শ্যুট
গল্পে বর্ণিত প্রধান চরিত্রটির নাম রবিন। বাইশ বছর বয়সি রবিন একজন পুরোদুস্তর কবি। তুখোড় কবি। শব্দে যে প্রতিনিয়ত মালা গেঁথে চলে। একেক মালার গঠন ও স্বাদ ভিন্ন। কবি তার চিন্তার খোড়াক খোঁজে প্রতিদিন, প্রতি মুহুর্তে কোন এক নতুন মালা তৈরির জন্যে। সেই শব্দ খুঁজতেই প্রতিদিন সকালে হাটতে বের হন।
তাঁর আজকের কবিতার বিষয় মৃত্যু। কবিতার শব্দও সে পেয়ে গেছে। ভোর. সদ্য জন্ম নেয়া শিশু. কান্না. নিস্তব্দ. আগ্নেয়াস্ত্র. রাস্তা. ভোরের পাখি. কুয়াশা ও হালকা শীত। কবি লিখতে শুরু করলেন।
কবি লিখলেন- ঠিক সুবহে সাদিকের সময়। নিস্তব্দ ভোরে কোন এক বিশ্বরোডে একটি শিশুর জন্ম। সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু। পিতৃ পরিচয়হীন শিশুর মাও চলে গেলেন একটু আগে। রক্ত সম্পর্কীয় কেউ তার পাশে নেই। পাশে নেই দূর সম্পর্কের কেউ।
কবি তাঁর কবিতায় চিত্রকল্প আনতে শুরু করলেন এভাবে- ধীর পায়ে প্রতিদিন সেকুলার বিশ্ব গড়তে এক আন্তর্জাতিক সিরিয়াল কিলার গুলিবিব্ধ করে এক একটি ধর্ম. এক একটি ইজমকে ধৈর্যের সাথে ঠান্ডা মাথায় খুন করে চলেন মাছ শিকারির মত। বিশ্ব মানবতাবাদী সিরিয়াল কিলারের এবারের আয়োজন সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু। ধর্মালয়ে জন্ম নেওয়া শিশুটি তাই তার প্রধানতম প্রতিদন্ধি।
কবি তার কবিতায় উপমা ব্যবহার করলেন না। তিনি সরাসরি অনুপ্রাসে নজর দিলেন।
কবি তাঁর কবিতায় অনুপ্রাস দিল এক রাউন্ড গুলির আওয়াজ। সেক্যুলার সিরিয়াল কিলারের আগ্নেয়াস্ত্র ভেদ করে বেড়িয়ে আসলো এক রাউন্ড গুলি. সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর বক্ষ ভেদ করে তা খুঁজতে লাগলো অন্য কোন শিশুকে। ধীর পায়ে এগিয়ে চললেন সেক্যুলার সিরিয়াল কিলারের পা।
শীত. কুয়াশাসহ বাকি শব্দ গুলোকে কবি তার কবিতার উৎপ্রেক্ষা লিখতে ব্যবহার করলেন। কবি লিখলেন আলট্রামর্ডান এক বিশ্ব বেত্তমিজের জন্ম দিলাম আজ। পৃথিবী কাপানো এই চরিত্রের জন্ম দাতা হিসেবে আমি আজ স্বার্থক পিতা।
পুরাধুনিক- ১
৯.১১.১৪
তাঁর আজকের কবিতার বিষয় মৃত্যু। কবিতার শব্দও সে পেয়ে গেছে। ভোর. সদ্য জন্ম নেয়া শিশু. কান্না. নিস্তব্দ. আগ্নেয়াস্ত্র. রাস্তা. ভোরের পাখি. কুয়াশা ও হালকা শীত। কবি লিখতে শুরু করলেন।
কবি লিখলেন- ঠিক সুবহে সাদিকের সময়। নিস্তব্দ ভোরে কোন এক বিশ্বরোডে একটি শিশুর জন্ম। সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু। পিতৃ পরিচয়হীন শিশুর মাও চলে গেলেন একটু আগে। রক্ত সম্পর্কীয় কেউ তার পাশে নেই। পাশে নেই দূর সম্পর্কের কেউ।
কবি তাঁর কবিতায় চিত্রকল্প আনতে শুরু করলেন এভাবে- ধীর পায়ে প্রতিদিন সেকুলার বিশ্ব গড়তে এক আন্তর্জাতিক সিরিয়াল কিলার গুলিবিব্ধ করে এক একটি ধর্ম. এক একটি ইজমকে ধৈর্যের সাথে ঠান্ডা মাথায় খুন করে চলেন মাছ শিকারির মত। বিশ্ব মানবতাবাদী সিরিয়াল কিলারের এবারের আয়োজন সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু। ধর্মালয়ে জন্ম নেওয়া শিশুটি তাই তার প্রধানতম প্রতিদন্ধি।
কবি তার কবিতায় উপমা ব্যবহার করলেন না। তিনি সরাসরি অনুপ্রাসে নজর দিলেন।
কবি তাঁর কবিতায় অনুপ্রাস দিল এক রাউন্ড গুলির আওয়াজ। সেক্যুলার সিরিয়াল কিলারের আগ্নেয়াস্ত্র ভেদ করে বেড়িয়ে আসলো এক রাউন্ড গুলি. সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর বক্ষ ভেদ করে তা খুঁজতে লাগলো অন্য কোন শিশুকে। ধীর পায়ে এগিয়ে চললেন সেক্যুলার সিরিয়াল কিলারের পা।
শীত. কুয়াশাসহ বাকি শব্দ গুলোকে কবি তার কবিতার উৎপ্রেক্ষা লিখতে ব্যবহার করলেন। কবি লিখলেন আলট্রামর্ডান এক বিশ্ব বেত্তমিজের জন্ম দিলাম আজ। পৃথিবী কাপানো এই চরিত্রের জন্ম দাতা হিসেবে আমি আজ স্বার্থক পিতা।
পুরাধুনিক- ১
৯.১১.১৪
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আলোকিত অন্ধকার ২৭/১১/২০১৪কবিতায় ক্ষোভ!! বেশ বেশ মন্দনা...।
-
বিজয় ২৬/১১/২০১৪ki bolbo?
-
বিজয় ২৬/১১/২০১৪kicu bolar nei.
-
আমিন চৌধুরী ১৯/১১/২০১৪মেসেজটা টের পেয়েছি।মনে রাখবেন জটিলকে সহজ করে লেখার মধ্যেই সার্থকতা।
-
মোঃ শফিকুল ইসলাম মোল্লা (সজীব) ১৮/১১/২০১৪ভিন্ন আঙ্গিকে লেখা । তবে মেসেজটা গুরুত্বপূর্ণ ।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ১৭/১১/২০১৪হমম। কিছু একটা শক্ত লাগলো। তবে মনে হল আরেকটু স্পষ্ট হলে ভিন্নতা আছে...................
-
একনিষ্ঠ অনুগত ১৪/১১/২০১৪কিছুটা অস্পষ্টতা... ঠিক বুঝা গেল না...