www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

অদৃশ্য কণ্ঠ

জুলেখার সাথে কাটানো কিছু মধুর স্মৃতি দেখতে দেখতে হঠাত্‍ করেই ঘুম ভেঙে গেল মিজানের। ঘরের দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকানোর পর যেন কাঁথার নিচে থাকা শরীর ধীরে ধীরে ঘেমে যেতে লাগলো। এত দেরী কিভাবে হল? প্রায় আটটা বেজে গেছে! তবুও যেন বিছানা ছেড়ে উঠতে মন চাইছিল না ওর। এ কয়দিন কাঠফাটা গরমের পর গতরাতে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। যার প্রভাবটি পড়েছে মিজানের ঘুমের উপর। হঠাত্‍ মা ডেকে উঠলেন। মায়ের কাছে বলতে সাহস হচ্ছিল না যে, আজকে ওর কলেজে যেতে ইচ্ছে করছে না। শুধু শুয়ে থাকতেই ইচ্ছে করছে। যদিও কলেজে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ক্লাশ আছে। যাওয়াটা দরকার।
অনিচ্ছা থাকা সত্বেও ওর উঠতে হল। তারপর ফ্রেশ হয়ে টেবিলে বসে কলেজের পড়াগুলো দেখতে লাগলো।
কিছুক্ষন পর ওর মা নাস্তা খাওয়ার জন্য ওকে ডাক দিলেন। ও নাস্তা খেতে চলে গেল ডাইনিংরুমে। ডাইনিংরুমে গিয়ে ও দেখল ওখানে কেউই নেই। মিজান ওর মাকে ডাকতে লাগলো। অনেক্ষন ডাকা-ডাকির পর ওর মা এসে ওকে বলল,
-কি হয়েছে? এত ডাকছিস কেন?
তারপর মিজান ওর মাকে বলল, কি হয়েছে মানে? তুমি আমার নাস্তা দেওয়ার কথা বলে কোথায় গিয়েছিলে? এদিকে আমার কলেজের সময় চলে যাচ্ছে?
ওর মা তারপর ওকে বলল, আমি আবার তোকে ডাকছিলাম কখন? আমি তো সেই কখন তোর মিথিলা আন্টির বাসায় গিয়েছিলাম। আর আমিতো গতরাতে বলেই দিয়েছি, আজ সকালে নাস্তা হবে না। সবাইকে বাহির থেকেই নাস্তা করতে হবে। ঐ যে টেবিলে টাকা রাখা আছে। বাহির থেকে ভালো কিছু খেয়ে নিবি। এখন যা, কলেজে যা। দেরী হয়ে যাচ্ছে।
মায়ের মুখে এই কথা শুনে মিজান যেন ওর চোখে শুধু অন্ধকার দেখতে লাগলো। আর চিন্তা করতে লাগলো, তাহলে ডাকটা দিল কে? কণ্ঠটিই বা কার!!!
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ১০৫২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৩/০৯/২০১৫

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • শ্রীতরুণ গিরি ০৩/০৯/২০১৫
    তাই তো ! ডাকল তবে কে ?
  • শিমুল শুভ্র ০৩/০৯/২০১৫
    দারুন গল্প
 
Quantcast