বাধন-৪
দুপুর গড়িয়ে এলো,ঝিরিঝিরি ঠান্ডা বাতাস বইছে
আদিন:চলো হোটেল রুমে ফেরা যাক ।
হোটেল রুম শুভ বিছানায় বসে ল্যাপ্টোব নিয়ে কাজ করছে আদিনা এসে দাঁড়ালো বিছানার কাছে
আদিনা:খুব ব্যাস্ত ?
শুভ:না জাস্ট হালকা, কিছু কাজ করছি ,বসো ।
আদিনা:বিছানায় বসলো,সাদা কাপড় পরে বসে আছে আদিনাকে যেন মনে হলো স্বর্গীয় দূত,কোন বিশেষ বার্তা, নিয়ে আমার কাছে এসেছে ।
শুভ মনে মনে ভাবলো,"তোমার এই সুন্দর মুখ যেন, এক মিষ্টি মায়াবী মুখ,ওই মুখের যে কি মায়া, পবিত্রতা সে কেবল এক মাত্র স্মৃতি কর্তা জানেন"
আদিনা কাছে তা অজানা,
এটাই কি ভালবাসা, আমি কি আদিনাকে ভালবেসে
ফেলছি ?
আদিনাতো আমার না, অন্যের কিভাবে, আমি আমার মনকে বুঝাই ।
আদিনা:কি এমন, করে কি দেখছো?
শুভ:তোমাকে,খুব সুন্দর লাগছে, মনে হয়েছে স্বর্গীয় দূত,আমার সামনে বসা ।
আদিনা:রসিকতা ছাড়লো আচ্ছা,তোমাকে অনেকদিন ধরে ভাবছি, একটা প্রশ্ন করব কিন্তু সাহস পাচ্ছিনা,
শুভ:বলে ফেল, মনের মাঝে কথা, জমিয়ে রেখে লাভ নেই।
আদিনা:নীলা, তোমার কলেজ ক্লাসমেট এবং আমি এতা শুনেছি, নীলা তোমাকে লাইক করতো,তাহলে তোমার সাথে নীলার প্রেমের সম্পর্ক হলো না কেন?
শুভ তাকিয়ে থাকলো।
শুভ:আদিনা তোমাকে তাহলে কিছু কথা আমাকে বলতেই হয়,একটু হেসে জবাব দিলো শুভ ।
আদিনা: নড়েচড়ে বসলো ।
শুভ:সবাইতো আর স্কুল কলেজে,প্রেম করেন না,ছোটবেলা প্রেম করা মানে, প্রেম ভালবাসাকে খাটো করা,মিষ্টি সময়ে গুলোকে,অবজ্ঞা করা,ছোটবেলা যারাই প্রেম করেছে,তারা বড় হবার পর মুখ থুবড়ে পড়েছে, শুধু শুধু সময়ে নষ্ট,জীবন ব্যর্থ করে,নিজের পবিত্র আত্মাকে অপবিত্র করা, ভালবাসা মানে অনেক বড় ব্যাপার ।
আমাদের বাবা মা তাদের সন্তানদের স্কুল,কলেজে পাঠায়ে পড়াশোনা করে যোগ্য হবার জন্য প্রেম করবার জন্য না,
নীলা আমার ভালো ফ্রেন্ড,ওকে নিয়ে আমি এসব কিছু চিন্তা করিনি ।
আদিনা:বুঝলাম তুমি তোমার মিষ্টি সময়ে গুলো তুমি প্রেম করে নষ্ট করতে চাওনি ।
শুভ:একদম ঠিক ।
আদিনা:কোথায়,কোথায় তুমি আমাকে ইঙ্গিত করেছিলে ।
যে আমি নাইমকে কলেজে থেকে ভালোবাসতাম,তুমি কি জানো,প্রেম কাকে বলে,সেলফিশ ।
শুভ:তুমি কেন নাইয়েমকে নিয়ে, এত কষ্ট পেলে,তোমার সাথে নাইয়েমর বিয়ে হতে,পারতো?
আদিনা বেশ কিছু সময়ে চুপ করে থাকলো,জানিনা ।
শুভ:আরে,আমরা জগড়া করছি কেন? কোনো মানে নেই । এই আদিনা,চুপ কেন তুমি,যদি বলি, আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি,আমি তোমাকে অনেক চাই ।
আদিনা:কি?
শুভ:আমি ঠাট্টা করলাম,নাইয়েমর হাতে তোমাকে তুলে দিবো,আমি এর আগে তোমাকে বলেছি ।
আদিনা:তাহলে তুমি কি করবে?
শুভ:পরে,একটা ভালো পাত্রী দেখে, বিয়ে করে ফেলবো,
আদিনা:পাত্রী দেখতে হবে না,আমি মনে করি,তোমার জন্য সুপাত্রী নীলা ।
শুভ:ওকে তাহলে "আমি নীলাকে বিয়ে করবো"
আদিনা:সবাইকে কিভাবে ম্যানেজ করবে ?
শুভ:ওটা আমার উপর ছেড়ে দাও ।
দুইজন দুইজনের দিকে তাকিয়ে হাঁসতে,থাকলো ।
শুভ বাথরুমের আয়নাতে নিজের চেহারা দেখছে আয়নার দিকে এক দৃষ্টিতে তোমাকে দিয়ে আমি কেমন ভাবে থাকবো একটি বারও ভাবোনি আমি তোমাকে ভালোবাসি তোমার আর আমার সুন্দর জীবনের আমার এক মাত্র জীবন সাথে শুধু মাত্র তোমাকেই চাই ।
--চলবে---
আদিন:চলো হোটেল রুমে ফেরা যাক ।
হোটেল রুম শুভ বিছানায় বসে ল্যাপ্টোব নিয়ে কাজ করছে আদিনা এসে দাঁড়ালো বিছানার কাছে
আদিনা:খুব ব্যাস্ত ?
শুভ:না জাস্ট হালকা, কিছু কাজ করছি ,বসো ।
আদিনা:বিছানায় বসলো,সাদা কাপড় পরে বসে আছে আদিনাকে যেন মনে হলো স্বর্গীয় দূত,কোন বিশেষ বার্তা, নিয়ে আমার কাছে এসেছে ।
শুভ মনে মনে ভাবলো,"তোমার এই সুন্দর মুখ যেন, এক মিষ্টি মায়াবী মুখ,ওই মুখের যে কি মায়া, পবিত্রতা সে কেবল এক মাত্র স্মৃতি কর্তা জানেন"
আদিনা কাছে তা অজানা,
এটাই কি ভালবাসা, আমি কি আদিনাকে ভালবেসে
ফেলছি ?
আদিনাতো আমার না, অন্যের কিভাবে, আমি আমার মনকে বুঝাই ।
আদিনা:কি এমন, করে কি দেখছো?
শুভ:তোমাকে,খুব সুন্দর লাগছে, মনে হয়েছে স্বর্গীয় দূত,আমার সামনে বসা ।
আদিনা:রসিকতা ছাড়লো আচ্ছা,তোমাকে অনেকদিন ধরে ভাবছি, একটা প্রশ্ন করব কিন্তু সাহস পাচ্ছিনা,
শুভ:বলে ফেল, মনের মাঝে কথা, জমিয়ে রেখে লাভ নেই।
আদিনা:নীলা, তোমার কলেজ ক্লাসমেট এবং আমি এতা শুনেছি, নীলা তোমাকে লাইক করতো,তাহলে তোমার সাথে নীলার প্রেমের সম্পর্ক হলো না কেন?
শুভ তাকিয়ে থাকলো।
শুভ:আদিনা তোমাকে তাহলে কিছু কথা আমাকে বলতেই হয়,একটু হেসে জবাব দিলো শুভ ।
আদিনা: নড়েচড়ে বসলো ।
শুভ:সবাইতো আর স্কুল কলেজে,প্রেম করেন না,ছোটবেলা প্রেম করা মানে, প্রেম ভালবাসাকে খাটো করা,মিষ্টি সময়ে গুলোকে,অবজ্ঞা করা,ছোটবেলা যারাই প্রেম করেছে,তারা বড় হবার পর মুখ থুবড়ে পড়েছে, শুধু শুধু সময়ে নষ্ট,জীবন ব্যর্থ করে,নিজের পবিত্র আত্মাকে অপবিত্র করা, ভালবাসা মানে অনেক বড় ব্যাপার ।
আমাদের বাবা মা তাদের সন্তানদের স্কুল,কলেজে পাঠায়ে পড়াশোনা করে যোগ্য হবার জন্য প্রেম করবার জন্য না,
নীলা আমার ভালো ফ্রেন্ড,ওকে নিয়ে আমি এসব কিছু চিন্তা করিনি ।
আদিনা:বুঝলাম তুমি তোমার মিষ্টি সময়ে গুলো তুমি প্রেম করে নষ্ট করতে চাওনি ।
শুভ:একদম ঠিক ।
আদিনা:কোথায়,কোথায় তুমি আমাকে ইঙ্গিত করেছিলে ।
যে আমি নাইমকে কলেজে থেকে ভালোবাসতাম,তুমি কি জানো,প্রেম কাকে বলে,সেলফিশ ।
শুভ:তুমি কেন নাইয়েমকে নিয়ে, এত কষ্ট পেলে,তোমার সাথে নাইয়েমর বিয়ে হতে,পারতো?
আদিনা বেশ কিছু সময়ে চুপ করে থাকলো,জানিনা ।
শুভ:আরে,আমরা জগড়া করছি কেন? কোনো মানে নেই । এই আদিনা,চুপ কেন তুমি,যদি বলি, আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি,আমি তোমাকে অনেক চাই ।
আদিনা:কি?
শুভ:আমি ঠাট্টা করলাম,নাইয়েমর হাতে তোমাকে তুলে দিবো,আমি এর আগে তোমাকে বলেছি ।
আদিনা:তাহলে তুমি কি করবে?
শুভ:পরে,একটা ভালো পাত্রী দেখে, বিয়ে করে ফেলবো,
আদিনা:পাত্রী দেখতে হবে না,আমি মনে করি,তোমার জন্য সুপাত্রী নীলা ।
শুভ:ওকে তাহলে "আমি নীলাকে বিয়ে করবো"
আদিনা:সবাইকে কিভাবে ম্যানেজ করবে ?
শুভ:ওটা আমার উপর ছেড়ে দাও ।
দুইজন দুইজনের দিকে তাকিয়ে হাঁসতে,থাকলো ।
শুভ বাথরুমের আয়নাতে নিজের চেহারা দেখছে আয়নার দিকে এক দৃষ্টিতে তোমাকে দিয়ে আমি কেমন ভাবে থাকবো একটি বারও ভাবোনি আমি তোমাকে ভালোবাসি তোমার আর আমার সুন্দর জীবনের আমার এক মাত্র জীবন সাথে শুধু মাত্র তোমাকেই চাই ।
--চলবে---
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পবিত্র চক্রবর্তী ১৭/০৪/২০১৮ভালো লাগলো
-
সোলাইমান ২০/১১/২০১৭আপনার শব্দ ভান্ডার দেখে সত্যই হিংসে হচ্ছে l বেচে থাকুন মানব মনে হাজার বছর।।।।।।।
-
ইমানুর রহমান ২০/১১/২০১৭ভাল লাগলো ।
-
কামরুজ্জামান সাদ ২০/১১/২০১৭শুভ যে কথাগুলো বললো সেটা অনেকটা দর্শন বলা যেতে পারে।একটা জীবনদর্শন।প্রেমের সঙ্গাটা পরিবর্তনের সময় এসেছে।