www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

উপন্যাস আনবিক ( পর্ব দশ)

খুব সুন্দর লাগছে পর্ণাকে। সিঁদুর রঙা কাঞ্জিভরম সঙ্গে ম্যাচিং ব্লাউজে পুরাোনো সেই উচ্ছলিত পর্ণা । কপালে বড় লাল টিপ,ম্যাচিং সেটে চমৎকার মানিয়েছে আজ ।অনেকক্ষণ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে দেখেছে নিজেকে। কে বলে তার রঙ রুপে জৌলুস কমেছে ? রৌদ্ররঙা টুকটুকে গালে ঠিকরে পরছে বধূ'র আভাস, বহুদিন পরে নিজেকে নিজের মতো করে দেখা , যেমন ভাবে কলেজে সেজে গুজে নিজেকে সুন্দর করে সকলের কাছে উপস্থাপণ করে প্রত্যুষ মিত্রের মুগ্ধ দৃষ্টি আকর্ষণ করা ।যদিও ওপরে নিজেকে সাজিয়ে রাখলেও ভেতরের শতচ্ছিন্ন মলিন, উদ্বাস্তু হৃদয়টির হাহাকার কোথায় যেন সবটা ম্লান করে ছুড়ে দেয় আস্তাাকুঁড়েয় , যেখানে সকলে চলেছে ভরা সুখ,স্বাচ্ছন্দ্যের হাত ধরে শুধু ওর হাতে নিঃস্বতার নিষ্ঠুরতা । তথাপি কোনমতে দৃঢ়তার পথ চলা ।সেই প্রত্যুষ মিত্র যার নানা পোজের ছবির হিরিকে হৃদয়ে ঢেউ তুলত ।শাড়ির ব্যাপারে খুব খুঁতখুঁতে ছিল ও । রং,পড়ার ধরণ,নিঁখুত না হলে নিজেই হাত লাগাত । সে এক অন্য উন্মাদনা । কোথা থেকে যে সময়টা পার হয়ে গেল বোঝা গেল না। মনের মত করে সেজেছে আজ পর্ণা, মাথায় বেলীর মালা , বিদেশী আঁতরে ম ম করছে গোটা ঘরটা । সন্ধ্যে হয়ে এসেছে ,শাড়ীর পাড় ঠিক করতে গিয়ে পড়ে যায় চুলের মালা , কে যেন চুলে সেটি সঠিক ভাবে ক্লিপিং করে দেয় । বাহ্ চমকে যায় দীমান । সেই প্রথম দিনকার মতো লাগছে তোমায় ! পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে আপন অর্ধাঙ্গিনীকে । দীমান,আমি সত্যিই তোমার যোগ্য হয়ে উঠতে পারলাম না । কি প্রচন্ড দুর্ভাগ্য আমার কিঞ্চিৎ ভালোবাসার চোখেও আমায় দেখলে না কোনদিন । বোধয় এই জঘন্য কাজের জন্যই আমার জন্ম । এর বেশী মর্যাদা,সম্মাণ অামার প্রাপ্য ছিল না । তুমি ঠিকই করেছ দীমান । আবেগে কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে, পাশের চেয়ারে বসে পড়ে পর্ণা । তুমি আজ এতটা ইমোশন্যাল হয়ে পড়লে কেন পর্ণা ? জানো তোমার জন্য আমি কত কি ভেবে রেখেছি ? তোমার একটা মার্সিডিস চাই ,এই বদ্ধ ফ্ল্যাটে তোমার দম বদ্ধ হয়ে আসে খোলা মেলা একটা বাগানবাড়ী চাই ,সবই তো তোমার জন্য ,তাছাড়া পর্ণা দেখ কোন কিছু পেতে গেলে তো কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হয় তাই না ? তাহলে তুমি এতটা অভিনয় কেন করছ আমার মাথায় আসছে না । ঘুরে দাঁড়ায় পর্ণা, কি ? আমার এই অসহায়তাকে তোমার অভিনয় মনে হচ্ছে ? লজ্জা করেনা তোমার নিজের স্ত্রীকে দিনের পর দিন অপর পুরুষের সাথে সহবাস করিয়ে তুমি ফুলে ফেঁপে উঠছ ? তুমি কা-পুরুষ দীমান,স্রেফ কা-পুরুষ । আর জেনে রাখ এতক্ষণ যা যা বললে সে লোভ আমার নয় ,তোমার ।তুমি লোভী,প্রচন্ড লোভী, অার তার জন্যই তোমার অধঃপতন হবে জেনে রাখো । চোয়াল শক্ত হয় দীমানের, কি ? আমি লোভী ? তুমি ধোঁয়া তুলসীপাতা ? হ্যঁ, অবশ্যই ! তোমার লোভে আজ আমার জীবনটা ছাড়খাড় হয়ে গেল, সমস্ত স্বপ্ন ধূলিস্মাৎ হয়ে গেল তবু তোমার বোধ ফিরল না । কেন দীমান তোমার অবস্থা নিয়ে আমি তো বেশ সুখীই ছিলাম, কোন অভিযোগ ছিল না অামার,তবে কেন তোমার পাপের ভাগীদার করলে আমায় ? ক্ষিপ্ত পর্ণাা । আর মনে রেখ পাপ বাপকেও ছাড়ে না , যে পাপ তুমি করছ তার জন্য তোমায় চরম মূল্য দিতে হবে। আমায় কাঁদিয়ে তুমি কখনই সুখী হতে পারবে না । উঠে দাঁড়ায় পর্ণা। তুমি ঠিকই বলেছ পর্ণা আমার অনেক দোষ,তবে তুমি দেখ এবার আমি নিজেকে সংশোধন করে নেব । তুমি যেমন বলবে তেমন,নরম কন্ঠ দীমানের। থামাও তোমার ভনিতা দীমান ,বেশ ক্ষিপ্ত পর্ণা । অবস্থা বেগতিক বুঝে ওর হাত ধরে টেনে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে আবেগের সুরে প্রশ্ন করে ,অাচ্ছা পর্ণা তুমি আজকাল আমায় প্রচন্ড ঘৃণা কর তাই না ? আমি জানি তুমি আগের মত আর আমায় ভালবাসতে পারবে না কোনদিন,অামি আর কোনদিন তোমায় বিরক্ত করব না বিশ্বাস কর । শুধু আজকের দিনটা তুমি আমায় উতরে দাও ,আমি হাতজোড় করছি । নীরব পর্ণার থমথমে ঊত্তর ,বেশ চল কোথায় নিয়ে যাবে । ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ব্যস্ততার সঙ্গে দীমান বলে ওঠে," তাড়াতাড়ি চলো দেরী হয়ে যাবে ,প্রায় হাত ধরে টেনে জড়িয়ে ধরে , "একটা সত্যি কথা বলবে? কি বল নিস্পৃহ পর্ণাা ।অাচ্ছা তুমি খুশী হও না ? সত্যি করে বল তো তুমি উপভোগ করো কি না ? বলবে কি আমি জানি তো তুমি দারুণ আনন্দ পাও যা আমি তোমায় কোনদিনই দিতে পারিনি । তুমি পাগল হয়ে গেছ দীমান , তোমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে ,যার জন্য যা মনে আসে তাই বলে চলেছ রাগে হাত ছাড়ায় পর্ণা । এই যে এত সুখ,স্বাচ্ছন্দ্য ,ঐশ্বর্য্য আমি তোমায় দিয়েছি যা কোনদিন তুমি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারতে না।সামান্য মাস মাইনের চাকরীতে কোনদিন সম্ভব হতো বলো? এত আয়েস,এত আভিজাত্য,এই সুখ তুমি পেতে পারতে কোনদিন ? কঠোর দৃষ্টিতে দীমানের দিকে তাকায় , আমার আর কিচ্ছু বলার নেই বুঝেছ ? গাড়ীটা এসে থামে বিশাল মাল্টি ন্যশনাল হোটেলের সামনে । দশতলা বিল্ডিং আলোক মালায় যেন নববধূর সাজ । ফিফথ্ ফ্লোরের বারো নম্বর রুমে বিরাট আয়োজন আজ । দরজা খুলে ভেতরে আপ্যায়ন করে কেবিন বয় । দামী সোফাসেটের উপর বসে দুজন । না আজ আর ড্রিংক্সস নয় , আমি সরাসরি এনজয় করতে চাই পর্ণাার খোলাখুলি মক্তব্য। দীমানের মুখে বিস্ময় ,মানে? বললাম তো আমি আজ মুখোমুখি সব পেতে চাই । বাহ্ সেটা আগে বলবে তো । আস্বস্ত হয় দীমান । আর কোন লুকোচুপির ব্যাপার রইলো না ভালোই হলো । শোনো আজ কিন্তু তোমার বিশেষ পরীক্ষা । আজ আসছেন গোয়েঙ্কা কোম্পানীর চিপ্ ডিরেক্টর মিঃ পখোয়াজ্ , সুপার মিঃ ঝুনঝুনওলা, ম্যানেজিং গার্ড মিঃ স্যন্যাল । বেশ রাশভারী লোক মিঃ পাখোয়াজ । বুঝে শুনে ম্যানেজ করবে কিন্তু ।উনি একটু খোলামেলা পছন্দ করেন ।তুমি পারবে জানি ।এই অর্ডারটা অামার চাই-ই চাই ।তাছাড়া এই অর্ডারটা পাশ হলে আমাদের ভাগ্য খুলে যাবে বুঝলে বছরে দুবার বিদেশ ভ্রমণ তাও কোম্পানীর খরচায় । তুমি পারবে জানি । বাইরে ডোর বেল বাজে। পর্ণার হাত জড়িয়ে ধরে শেষ অনুরোধ দীমানের," প্লিজ্ মাই ডার্লিং , হেল্প মি " অতঃপর দরজা খুলে অভ্যর্থণা জানান বিশিষ্ট অতিথিদের। পরিচয় করিয়ে দেন মিসেস অম্বানীর সঙ্গে ।গল্প জমে ওঠার পর ভিলেন দীমান ", প্লিজ্ আপনারা গল্প করুন অামি আসছি , প্রতিবারের মত বাইরে বেড়িয়ে যায় । শরীর মনে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে মত্ত হয়ে ওঠে পর্ণা । ভেতরে কি চলছে সেটা অবশ্য কারুর জানা সম্ভব নয় কিছুক্ষণ বদেই যা প্রকাশ্যে আসতে চলেছে, বিষাদগ্রস্ত পর্ণার চোখে জল ,জীবন ওকে আজ দাড় করিয়েছে চরম সত্যের মুখোমুখি দুটি মাত্র অপশনে হয় মরো নতুবা নিজের মতো করে বাঁচো ,হ্যাঁ বাঁচবে পর্ণা সম্পূর্ণ নিজের মতো করে কিন্তু যাকে ঘিরে ও গড়ে তুলেছিল বাঁচার ছোট্ট একটি জগৎ সেই মানুষটার যে কতটা হৃদয় জুড়ে অবস্থাণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না,যাকে ঘরে ফেরাতে চেয়ে তার নিজেকে ধ্বংস করে তোলা । বস্তুত পুরুষ চরিত্রের এই চারিত্রিক বিভেদ যা ক্রমশঃ ধ্বংস করে তোলে পাশের অস্তিত্বগুলোকে এবং অত্যন্ত সুস্হ মস্তিষ্কে মৃত্যুর শেষ সীমায় ছুঁড়ে দেয় । তার নৈতিক বিদ্যায় একে নিছক মনোরোগের শিকার ছাড়া অন্য কিছু ভাববার অবকাশ থাকে না,থাকে না কোন বাস্তব যুক্তি বুদ্ধি ,অতএব পর্ণা এক্ষেত্রে নিরুপায়ই নয় , অসহায়ও, তার অসহায়তা সমাজের কাছে, মানুষের কাছে বিশেষত নিজের কাছে । কারণ থুথু উপর দিকে ছুড়লে তা নিজের মুখেই ফেরত আসে , অতএব মুখ বুঁজে মাথা নত করে অসহায়ের মত পড়ে থাকে পর্ণা ,তার দৃষ্টি আঁটকে যায় দেওয়ালের পটে । বাইরে রোডে পায়চারি করতে থাকে দীমান । আজ সে অন্যদিনের তুলনায় বেশ শান্ত,সংযত , সর্বোপরি আস্বস্থ । প্রলয় শুরু হওয়ার প্রাক্ পর্বে প্রথম তোলপারে শুরু হয় অস্তিত্বের প্রাক্ ঘূর্ণন । তারপর ক্রমে তা ছড়িয়ে পরে শারীর বৃত্ত ছেড়ে সংকটের অলি,গলি অট্টালিকায় । পর্ণার অন্তরের প্রলয় আজ বুঝি ভাসিয়ে দেবে অতীত,ভবিষ্যতের সবটা ।সমুখে প্রলয় দেখেও কিছু করতে না পারার যন্ত্রণায় দৃষ্টি পাথর হয়ে কেন্দ্রীভূত হয় একটি ওয়াল পেন্টিংয়ে ,ধূ ধূ জনমানবহীন ফাঁকা রাস্তা । ,কেঊ নেই , কিচ্ছু নেই শুধু মুন্ডবিহীন কিলবিল প্রত্যঙ্গের ছড়াছড়ি ।ঘন্টা দুয়েক পর ফোনে রিং হতেই উপরে উঠে অাসে দীমান,চক্ষু চড়কগাছ । প্রত্যেকের হাতে অাগ্নেয়াস্ত্র ফুল লোডিং ", য়্যু আর আন্ডার এরেস্ট মিঃ দীমান অম্বানী "। আমি বুঝতে পারছি না আপনারা মানে পর্ণা ওরা কি বলছে ? মানে পর্ণা কি কিছু গন্ডগোল...না, দাম্ভীক কন্ঠস্বর মিঃ পখোয়াজের আপনি দীর্ঘদিন ধরে মিসেস অম্বানীকে দিয়ে স্কট বিজনেস চালাচ্ছেন,এই অভিযোগে আমরা ডিডেকটিভস্ গ্রুপ অফ ষ্প্যেশ্যাল ব্রাঞ্চ আপনাকে গ্রেপ্তার করছি । মাথা নিচু করে বসে আছে পর্ণা । তবে কি সবটা পূর্ব পরিকল্পিত , এর জন্য এত সাজ এত তোড়জোড় ? ড্রিংস না নেবার ভাওতা? ভুল করলে দীমান অামি কিন্তু ঢুঁ মেরে জেনে ফেলেছি সবটাই পরিকল্পিত ! ওর হাতে হাত কড়া পরিয়ে নিয়ে যায় সেন্ট্রাল পুলিশ । নিচে রাস্তায় পায়চারী করার সময় একটা পুলিশ গাড়ী দেখে সন্দেহ হলেও ভাবতে পারেনি পর্ণা এভাবে তাকে ডুবিয়ে দেবে । সহজ সরল বোকা গোছের পর্ণাকে বরাবর একটু ইয়ে মানে ধর্তব্যের মধ্যেই রাখেনি কোনদিন দীমান । অথচ হুট করে এভাবে ওর পাল্টে যাওয়ার কারণ যে প্রত্যুষ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মূহুর্তে সমস্ত পৃথিবীটা ধূসর হয়ে যায় দীমানের। দাঁত মুখ ঘষে চেঁচিয়ে বলে ওঠে বেইমান,অকৃতজ্ঞ আই মাস্ট কিল য়্যু দ্য ব্লাডি উওম্যান, হেচকা টানে সোজা পোলিশ গাড়ীতে উঠে বসায়। রাত নটা । মানুষের একটা জীবন গোছাতে জন্ম জন্ম সময় লাগলেও ধ্বংস হতে মুহুর্তেরও কম সময় লাগে । দীমান কান্ডের আজ অন্তিম পর্যায়ে প্রমাণিত হয় মানুষ যতই আধুনিক হোক প্রকৃতির ওপর অত্যাচারের বদলা ঠিক এমনভাবেই নেমে আসে আচম্বিতে । হঠাৎ করেই । রাস্তায় এসে দাঁড়ায় পর্ণা কালো মেঘে ছেয়ে গেছে আকাশ ঝড় উঠবে মনে হয় , প্রচন্ড বেগে হাওয়া বইছে । শাড়ী,চুল সব এলোমেলো বাতাসের সঙ্গী হয়ে ছিড়ে যেতে চাইছে নাড়ীর বন্ধণ । ফোনে রিং হয়ে চলেছে ক্রমাগত এবার ফোন রিসিভ করে, উদ্বিগ্ন প্রত্যুষ , " পর্ণাা কোথায় আছ প্লিজ বল আমি আসছি " না প্রত্যুষ তার আর প্রয়োজন হবে না ,ছুড়ে ফেলে দেয় হ্যান্ডসেট । আপনমনে চলতে থাকে পায়ে ভর করে । রাস্তার পাশে একটি বেঞ্চে যেন থমকে যায় ওর নিথর শরীর ।বৃষ্টির দাপটটা বেশ বেড়ে চলে ।উঠে দাঁড়িয়ে শরীরটা টেনে নিয়ে কোনরকম পথ চলা, প্রায় ফাঁকা রাস্তাঘাট জনমানবহীন বজ্র বিদ্যুৎসহ ঝড় বৃষ্টির মাঝে দু একজনের ইতস্তত ছোটাছুটি । হঠাৎ করে প্রকৃতির প্রলয়কালে যেন ভয়ার্ত মানুষের আত্মত্রাণের প্রচেষ্টা । বেশ রাত হয়েছে বোঝা যায় । দোকানপাট যা দু একটা সব বন্ধ হয়ে গেছে । থমথমে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যেন চলমান অশরীরী ছায়ামূর্তির মত হেঁটে চলে পর্ণা । মনে ভয় নেই, দেহে প্রাণ নেই শরীরময় ঝড়,বৃষ্টির দাপট।
জীবনের অন্তিমকালে সর্বস্বান্ত মানুষ যেমন হেলায় নিজেকে শেষ করার বাসনায় মত্ত হয়, যখন শরীর মনের ওপর আর কোন নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হয় না ঠিক তেমন এক আচ্ছন্নতায় এগিয়ে চলা অর্থাৎ নিজেকে নিজের টেনে নিয়ে চলা । বৃষ্টির দাপট বাড়ছে ক্রমগত । সমুখে দোকানের একটা চালা দেখে অাচ্ছন্নের মত এগিয়ে যায় । দূরে বাজ পরে নাড়কেল গাছের মাথায় অাগুন জ্বলে ওঠে ,সেই আলোতে অদূরে অারেক ছায়ামূর্তি দেখা যায় যেন , পায়জামা শার্ট পরা এক পুরুষমূর্তি। ক্রমে দুই মূর্তি কাছে আসে । ঘণিষ্ঠ হয় । বৃষ্টির বেগ বাড়ে । সঙ্গে তীব্র গর্জণ ।
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৯৬৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৭/০৩/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast