www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

কান ও মান

কান, শ্রবণেন্দ্রিয় তা আমরা সবাই জানি। এটার সাহায্যে আমরা, মানে কান ধারণকারী সমস্ত প্রাণীকুল শব্দ শুনি। এছাড়াও কানের একটা আলাদা মহিমা আছে। সেটা হলো,নিজের কান নিজেই যদি ধরি,তার মানে বুঝতে হবে- আমি নিজে কোনো দোষ করেছি, আর সেইজন্যে নিজেরই কান ধরে অন্যের কাছে ক্ষমা চাইছি। আর, যদি আমি অন্য কারো কান ধরি, তার মানে বুঝতে হবে- সে দোষী। কিন্তু, সেটা সে মানতে চাইছে না বা বুঝতে পারছে না তাই তার সহবতের জন্যে কান ধরে সাজা দেওয়ার প্রয়োজন। ছোটোবেলায়, এই কান ধরাধরির অভিজ্ঞতা নেই-এমন বয়স্ক ব্যক্তি পাওয়া-শুধু দুষ্কর নয়, ‘সোনার পাথরবাটির’ মতো  অসম্ভব। বেশ কিছুদিন আগে, সংবাদপত্রে একটা খবর বেরিয়েছিল যে, একজন ভদ্রমহিলাকে ভাল্লুক  আক্রমণ করে। প্রাণ বাঁচাতে তিনি ভাল্লুকের কান ধরে মলে দেন। আর, তাতেই ভাল্লুক ভদ্রমহিলাকে ছেড়ে দিয়ে বনে ফিরে যায়।
 এখন প্রশ্ন হলো, ভাল্লুকের কান ধরাতে কি তার এতোই যন্ত্রণা হল যে, সেই যন্ত্রণা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্যে সে শিকারকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হল?
 আমার মনে হয়, পশুকুলের অভিজাত সম্প্রদায়ের এই জীবটি – যার নাম বাঘের সঙ্গে একইসঙ্গে সম্ভ্রমের সঙ্গে উচ্চারিত হয়, তার এইরকম অপদস্থ হওয়া-যদি অন্য কেউ দেখে ফেলে- তাই, আরও সম্ভ্রমহানির আগেই  মানে মানে সেইস্থান পরিত্যাগ করা  শ্রেয় বলে মনে করেই সে রণে ভঙ্গ দিয়ে পালিয়ে বাঁচে।
বিষয়শ্রেণী: অন্যান্য
ব্লগটি ৫৮১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২২/০৮/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • সাঁঝের তারা ২২/০৮/২০১৭
    বেশ সুন্দর - যুক্তিপূর্ণ কথা
 
Quantcast