাদের বাসায় যাবার কথা ।
সোহান:আমার একটা,প্রয়োজনীয় ক্লাস আছে, এই মাত্র মনে পড়েছে,তাই আমাকে তাড়িতাড়ি যেতে হবে ।
নাদিয়া :তাহলে আমি আমার মাকে কি বলবো,সে তো তোমার জন্য রান্না করেছিল আমি দেখে ঘর থেকে বের হলাম । তাহলে আমার এখন কি করা উচিত,তুমি আমাকে অযথা নিরাশ করলে কেন ?
সোহান:অন্যদিন যাবো প্লিজ সোনা, রাগ করো না । সোহান চোখ মেলে তাকালো,চৌতির নম্বরটি কথা মনে হলো তার, মোবাইল ফোনটা কাছে নিয়ে নাম্বারলিস্ট গুলোতে হাত বুলাতে লাগলো,সেখানে চৈতির নম্বরটি নেই
ফোনটি বিছানায় রেখে, সে জটপট করে বিছানা থেকে উঠে পড়ার টেবিল কাছে গিয়ে বই খাতা, হাতে নিয়ে ফোন নম্বরটি খুঁজতে থাকে অবশেষে পেয়ে গেল ।
চৌতি নাদিয়ার মামাতো বোন,নাদিয়া চৌতির ফোন নম্বরটি দিয়ে ছিল সোহানকে দিয়েছিল ।
(অন্যদিন দিন)
বিছানা থেকে তার ফোন নিয়ে নম্বরটি ডায়াল করল,
রিং হচ্ছে ।
চৌতি:হ্যালো
সোহান:আপনি কি চৌতি,
চৌতি:জি বলেন, আপনি কে?
সোহান:আপনি আমাকে চিনেছেন,আমি সোহান ।
চৌতি:চিনছি।
সোহান খুশি হলো বলল ।
সোহান:আমি নাদিয়ার,খবর জানতে চাই ? ও কেমন আছে,কোথায় ও ?
চৌতি:প্লিজ স্টপ,আপনার মুখে,নাদিয়ার কথা মানায় না, আমি এখন ফোন রাখবো ।
সোহান:প্লিজ,ফোন রাখবেন না, একটিবার জন্য বলে দেন ও কেমন আছে ?
চৌতি ফোন কেটে দিলো ।
সোহান:হ্যালো হ্যালো ।
সোহান আবার চৌতির নম্বরে,ফোন দিলো তার নম্বরটি ডুকছেন না, [ সোহানের নম্বরটি ব্লক করা হয়েছে ] ।
সোহান ফোন রেখে,হতাশ হয়ে চেয়ার উপর,মাথা রাখলো, আমি নাদিয়াকে,ভালোবাসি অনেক ভালোবাসি, কি করে পাবো ওকে,কোথায় খুঁজবো ওকে একটিবার বলে দাও প্লিজ ।
----চলবে----
নাদিয়া একটি গোলাপি রঙের ড্রেস পরা ,তার হাতে মোবাইল ফোন,সে সোহানের তার পাশে দাঁড়ানো,নাদিয়া বার বার করে তার মোবাইল ফোনে রাখা, বিড়ালের ছবিটা দেখছিলো কারণ বিড়াল তার খুব পছন্দের পশু,তাই বিড়ালের কিছু ছবি,সে গুগল থেকে ডাউনলোড করে মোবাইলে রেখেছে,বিড়ালের একটা ছবি সোহানকে দেখাচ্ছে ।
নাদিয়া:দেখো,কি সুন্দর বিড়ালটা ।
সোহান:উফফ,তোমাকে নিয়ে আর পারলাম না,এসব ফালতু জন্ত জানোয়ার,আমার ভালো লাগে না ।
নাদিয়া তখন মন খারাপ করে মাথা নিচু করে বলল ।
নাদিয়া:ঠিক আছে, আমি আর দেখাব না ।
সোহান:মনে থাকে জানি ।
নাদিয়া মাথা তুলে সোহানের দিকে তাকালো তার ঠোঁটের কণার একটু হাসি,যেহুতু সোহান বিরক্ত না হয়ে কথা বলেছে তাই । এমনিতে সোহান নাদিয়া সাথে খুব একটা ভালো ব্যবহার করেনি,অন্যনো মেয়েদের সাথে বেশ মিষ্টি করে কথা বলতো সোহান আর নাদিয়ার সাথে সেটা দেখলে চোখ দিয়ে এমনিতে পানি চলে আসবে,নাদিয়া এসবের কিছুই দরদারে না সোহানকে সে অনেক ভালোবাসে যতই সোহান তার উপর চড়াও গলায় কথা বলুক না কেন ।
(বর্তমান)
সোহানের চোখে পানি ছলছল করছে,ছেলেরা,কাঁদলে নাকি,বুঝা যায়না কিন্তু সোহানের চোখের পানির ঠিক কি, বুঝা যাচ্ছে,মুখে তার বেদনার আর্তনাত, কেউকে না পাওয়ার কষ্ট, তাকে খাবলে খাচ্ছে ।
সোহান দাঁড়ালো রাস্তার একপাশে,তার পকেট থেকে মোবাইলে ফোন বের করলো,নাদিয়ার ফোন নম্বরটি ডায়াল করল,নম্বরটি বন্ধ, কিছুদিন আগেই , এই নম্বর থেকে ফোনে এলে সে এক সময়ে বিরক্ত হত, অনেকবার সোহান চেয়েছিল ফোন নম্বরটি সে ব্লকলিস্টে দিবে,কিন্তু আজ সেই ফোন নম্বরটি তার কাছে অতি প্রিয় হয়ে গেছে, সবই সৃষ্টিকর্তা লীলা খেলা ।নম্বরটি বন্ধ পেয়ে,কান থেকে মোবাইলটি,নামিয়ে নাদিয়ার ছবিটা, তার মুখের সামনে মেলে ধরলো,ছবিতে নাদিয়া হাসছে,তার সেই মিষ্টি হাসিখানা,সোহানের মনকে,ব্যাকুল করে তুললো মুহূর্তে মধ্যে ।
(রুমের ভিতরে সোহান)
ঘরের বাতি নিবানো,শুয়ে আছে,সোহানের ছোট বোন রুম্পা,সোহানকে ধাক্কা দিয়ে বললো ।
ভাইঃ কিরে খাবি না?সবাই খাবার টেবিল বসেই পরেছে খাবার খাওয়ার জন্য ।
সোহান:আমার ক্ষিদে নেই ।
রুম্পা:তোর কি হয়েছে? কাল রাতেও তো কিছুই খেলিনা, আজকেও খাবিনা, ভাইয়া, তোর হয়েছে কি?
সোহান:বললাম না,আমার ক্ষিদে নেই, তুই যা তো ।
আমাকে ঘুমাতে দেয় ।
রুম্পা:ঝাড়ি, দিস কেন?,যা বলবার, মাকে বলিস ।
দেয়ালের দিকে সোহান ফিরে শুয়ে থাকলো ।
(কল্পনায়)
তার সাথে নাদিয়ার স্মৃতিগুলো মনে করছে ।
নাদিয়াকে নামাতে,নাদিয়ার বাড়ির কাছে,কিছু দূরে গলির মুখে তাদের রিসক্সা থামাতে বললো ।
রিসক্সাওয়ালাক সোহান বলল এইখানে রাখো ।
নাদিয়া : এই এখানে কেন? আমার বাসায় তো গলির শেষে আর তোমার না আজকে আমাদের বাসায় যাবার কথা ।
সোহান:আমার একটা,প্রয়োজনীয় ক্লাস আছে, এই মাত্র মনে পড়েছে,তাই আমাকে তাড়িতাড়ি যেতে হবে ।
নাদিয়া :তাহলে আমি আমার মাকে কি বলবো,সে তো তোমার জন্য রান্না করেছিল আমি দেখে ঘর থেকে বের হলাম । তাহলে আমার এখন কি করা উচিত,তুমি আমাকে অযথা নিরাশ করলে কেন ?
সোহান:অন্যদিন যাবো প্লিজ সোনা, রাগ করো না । সোহান চোখ মেলে তাকালো,চৌতির নম্বরটি কথা মনে হলো তার, মোবাইল ফোনটা কাছে নিয়ে নাম্বারলিস্ট গুলোতে হাত বুলাতে লাগলো,সেখানে চৈতির নম্বরটি নেই
ফোনটি বিছানায় রেখে, সে জটপট করে বিছানা থেকে উঠে পড়ার টেবিল কাছে গিয়ে বই খাতা, হাতে নিয়ে ফোন নম্বরটি খুঁজতে থাকে অবশেষে পেয়ে গেল ।
চৌতি নাদিয়ার মামাতো বোন,নাদিয়া চৌতির ফোন নম্বরটি দিয়ে ছিল সোহানকে দিয়েছিল ।
(অন্যদিন দিন)
বিছানা থেকে তার ফোন নিয়ে নম্বরটি ডায়াল করল,
রিং হচ্ছে ।
চৌতি:হ্যালো
সোহান:আপনি কি চৌতি,
চৌতি:জি বলেন, আপনি কে?
সোহান:আপনি আমাকে চিনেছেন,আমি সোহান ।
চৌতি:চিনছি।
সোহান খুশি হলো বলল ।
সোহান:আমি নাদিয়ার,খবর জানতে চাই ? ও কেমন আছে,কোথায় ও ?
চৌতি:প্লিজ স্টপ,আপনার মুখে,নাদিয়ার কথা মানায় না, আমি এখন ফোন রাখবো ।
সোহান:প্লিজ,ফোন রাখবেন না, একটিবার জন্য বলে দেন ও কেমন আছে ?
চৌতি ফোন কেটে দিলো ।
সোহান:হ্যালো হ্যালো ।
সোহান আবার চৌতির নম্বরে,ফোন দিলো তার নম্বরটি ডুকছেন না, [ সোহানের নম্বরটি ব্লক করা হয়েছে ] ।
সোহান ফোন রেখে,হতাশ হয়ে চেয়ার উপর,মাথা রাখলো, আমি নাদিয়াকে,ভালোবাসি অনেক ভালোবাসি, কি করে পাবো ওকে,কোথায় খুঁজবো ওকে একটিবার বলে দাও প্লিজ ।
----চলবে----
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান রীপন ০৮/০৪/২০১৮
-
মোজাহিদুর ইসলাম ইমন ০৯/০১/২০১৮বেশ্
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৩/০১/২০১৮দেখি, শেষ পর্যন্ত পড়ি।
-
ন্যান্সি দেওয়ান ০৩/০১/২০১৮আপনিতো বলেছিলেন আপনার ভালো লাগেনি...।
-
কামরুজ্জামান সাদ ০২/০১/২০১৮সোহান আর নাদিয়াকে নিয়ে লেখাগুলো ভাল লাগছে।
-
সোহাগ রায় ০২/০১/২০১৮দারুন তো
শুভ কামনা রইল অনাগত দিনের