সেই লোকটি
ঝিরিঝিরি হিমেল বাতাস বইছে,শীতের সকাল, ঘড়িতে বাজে ১০টা,চারিপাশে কুয়াশা আসন্ন পরিবেশ,অনেকক্ষন ধরে মাহমুদ পার্কের ফুটপাথ দিয়ে হাঁটছে । পরনের নীল রঙের জগিং ড্রেস,কোমরে ওয়েস্ট ওয়ালেট,তাতে মোবাইল ফোন রাখা ছিল এবং মোবাইলের সাথে এয়ার ফোনটি দিয়ে সে গান শুনছিলো । সামনে একটা বেঞ্চ, সে বেঞ্চ উপরে বসে পড়লো । মাহমুদ হলো প্রকৃতি প্রিয় মানুষ। সে প্রকৃতি ভালবাসে আর ভালবাসে গান তার ওয়ালেট থেকে মোবাইল ফোনটি বের করে মোবাইল ফোনে গানের লিস্টে সার্চ বের করলো এই গানটি :
"এই পথ যদি না শেষ হয়ে তবে কেমন হতো তুমি বলতো?"
তার মা পুরোনো দিনের বাংলা গান খুব পছন্দ করে,অভ্যেসটা তার মার কাছে থেকেই এসেছে ।
প্যান্টের পকেট থেকে বাদামের ঠোঙ্গাটি বের করলো, গান শুনছে আর বাদাম খাচ্ছে। দূরে,গাছে বসে থাকা পাখি গুলোর দিকে, মাহমুদ তাকিয়ে আছে । মোবাইল ফোনে তার প্রিয় গানের কলি বাজছে ।
"প্রাণে যদি এই গানের রেশ রয়ে
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়ে
তবে কেমন হত তুমি বল তো"
হঠাৎ এক লোক, পরনে ময়লা পোশাক, দুই চোখ ক্ষোভে জর্জরিত, বেঞ্চে মাহমুদের পাশে বসে পরল,লোকটি মাহমুদের দিকে তাকিয়ে বল ।
লোকটি :দেয় দেয়, কিছু দেয়, সব দিয়ে যা তুই আমাকে দেয় ।
মাহমুদ চমকে উঠলো,কান থেকে এয়ারফোন টিকে নামিয়ে বললো ।
মাহমুদ:ওদিকে যান,আমাকে মাফ করেন।
বলেই মাহমুদ ওই জায়গা ত্যাগ করলো সাথে সাথে এবং জোরে জোরে হাটে শুরু করলো ।
হাঁটার সময়ে মোবাইল ফোন তার ওয়েস্ট ওয়ালেট ভোরে ফেললো ।
মাহমুদ মনে মনে বলছে আসেপাশে মানুষ এতো কম কেন ? একটু আগেই তো অনেক মানুষ ছিল,নাকি আমি চোখে ভুল দেখেছি,মাহমুদের কাছে যেন সবকিছু এলোমেলো লাগতে শুরু করলো ।
কি বলছে, ওই পাগলটা, তবে কি, লোকটা কি মানুষ না ।
গা শিহরে উঠলো মাহমুদের,বেশ আতংকিত,হয়ে উঠলো সে মুহূর্তে ভিতরে, এই সকালে আবার ভূত বা প্রেত আত্মা আসবে কোথা দিয়ে । না না এগুলো সব কিছু আমার মনের হাল্লোসিনেশন ।
তবে আমার মা কোনো কিছু হয়েছে ।
মা আমাকে আজকে জগিং যেতে মানা করেছিল ।
মোবাইলে বাটন টিপে তার মাকে কল দিলো তার মা কল রিসিভ করলো ।
মা:হ্যালো
মাহমুদ:মা, তুমি ভালো আছো তো?
মা:হ্যাঁ, বাবা কিন্তু তোর গলাটা এরকম শুনছে কেন?
মাহমুদ:মা আমি এসে,সব বলব ।
মাহমুদ বাসায় ফিরলো,ভয়ে তার গায়ে জোর এসে পরছে,সে তার মাকে সব কথা খুলে বলল ।
সুস্থ হয়ে যাবার পর মাহমুদ তার ভারিসিটির বন্ধুদের সাথে ব্যাপারটি শেয়ার করে । সব বন্ধুরা মিলেই ঠিক করলো
প্রতি তারা শুক্রুবারে কোননা কোনো ভালো কাজ করবে ।
প্রতি শুক্রুবার আল্লাহ্পাকের নামে গরিব দুস্থ মানুষদের খাওয়ানো শুরু করলো এভাবে চলতে থাকে ।
তারা ফেইসবুক পেজ খুলে যার নাম দেয় "দ্বীপশিখা" । যেখানে তাদের সদস্য সংখ্যা প্রায় তিন হাজারে গিয়ে দাড়ায়ে।
অনেক বড় বড় প্রতিষ্টান থেকে সাহায্য পায়ে গরিব ছিন্নমূল মানুষদের জন্য । গরিব ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাদের "দীপশিখার" সম্পর্কে তাদের নামে সংবাদ পত্রতে খবর ছাপা হয় ।
একদিন দুপুরে মাহমুদ টিউশন শেষ করে ফুটপাত দিয়ে হেটে বাসায় ফিরছে এমন সময়ে ওই লোকটি, দাঁড়িয়ে আছে ,তার পরনে কোনো ময়লা পোশাক নেই ।
মাহমুদের দিকে হাসি মুখে তাকিয়ে আছে এবং হাত নাড়াচ্ছে ।
মাহমুদ সেই লোকটিকে দেখে তার হাত নাড়ালো এবং হেটে চলে গেল ।
"এই পথ যদি না শেষ হয়ে তবে কেমন হতো তুমি বলতো?"
তার মা পুরোনো দিনের বাংলা গান খুব পছন্দ করে,অভ্যেসটা তার মার কাছে থেকেই এসেছে ।
প্যান্টের পকেট থেকে বাদামের ঠোঙ্গাটি বের করলো, গান শুনছে আর বাদাম খাচ্ছে। দূরে,গাছে বসে থাকা পাখি গুলোর দিকে, মাহমুদ তাকিয়ে আছে । মোবাইল ফোনে তার প্রিয় গানের কলি বাজছে ।
"প্রাণে যদি এই গানের রেশ রয়ে
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়ে
তবে কেমন হত তুমি বল তো"
হঠাৎ এক লোক, পরনে ময়লা পোশাক, দুই চোখ ক্ষোভে জর্জরিত, বেঞ্চে মাহমুদের পাশে বসে পরল,লোকটি মাহমুদের দিকে তাকিয়ে বল ।
লোকটি :দেয় দেয়, কিছু দেয়, সব দিয়ে যা তুই আমাকে দেয় ।
মাহমুদ চমকে উঠলো,কান থেকে এয়ারফোন টিকে নামিয়ে বললো ।
মাহমুদ:ওদিকে যান,আমাকে মাফ করেন।
বলেই মাহমুদ ওই জায়গা ত্যাগ করলো সাথে সাথে এবং জোরে জোরে হাটে শুরু করলো ।
হাঁটার সময়ে মোবাইল ফোন তার ওয়েস্ট ওয়ালেট ভোরে ফেললো ।
মাহমুদ মনে মনে বলছে আসেপাশে মানুষ এতো কম কেন ? একটু আগেই তো অনেক মানুষ ছিল,নাকি আমি চোখে ভুল দেখেছি,মাহমুদের কাছে যেন সবকিছু এলোমেলো লাগতে শুরু করলো ।
কি বলছে, ওই পাগলটা, তবে কি, লোকটা কি মানুষ না ।
গা শিহরে উঠলো মাহমুদের,বেশ আতংকিত,হয়ে উঠলো সে মুহূর্তে ভিতরে, এই সকালে আবার ভূত বা প্রেত আত্মা আসবে কোথা দিয়ে । না না এগুলো সব কিছু আমার মনের হাল্লোসিনেশন ।
তবে আমার মা কোনো কিছু হয়েছে ।
মা আমাকে আজকে জগিং যেতে মানা করেছিল ।
মোবাইলে বাটন টিপে তার মাকে কল দিলো তার মা কল রিসিভ করলো ।
মা:হ্যালো
মাহমুদ:মা, তুমি ভালো আছো তো?
মা:হ্যাঁ, বাবা কিন্তু তোর গলাটা এরকম শুনছে কেন?
মাহমুদ:মা আমি এসে,সব বলব ।
মাহমুদ বাসায় ফিরলো,ভয়ে তার গায়ে জোর এসে পরছে,সে তার মাকে সব কথা খুলে বলল ।
সুস্থ হয়ে যাবার পর মাহমুদ তার ভারিসিটির বন্ধুদের সাথে ব্যাপারটি শেয়ার করে । সব বন্ধুরা মিলেই ঠিক করলো
প্রতি তারা শুক্রুবারে কোননা কোনো ভালো কাজ করবে ।
প্রতি শুক্রুবার আল্লাহ্পাকের নামে গরিব দুস্থ মানুষদের খাওয়ানো শুরু করলো এভাবে চলতে থাকে ।
তারা ফেইসবুক পেজ খুলে যার নাম দেয় "দ্বীপশিখা" । যেখানে তাদের সদস্য সংখ্যা প্রায় তিন হাজারে গিয়ে দাড়ায়ে।
অনেক বড় বড় প্রতিষ্টান থেকে সাহায্য পায়ে গরিব ছিন্নমূল মানুষদের জন্য । গরিব ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাদের "দীপশিখার" সম্পর্কে তাদের নামে সংবাদ পত্রতে খবর ছাপা হয় ।
একদিন দুপুরে মাহমুদ টিউশন শেষ করে ফুটপাত দিয়ে হেটে বাসায় ফিরছে এমন সময়ে ওই লোকটি, দাঁড়িয়ে আছে ,তার পরনে কোনো ময়লা পোশাক নেই ।
মাহমুদের দিকে হাসি মুখে তাকিয়ে আছে এবং হাত নাড়াচ্ছে ।
মাহমুদ সেই লোকটিকে দেখে তার হাত নাড়ালো এবং হেটে চলে গেল ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আমি সেই প্রতিবাদী নারী ০৫/০৮/২০১৭মাশাআল্লাহ্, খুব সুন্দর লিখেছেন।
-
ফয়জুল মহী ০২/০৮/২০১৭হৃদয় ছোঁয়া একটি অসাধারণ উপস্থাপনা
-
আ'বিরু সাবীল ২৯/০৭/২০১৭ভালো লিখেছেন। বিরাম চিহ্নের ব্যবহার আর বানানের দিকে একটু মনযোগ দিলে ভালো হয়। শুভকামনা।
-
কামরুজ্জামান সাদ ২৯/০৭/২০১৭অনুগল্প! বেশ লিখছেন।