www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

জয় গুরো

জয় গুরো
মোমিনুল হক আরাফাত
জয়ঃ ছেলেটা তো দেখতে খুব শান্ত মনে হচ্ছে। কারো সাথে তেমন কোন কথা বলে না। মেয়েদের দিকে চোখ তুলে তাকাতে লজ্জা পাই। কলেজের দুষ্ট ছেলে সিদ্দীক, মানুষকে কষ্ট দিতে তার ভাল লাগে।
কলেজের গলি দিয়ে জয়, হেঁটে যাচ্ছে।
সিদ্দীকঃ তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে পেলে দিল। জয়, কোন প্রতিবাদ না করে হেঁটে যাচ্ছে।
সিদ্দীকঃ জয়ের হাতটা ধরে পেলল।
জয় মাথাটা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল।
সিদ্দীক বলল, আরে কলেজে তো নতুন আসছিস মনে হয়। ঠিক ভাবে হাঁটতে জানিস না?
জয়ঃ হ্যাঁ দাদা! আমার ভুল হয়ে গেছে।
সিদ্দীকঃ ঠিক আছে যা, প্রথম বার ক্ষমা করেদিলাম।
জয়ঃ কোন প্রতিবাদ না করে সোজা চলে যাচ্ছে।
কলেজের সব চেয়ে সুন্দরী মেয়ে ইতি। সিদ্দীক তার পাশে গিয়ে বসল।
ইতি, সেখান থেকে উঠে জয়ের পাশে এসে দাঁড়াল।
সিদ্দীকঃ আরে! তোর কাছে কী জাদু আছে না’কি? কলেজে আসতে না আসতে ইতির মন জয় করে নিলি?
জয়ঃ কারো মন জয় করতে এইখানে আসি নাই। এইখানে আসছি একজন মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার জন্য।
সিদ্দীকঃ এইটা তো স্বভাবিক। একটি সুন্দরী মেয়ে পাশে থাকলে যে কেউ হিরো হয়ে যায়। তুই তো দেখছি এখন হিরো হয়ে গেলি। তুই কী ভাবিস? তুই আমার চেয়ে বড় হিরো ?
জয়ঃ রাখো এসব কথা আমার সময় নাই। বাসায় ফিরতে হবে। নাহয় আদি অনেক দূর চিন্তা করবে।
সিদ্দীকঃ রেগেগিয়ে তাকে একটি গুছি মেরে দিল।
জয়ের মুখ পেটে রক্ত চলে আসল।
ইতিঃ দৌঁড়ে এসে বলল, সিদ্দীক! তুমি এইটা কি করলে? সে তো কোন অন্যায় করে নাই।
সিদ্দীকঃ ইতিকে ধাক্কা দিয়ে বলল, ন্যায় অন্যায় আমি বুঝি না। আমি যা করি তা ন্যায়। এই পৃথিবী থেকে ন্যায় উঠে গেছে অনেক আগে। এখন শুধু টাকা আর পাওয়ার। যার টাকা আছে সে ভাল মানুষ। আর যার টাকা নাই সে তো বাজে লোক। আর টাকার গায়ে তো লিখা নাই যে টাকাটা কী কাজ করে রোজগার করছে।
জয়ঃ কোন কথা না বলে বাসায় ফিরে গেল।

বায়াস আসা মাত্র আদি, তাকে দেখে অবাক হয়ে গেল।
আদিঃ জয় তুই কি কখনো ভাল হবি না? তুই এই শহরে আসতে না আসতে আবার জামলায় জড়ালি? তোর কী রক্ত নিয়ে খেলা করার নেশাটা যায়নি?
জয়ঃ তার কথার কোন উত্তর না দিয়ে বিছনাই গিয়ে বসে রইল।
আদিঃ পাশে এসে বলল, জয়! আর কত খেলবি রক্ত নিয়ে ? এইবার ভাল হয়ে যা। “এপি” তোর কারণে অকালে প্রাণ হারাল। এপি যদি তোকে ভাল না বাসত, তাকে ওপাড়ে যেতে হতো না অকালে। “রাজ” খুব ভয়ংকর তার হাতে থেকে কেউ তো বাঁচতে পারল না। সে যদি তোর কোন খোঁজ পাই তোকেও শেষ করে দিবে।
জয়ঃ আমি তো অনেক আগে মরে গেছি। “রাজ” আমাকে শেষ করতে পারবে না। আমি রাজকে শেষ করার জন্য এই শহরে আসছি। “রাজ” এই শহরে আছে। আর আমি এখানে কোন জামলাই জড়াইনি। কলেজের এক বন্ধু আমাকে আঘাত করেছিল। আমি তার কোন প্রতিবাদ না করে সোজা বাসায় চলে এলাম।
আদিঃ কী বললি? তোকে একজন আঘাত করল আর তুই কোন প্রতিবাদ না করে বাসায় চলে আসলি আমার তো বিশ্বাস হচ্ছে না।
জয়ঃ বিশ্বাস না হওয়ার কিছুই নাই। আমি নিজেকে বদলে নিয়েছি। এপির মৃত্যুটা আমার জন্য হয়েছিল। আমি যদি রক্ত নিয়ে খেলা না করতাম এপিকে হারাতে হতো না। আর আমার কলেজের বন্ধু আমাকে একটি আঘাত করল এতটুকু সহ্য করার ক্ষমতা আমার আছে।
আদিঃ জয়ের দিকে তাকিয়ে বলল, তুই কী সত্যি বলতেছিস? আমার তো বিশ্বাস হচ্ছে না।
জয়ঃ হ্যাঁ। আমি আর কোন রক্তপাত ঘটাব না। শুধু ঐ দিনটাতে ঘটাব।
আদিঃ কোন দিনে আবার?
জয়ঃ রাজের বংসসহ যে দিন নিরবংস করে দিব সে দিনটার অপেক্ষায় আছি।
আদিঃ ভুলে যা দোস্ত এসব। এই আগুন বুকে জ্বললে নিজেও জ্বলে ছাই হয়ে যাবি।
জয়ঃ আমি তো অনেক আগে ছাই হয়ে হয়ে গেছি। শুধু সে দিনটার জন্য অপেক্ষায় আছি আর কোন চাওয়া আমার বুকে নাই।

জয় কলেজ পৌছল
ইতিঃ সরি জয়, আমার জন্য তোমাকে অনেক অপমাণিত হতে হলো।
জয়ঃ কোন সমস্যা নাই। আমাকে নিয়ে ভাববার প্রয়োজন নাই।
ইতিঃ আচ্ছা! তোমার সম্পর্কে তো কোন কিছু জানা হলো না।
জয়ঃ জানার মতো কোন কিছু আমার নাই। এই পৃথিবীতে আমি একা, বাবা-মা ভাই বোন কেউ নাই। এই শহরে আমার এক বন্ধু আছে। আমি তার বাসায় থাকি।
ইতিঃ এই পৃথিবীতে কেউ নাই মানে?
জয়ঃ আমি সম্পূর্ণ নতুন একটি মাল। আমি ইতিহাস পড়ি না; আমি ইতিহাস গড়ি। তাই আমার জীবন রেখা এইরকম হয়ে ছিল। যতটা ভদ্র আমাকে ভাবছেন ততটা ভদ্র আমি না।
ইতিঃ তোমার মাঝে তো অভদ্র কিছুই দেখতেছি না।
জয়ঃ দেখতে চাও?
ইতিঃ হ্যাঁ।
জয়ঃ ইতির ওড়ানাটা টান দিয়ে খুলে পেলল।
ইতিঃ বোবা হয়ে গেল। এদিকে সিদ্দীক, তো বিশ্বাসও করতে পারতেছে না। এইটা কী জয়, না অন্য কেউ?
সিদ্দীক জয়ের কাছে আসার সাথে-সাথে, জয় তার মুখের চামড়াটা টেনে বলল, এইটা তো দেখতিছি অনেক নরম এত পাওয়ার কিসের?
সিদ্দীকঃ জয়ের দিকে হাত উঠাল।
জয়ঃ আরে এই ভুল করিস না। একেবারে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিব। আমি তো চেয়েছিলাম ভাল মানুষ হয়ে বাঁচতে তোরা তো আমাকে ভাল থাকতে দিবি না।
জয়ঃ ইতির মুখের দিকে হাতটা বাড়াল। ইতি সরে দাঁড়াল।

ইতি রাগ আর ঘৃণাই একেবারে কাতর হয়ে সারে দাঁড়াল।
জয়ঃ সিদ্দীকের কাঁদের উপর হাতটা রেখে বলল, দোস্‌ ভয় করিস না। আমি মাফিয়া হতে এ শহরে আসি নাই। আমি ভাল ভাবে বেঁচে থাকার জন্য এই শহরে আসছি। তবে কেউ আমাকে চেতাস না। যদি চেতে যায় অবস্থাটা ভাল হবে না।

পরেরদিন জয় আর সিদ্দীক এক সাথে কলেজে আসতেছে। একজন অপর জনের কাদে হাত দিয়ে। ইতি দেখে অবাক হয়ে গেল।
ইতিঃ কাছে এসে জয়কে কিছু বলার সাহস পেল না। সিদ্দীকে লক্ষ্য করে বলল, কাল তোরা দু জন জন্মের শত্রু ছিলি আজ কী করে বন্ধু হয়ে গেলি?
সিদ্দীকঃ এই! তোর কি হিংসা হচ্ছে আমাদের দেখে? “জয়” মোটেও খারাপ ছেলে না।
ইতিঃ কথাটা আর বলার দরকার নাই । বাবারও বাবা আছে, এখন তো দেখতেছি এই কলেজের বাবা জয়।
জয়ঃ ইতি আমাকে নিয়ে বেশি ভাববার প্রয়োজন নাই। বেশি ভাবলে রক্ত চাপ বেড়ে যাবে।
ইতিঃ কারো সম্পর্কে তেমন ভাববার সময় আমার হয় না। তবে তোমাকে বিশ্বাস করেছিলাম আর ভেবেছিলাম ভদ্র লোকের ছেলে। এখন তো দেখলাম-

জয়ের চেহেরা লাল হয়ে উঠল। জয়, ইতির হাতটা ধরে টেনে এক পাশে নিয়ে গেল।
ইতিঃ জয়! হাত ছাড়-তুমি কি জান আমি কে?
জয়ঃ কে হবে আবার কোন অভদ্র লোকের মেয়ে আর কি-
ইতিঃ জয়! মুখ সামলে কথা বলো আমার বাবা পুলিশ অফিসার পলাশ।
জয়ঃ ইতির দিকে তাকিয়ে বলল, এখনকার মেয়েদের কয়টা বাবা থাকে নিজেরাও জানে না। তারা মানুষকে বোকা বানানোর জন্য নিজেকে বড়-বড় লোকদের মেয়ে বানিয়ে নে।
ইতিঃ জয়, চুপ করো-তুমি এতটা অভদ্র আমি আগে জানতাম না। ইতি রাগ দেখিয়ে সোজা চলে গেল।
জয়ঃ সিদ্দীককে ডাক দিল।
সিদ্দীকঃ এসে উপস্থিত।
জয়ঃ ইতি কি পুলিশ অফিসার পলাশের মেয়ে না’কি?
সিদ্দীকঃ হ্যাঁ, একমাত্র মেয়ে। তাঁকে তুই চিনিস না’কি?
জয়ঃ চোর চাট্টাদের খবর রাখা যেমন পুলিশের দরকার হয়-তেমন চোর চাট্টাদেরও দরকার কোন পুলিশ কতটা সৎ তা জেনে রাখার।
সিদ্দীকঃ তুই কী সন্ত্রসী করিস?
জয়ঃ আমি তোর মতো একটি কলেজের বাবা না। আমি পোরা বাংলার বাবা, খুন, ঘোম, চাদাবাজি, সব করি। কোন কিছুতে আমার বাধা নাই। তবে সব কিছু ছেড়ে ভাল ভাবে বাঁচার আশায় এই শহরে আসছি। নিয়তি আমাকে ভাল ভাবে বাঁচতে দিচ্ছে না।
আমি চেয়েছিলাম আমার আসল রূপ না দেখাতে। তবে তোরা আবার আমাকে বাদ্ধ করেছিস “জয় গুরো” হয়ে যেতে। তুই জানিস না আমি কে? আমি সেই জানোয়ার যার নাম শোনলে বাংলার মাটি পর্যন্ত কাঁপতে থাকে আমি “জয় গুরো”। এক সময় আমি সব ছেড়ে দিয়ে মানুষের মতো মানুষ হয়ে বাঁচতে চেয়েছিলাম। তবে তোদের কারণে আমাকে আবার “জয় গুরো” হতে বাদ্ধ করছে।
সিদ্দীকঃ জয় আমি কখনো তোর পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াব না। তুইও ভাল হয়ে যা।
জয়ঃ সিদ্দীক! তুই ইতিকে ভালবাসিছ তাই না?
সিদ্দীকঃ না! ভালবাসি না। আমরা ছোট বেলার বন্ধু তার পরিবারের সাথে আমাদের ভাল সম্পর্ক। আর সে তো তোকে ভালবাসে।
জয়ঃ ভালবাসতে দিব না।
সিদ্দীকঃ কাকে?
জয়ঃ আমাকে। আমাকে সে ভালবাসার আগে। আমি নিজেক শেষ করেদিব।
সিদ্দীকঃ আসলে তুই কী পাগল?
জয়ঃ পাগল হয়ে গেছি। যে আমাকে ভালবাসবে তাকে অকালে ওপাড়ে চলে যেতে হবে। তাই আমি চাই না, আর কেউ আমাকে ভালবাসুক। এই কারণে ইতির সাথে এত খারাপ আচরণ করি ।

পরদিন সিদ্দীক কলেজে এসে উপস্থিত। ইতি এসে সিদ্দীককে বলল, তোর গুরো আসা নাই কেন?
সিদ্দীকঃ কী করে জানি? কেন আসে নাই। তোর কী ভাল লাগতেছে না?
ইতিঃ অনেক ভাল লাগতেছে। ঐ জানোয়ারটা আসে নাই তাই।
সিদ্দীকঃ জয় আসলে খারাপ না।
ইতিঃ আর বলতে হবে না। ওর মতো বাঝে ছেলে আর একটিও জন্মনেনি। আজ পর্যন্ত কেউ আমার দিকে চোখ তুলে তাকাইনি। কিনু্ত সে আমার কাঁপড় টেনে নিল। তুই অনেক ভাল।
সিদ্দীকঃ অনেক ভাল আগে ছিলাম না। “জয়” আমাকে ভাল হতে বাদ্ধ করছে। আর জয় আমার চেয়েও ভাল।

সিদ্দীকঃ ইতির পাশ থেকে উঠে মোবাইলটা হাতে নিল।
ইতিঃ সিদ্দীক কী করতেছিস্‌?
সিদ্দীকঃ জয়কে কল দিচ্ছি।
ইতি চুপ করে রইল। একটু পর সিদ্দীক তার পাশে এসে বসল।
ইতিঃ কী হলো? কল দিলি না?
সিদ্দীকঃ মালটার ধরণ কিছুই বুঝতেছি না। কল তো রিসিভ করতেছে না। শালার কী হলো কে জানে? জানি না কোথায় আবার কী করে পেলল।
ইতিঃ খুব চিন্তা হচ্ছে বুঝি-তাই না?
সিদ্দীকঃ চিন্তা তো হওয়ার কথা। আসলে তাকে দেখে যতটা নরম মনে হলো। ততট নরম সে নয়। তার বুকের মাঝে বারুধ আছে। জানি না কখন আবার জ্বলে উঠে। জ্বললে কিন্তুু একেবারে ছাই করেদিবে সব। আসলে তার মতো একজন বন্ধুর প্রয়োজন।
ইতিঃ কেন? তাকে দিয়ে কি? খুন করাবি না’কি?
সিদ্দীকঃ সমস্যা নাই। খুন করতে বললেও না বলবে না। অবশ্যই আমি তা করানোর কথা ভাবি নাই। না-মানে বিপদে আপদে সে সাঁড়া দিবে, তা তার আচরণ দেখে বুঝা যায়। ছেলেটা অনেক সহজ সরল।
ইতিঃ বাঁধ দে এসব চল ক্লাসে।

জয় আর আদি বাসায় বসে আছেঃ
আদিঃ কী হলো? খেয়ে নে এভাবে চললে হবে না। তুই তো এই শহরেও “জয় গুরো” হয়ে যাচ্ছিস্‌।
জয়ঃ রাজের কোন খোঁজ পাচ্ছিস না।
আদিঃ অনেক তো খোঁজে দেখতেছি। তবে একটু সময়ের প্রয়োজন। পেয়ে তো যাব।
জয়ঃ তোদের দিয়ে মনে হয় আর হবে না।
আদিঃ ভেঙ্গে পড়িস না। পেয়ে যাব দু দিন আগে বা পরে।

ইতি আর সিদ্দীক দু জন কলেজের মাঠে ঘাসের উপর বসে আছে। ইতি একটি বই খুলে বইটিতে কী যেন পড়তেছে। অল্পক্ষণ পর ইতি সিদ্দীকের দিকে তাকিয়ে বললঃ
ইতিঃ কী হলো কিছুই তো বুঝতে পারতেছি না। জয়ের তো কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
সিদ্দীকঃ আমি এদিকে মাথা দিতে পারতেছি না। বাবা কল দিয়ে ছিল। আর বলেছিল তোর দিকে নজর রাখতে “রাজ” না’কি দেশে ফিরছে।
ইতিঃ আরে তুই কী ভয় পাচ্ছিস? আমার কিছুই হবে না। রাজ আমার কোন ক্ষতি করতে পরবে না। আচ্ছা জয়কে একটি কল দিয়ে দেখ?
সিদ্দীকঃ আসলে তুই বুঝতেছিস না। আমি কী অবস্থায় আছি। আমি কিছু ভাববার সময় পাচ্ছি না।
ইতিঃ আচ্ছা বাবু! তুমি যখন সময় পাচ্ছ না। তোমাকে দিয়ে আর কাজ হবে না। আমি দেখতেছি মোবাইলটা দে?
সিদ্দীকঃ মোবাইল কই? মোবাইল তো তোর হাতে আছে?
ইতিঃ আমার না। তোর মোবাইলটা দে। আমার মোবাইলে চার্জ নাই।
সিদ্দীকঃ প্যান্টের পিছন পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে দিয়ে, বাসা থেকে উঠে মাঠের অন্য পাশে চলে আসল।
ইতিঃ জয়কে কল দিল।
জয়ঃ রিসিভ করে জিঞ্জাস করল কে?
ইতিঃ আমি ইতি, তুমি কোথায়?
জয়ঃ কলেজে আসতেছি।

৭/৮ মিনিট পর মটর বাইক নিয়ে জয় এসে উপস্থিত।
জয়ঃ তোমরা কেমন আছ?
সিদ্দীকঃ বেশ ভাল আছি। তোর কী অবস্থা? এতদিন কলেজে আসিছ নাই কেন?
জয়ঃ আসলে মন ভাল ছিল না তাই আসি নাই। অবশ্যই তোদেরকে অনেক miss করছি।
ইতিঃ আরে! তুমি miss করতে জান? আমি তো বিশ্বাসও করেত পারতেছি না।
জয়ঃ বিশ্বাস না হওয়ার কী আছে? আমিও তোমাদের মতো মানুষ। আমি তো আর অন্য গ্রহের ভিন্ন প্রণী নয়।
ইতিঃ আমি কখনো বিশ্বাস করব না। miss করতে গেলে হৃদয়ের প্রয়োজন তোমার তো নাই বাবা! কিছুই নাই...।
জয়ঃ ইতির দিকে তাকিয়ে একটু হেসে বলল, সত্যি আমি miss করেতে জানি kiss করতে জানি-আর যদি বিশ্বাস না হয় এখন কী দেখাব?

ইতিঃ লাপ দিয়ে বসা থেকে উঠে বলল, না! না! দেখার প্রয়োজন নাই।
জয়ঃ আরে এত ভয় পাওয়ার কি আছে?
সিদ্দীকঃ দোস! ভয় না পেয়ে উপায় নাই। তুই তো আবার kiss
জয়ঃ নারে! আমি এত বাঝে না। তোরা মিথ্যা ভাবতেছিস।
সিদ্দীকঃ চমকে উঠে বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেল।
জয়ঃ জিঞ্জাস করল কী হলো?
সিদ্দীকঃ জয় তুই ইতিকে নিয়ে এখান থেকে চলে যা। এই দিকটা আমি দেখতেছি।
জয় বলল, কী হলো?
ইতিঃ জয়ের হাত ধরে বলল, চল জয় এখান থেকে। কথা শেষ না হতে বেশ কিছু ছেলে এসে সিদ্দীককে ঘিরে রাখল।

ইতিকে সরিয়ে দিয়ে-
জয়ঃ তাদের কাছে গিয়ে জানতে চাইল সামস্যা কি?
তাদের একজন বলল, মালটা নতুন আসছে মনে হয়। জানে না আমারা কে। এই সিদ্দীক-ইতি কোথায় বল?
জয়ঃ ইতিকে কীসের প্রয়োজন?
তাদের একজন বলল, এই, আমারা রাজের ছেলে। রাজ তুলে নিয়ে যেতে বলছে, বেশি কথা বলবি না।
জয় আর দেরি না করে পিস্তলটা বের করে কপালের সাথে লাগিয়ে টেনে দিল। সোজা ওপাড়ে পৌঁছে গেল।
সবাই অবাক হয়ে গেল।
জয়ঃ গর্জে উঠে বলল, আর তোদের বাবাকে বলবি “জয় গুরো” তাকে খোঁজতেছে। অনেক খেলেছে আর না। এইবার খেলা শেষ হবে।

এদিকে পুলিশ অফিসার পলাশ তার বাহিনী নিয়ে উপস্থিত। পলাশ তার মেয়ে ইতিকে বলল, তুই ঠিক আসিছ তো মা?
জয়ঃ পিছন থেকে এসে বলল, সব ঠিক আছে শুধু আমি ঠিক নাই।
পলাশঃ জয় তুমি?
জয়ঃ কী ভাবছেন আপনি? আমি মরে গেছি? আপনার কারণে আমি “জয় গুরো” থেকে জয় হয়েছিলাম। আপনার কারণে আমি এপিকে হারিয়েছি। কী করতে পারছেন আপনি আমার জন্য? কী শাস্তি দিলেন রাজকে? আমি আজ আবার “জয় গুরো” পরিণত হলাম। আমি খোঁজে বের করব।
পলাশঃ জয় একটু ধৈয্য ধর। সব প্রমাণ এখন আমার হাতে আছে। সে বাঁচতে পারবে না।
জয়ঃ গুড় বাই। অনেক শোনেছি সততার বাণী আর না।

জয়ঃ সকালে উঠে কাপড় চোপড় ব্যাগে গোছিয়ে নিচ্ছে।
আদি জয়ের পাশে এসে দাঁড়িয়ে রইল। জয় আদির দিকে তাকিয়ে বললঃ

জয়ঃ চল দোস, এই শহর থেকে কোথাও হারিয়ে যায়।
আদিঃ না জয় আমি একপাও সরব না। যতক্ষণ ঐ রাজকে শেষ করতে না পারি। এখন আর কোন সমস্যা নাই। তার খোঁজ তো পেয়ে গেলাম।

জয়ের মোবাবাইল বেঁজে উঠল।
জয়ঃ সিদ্দীক?
সিদ্দীকঃ রাজের লোকেরা ইতিকে তুলে নিয়ে গেছে। ইতির বাবা এই খবরটা তোকে জানাতে বলছে।
জয় আর দেরি না করে বাইক নিয়ে পৌছে গেল রাজের আস্তানাই। সব কেড়ারদের মেরে মাটিতে বিছিয়ে দিল। জয় রাজের মাথায় অস্তটা ধরে বলল, অনেক পুড়িয়ে ছিলে আমাকে। আর না কী দোষ করেছিল আমার এপি? কেন তাকে ওপাড়ে পৌছে দিলি? এইবার দেখ মৃত্যুর যন্ত্রণাটা কত।
রাজঃ জয় আমাকে ক্ষামা করে দে।
জয়ঃ তোকে যদি আমি ক্ষমা করি। এই সমাজ আমাকে ক্ষমা করবে না। এপির মৃত্যু আত্না আমাকে ক্ষমা করবে না।
তারপর রাজকে ওপাড়ে পাঠিয়ে দিল।
জয় ইতিকে সিদ্দীকের হাতে তুলে দিয়ে বলল, তোরা দু জন সুখে থাক।
সিদ্দীকঃ দোস কোথায় যাচ্ছিস?
জয়ঃ জানি না! আমার কাজ এখানে শেষ আমার আর প্রয়োজন নাই। তোরা সুখে থাক। ইতি আমাকে ক্ষমা করে দিয়।
জয় আদিকে নিয়ে কোথায় হারিয়ে গেল। আর খোঁজে পাওয়া গেল না।
----
২৯শে অগ্রাহায়ন ১৪২২ বাংলা ১৩-১২-২০১৫ ইংরেজি
(আমার জন্ম আর গল্পটার জন্ম একি মাসে হয়ে গেল)
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৬৯৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৪/০৩/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • ০।।০ ১৯/০৪/২০১৭
    চমৎকার ভাবনার গল্প ।। অনেক অনেক ভালো লাগা

    ভালো থাকুন সর্বদা ।। শুভ কামনা নিরন্তর...
  • মধু মঙ্গল সিনহা ০৯/০৩/২০১৭
    ভালো।
  • মোনালিসা ০৭/০৩/২০১৭
    ভাল লেগেছে
  • সাবিরা শাওন ০৬/০৩/২০১৭
    ভালো ...
  • ফয়জুল মহী ০৬/০৩/২০১৭
    মনোমোহকর লেখনী
  • মোনালিসা ০৫/০৩/২০১৭
    খুব মজা
  • খুবই ভাল কিন্তু বড়
    • একটি কাহিনী বর্ননা করতে গেলে বড় হওয়া চায়। আর ছোট গল্প বা নাটকে দেখি কাহিনীটা সম্পৃর্ণ রূপে প্রকাশ পায় না। ধন্যবাদ
  • দ্বীপ সরকার ০৪/০৩/২০১৭
    ভালো লাগলো।
    • স্বাগতম
  • গল্পের সব চরিত্র জীবন্ত হলে গল্পের ক্ষতি হয়।
    ধন্যবাদ বন্ধু।
  • চমৎকার প্রয়াস
    বন্ধু!!!

    ধন্যবাদ
    :::::::::::::
 
Quantcast