অনিতা অনিত্য তুমি
শিমুল শুভ্র
অনিতা প্রেমে প্রণিতা অঙ্গের বাঁধনে প্রেম,
হাতের বাহুডোরে ভাঙ্গলো নিশি কাঁচ ফ্রেম।
ভেঙ্গে গেলো চাঁচ বড় বিশ্বাসের নিঁখুদ খাঁচ
যা ভাবেনি কভু তা হয়ে গেলো নিশি রাজ।
সর্বহারা বালির বুকে প্রেমিকের উন্মাদ মন,
বাঁধা দিয়ে'ছে তবু আবেগে গুপ্ত সুখের ক্ষণ।
বাবা হারা মেয়ে বড় আশা নিয়ে এলো শহর,
বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে সাজাবে নগর।
মায়ের বড় স্বপ্ন মেয়ে তাঁর রত্ন,গড়বে জীবন,
বালির বুকে ভাসবে সুখে জীবন নদীর তরণ।
কুড়ে কুড়ে খায় অনিতার দিন যায়,ভাবুক মনে,
শঙ্কিত আজ কম্পিত মনে দিশেহারা,প্রতি রণে।
মাস হলো পার চোখে মুখে ভার,কুমারী জননী,
প্রেমিকের দ্বারে ছুটে গেলো সারে,হতাশা রজনী।
অনিতা প্রেমিকের প্রবঞ্চনায় ভাঙ্গা নদীর দু'কূল
কুমারী মেয়ে বাসর সাজায় ধিক্কার প্রেমিক রোল।
অনিতা করলো ভুল,অসময়ের ফুল তার বক্ষে
একা একা কাঁদে কষ্টের তাড়নায় সে নীরব কক্ষে।
নিয়তির পরিহাসে প্রেমিকের উপহাসের চন্দ্রবিন্দু,
রুখে দাঁড়াবে সে সমাজ সংসারে উজ্জ্বল মহাসিন্ধু ।
লড়াকু মনে আইনের সনে জুটি বেঁধে করবে মন্থন,
এক সন্ধ্যায় অনিতার খোঁজ নেই, ঘরে জ্বলে লন্ঠন।
প্রভাত সারে রাস্তার ধারে সুতাহীন অনিতার লাশ,
এক সাথে দু'টি প্রাণ নিভে গেলো মান জীবনপ্রশ্বাস।
করোনা ভুল অসচেতনে ফুল ক্ষনিকের সুখের তরে
আলোহীন আঁধার কর পরিহার ভাসবে সুখের চরে।
প্রেম পবিত্র বাঁধ চরিত্র,জীবন যৌবনের আঁকুপাঁকে,
সংযত কর আবেগের গান সুশীল মনের স্রোতবাঁকে।
রচনাকাল
২৯।০৯।২০১৪
ইউ এ ই ।
বিঃদ্রঃ-অনুরোধ থাকলো আমার সকল শ্রদ্ধাভাজন কবিবন্ধু এবং সম্মানীত পাঠক বন্ধুদের প্রতি আপনারা কবিতাটি পুরো পড়ে তারপর ঘঠন মূলক মন্তব্যে আসার জন্য । এটি একটি আমাদের সমাজের বাস্তব উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত।ভালো থাকুন সবায় ধন্যবাদ।
অনিতা প্রেমে প্রণিতা অঙ্গের বাঁধনে প্রেম,
হাতের বাহুডোরে ভাঙ্গলো নিশি কাঁচ ফ্রেম।
ভেঙ্গে গেলো চাঁচ বড় বিশ্বাসের নিঁখুদ খাঁচ
যা ভাবেনি কভু তা হয়ে গেলো নিশি রাজ।
সর্বহারা বালির বুকে প্রেমিকের উন্মাদ মন,
বাঁধা দিয়ে'ছে তবু আবেগে গুপ্ত সুখের ক্ষণ।
বাবা হারা মেয়ে বড় আশা নিয়ে এলো শহর,
বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে সাজাবে নগর।
মায়ের বড় স্বপ্ন মেয়ে তাঁর রত্ন,গড়বে জীবন,
বালির বুকে ভাসবে সুখে জীবন নদীর তরণ।
কুড়ে কুড়ে খায় অনিতার দিন যায়,ভাবুক মনে,
শঙ্কিত আজ কম্পিত মনে দিশেহারা,প্রতি রণে।
মাস হলো পার চোখে মুখে ভার,কুমারী জননী,
প্রেমিকের দ্বারে ছুটে গেলো সারে,হতাশা রজনী।
অনিতা প্রেমিকের প্রবঞ্চনায় ভাঙ্গা নদীর দু'কূল
কুমারী মেয়ে বাসর সাজায় ধিক্কার প্রেমিক রোল।
অনিতা করলো ভুল,অসময়ের ফুল তার বক্ষে
একা একা কাঁদে কষ্টের তাড়নায় সে নীরব কক্ষে।
নিয়তির পরিহাসে প্রেমিকের উপহাসের চন্দ্রবিন্দু,
রুখে দাঁড়াবে সে সমাজ সংসারে উজ্জ্বল মহাসিন্ধু ।
লড়াকু মনে আইনের সনে জুটি বেঁধে করবে মন্থন,
এক সন্ধ্যায় অনিতার খোঁজ নেই, ঘরে জ্বলে লন্ঠন।
প্রভাত সারে রাস্তার ধারে সুতাহীন অনিতার লাশ,
এক সাথে দু'টি প্রাণ নিভে গেলো মান জীবনপ্রশ্বাস।
করোনা ভুল অসচেতনে ফুল ক্ষনিকের সুখের তরে
আলোহীন আঁধার কর পরিহার ভাসবে সুখের চরে।
প্রেম পবিত্র বাঁধ চরিত্র,জীবন যৌবনের আঁকুপাঁকে,
সংযত কর আবেগের গান সুশীল মনের স্রোতবাঁকে।
রচনাকাল
২৯।০৯।২০১৪
ইউ এ ই ।
বিঃদ্রঃ-অনুরোধ থাকলো আমার সকল শ্রদ্ধাভাজন কবিবন্ধু এবং সম্মানীত পাঠক বন্ধুদের প্রতি আপনারা কবিতাটি পুরো পড়ে তারপর ঘঠন মূলক মন্তব্যে আসার জন্য । এটি একটি আমাদের সমাজের বাস্তব উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত।ভালো থাকুন সবায় ধন্যবাদ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শাব্বীর আহমাদ ১১/১১/২০১৪চমৎকার লাগল কবি
-
চূড়ান্ত ৩০/১০/২০১৪ভালো লাগছে। তবে,একটা জিনিস বুঝতেছি না , আচ্ছা -অনিতা -কি পরে ধর্ষনের শিকার হয়েছে? এরপর খুন হয়? না রাস্তার পাশে তার সূতাহীনসীমাহীন লাশ পরে ছিল তো তাই।
আচ্ছা রবীন্দ্রনাথ-ই তো বলেছিলেন যে,বিশ্বাস হারানো পাপ। কি করা যায় বলুন তো বিশ্বাস হারানো পাপ আর বিশ্বাস করলে এই পরিনয়। আর মানুষের আদিম প্রবৃত্তি বলে কিছু একটা আছে, তাকে অস্বীকার করা খুব সহজ কথা নয়। মূল কথা হচ্ছে, এসব জঘন্য মানুষদের কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দেওয়া উচিত। -
অনিরুদ্ধ বুলবুল ৩০/১০/২০১৪আসলে আমার অসঙ্গতিগুলোও আমি ঠিক দেখতে পাই না যতটা অন্যের চোখে ধরা পরে। বন্ধু ভেবে কেউ নির্দেশ করলে পরে ঠিক করি। নিচের শব্দগুলো একটু দেখে নিন -
নিঁখুদ/প্রণিতা/সবায়/খাঁচ
এছাড়া রাজ/রণে/রোল শব্দ না শব্দাংশ তা ধরতে না পারায় বিন্যাসটা নিয়ে পাঠকের দ্বিধা কাজ করতে পারে, যেমন আমার করছে। তাই ও কথা বলেছিলাম।
ধন্যবাদ। -
মুহা, লুকমান রাকীব ২৯/১০/২০১৪অনেক ভাল যদি নাইবা বলি কবি,
কেমন করে খোলব আবার হৃদয় ছবি!!
আমার চোখে এটা খুব সুন্দর
আজি বক্ত আজি কবি তোর!! -
মনিরুজ্জামান শুভ্র ২৯/১০/২০১৪অনেক ভাল লাগলো , এই কবিতা এর আগেও মনে হয় পড়েছি।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ২৯/১০/২০১৪বস লেখাটি কেমন হয়েছে সেটা না হয় নাই বললাম। কিন্তু ঘটনাটি সম্পর্কে না বলে যে পারছিনা। আমাদের চারপাশে এই দুঃখজনক ঘটনাটি অহরহ ঘটছে। অনিতারা কবে তোমরা সাবধান হবে? আইনের আশ্রয় বিচার এগুলোতাে পরে। কেনো সব অনিতারাই একই ভুল বারবার করছে? কেনাে? আর কতকাল? এবার তোমরা সজাগ হও। এবার তোমরা জাগো।
-
কৌশিক আজাদ প্রণয় ২৯/১০/২০১৪মহাসিন্দু> মহাসিন্ধু ।
পড়লাম কবি, করুণ চিত্রটি শেষটায় মন খারাপ করে দিলো। আইনের আশ্রয় নেবে এমন চিন্তা করার পরেও কলুষিত পুরুষতন্ত্রের দংশনে প্রাণ দিতে হলো অনিতা কে। অক্ষর বৃত্ত ছন্দের কবিতাতে অনুপ্রাসের ব্যবহার বেশ কঠিন হলেও আপনি বেশ যথার্থভাবেই তা করতে পেরেছেন।
তবে অমৃতাক্ষর ছন্দে গদ্যাকারে লিখলে আরও সহজ হতো। তখন অবশ্য শেষ স্তবকে যেই লেসনটা প্রকাশ করা হয়েছে সেটা প্রকাশ করা কঠিন হতো। তাই সব মিলিয়ে আপনি যেটা করেছেন সেটাই হয়তো বেশী ভালো। অনুপ্রাসের কবিতা ৮ মাত্রার বেশী হয়ে গেলে আবৃত্তি করতে কষ্ট হয়। তবে আপনার কবিতাটা ২ বার পড়লাম, মন্দ লাগলো না।
অভিনন্দন হে মেধাবী কবি। -
অনিরুদ্ধ বুলবুল ২৯/১০/২০১৪পুরো না পড়ার কোন কারণ নেই কবি।
একটা কীটদংশ প্রেমের কি পরিনতি দিতে যাচ্ছেন তা না দেখে যাই কি করে? শেষমেষ কষ্ট নিয়েই গেলাম। কামনা করি অনিতারা আর মিথ্যে মোহে যাকে তাকে বিশ্বাস করে এভাবে জীবন নষ্ট না করুক।
বারবার আমার সীমাবদ্ধতা আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়, অজ্ঞতার যন্ত্রণায়। ভাষা জ্ঞানের সীমাবদ্ধতায় প্রিয়কবির লেখা সম্যক উপলব্ধি করতে পারিনা বলে আমার ভীষন কঠিন হয়।
বানানের ভূত যেন আমাদের পিছন ছাড়তেই চায় না? মাফ করবেন।
ধন্যবাদ।