’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘১৫ পর্ব
’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-১৫ পর্ব
শ্রাবস্তী হাতের ব্যাগ নামিয়ে ব্যাগ থেকে প্লাস্টিক বোতল বের করল। খালি বোতল, বোতলটা হাতে নিলো। হয়তো জল তৃঞ্চা পেয়েছে ওর। কিন্তু বোতল খালি বলে ও আমার কাছে এসেছে। আমাকে যদি খারাপ ভাবতো হয়তো আমার কাছে জল পান করতে আসত না। কিন্তু লজ্জায় ও জরের কথা প্রকাশ করছে না।
হঠাৎ শ্রাবস্তী বললো, “আমার খুবই জল তৃঞ্চা লেগেছে।” আপন জনকে যেন বললো কথাগুলো। একটু অভিমানের পর আপন মানুষের সাথে যেমন করে কথা বলে মানুষ। শ্রাবস্তী আমার সাথে অভিনয় করছে নাতো? খালি জলের বোতল আমাকে দেখানোর জরে্য বের করেনি তো। শ্রাবস্তীর মনের কথা সবই যেন বুঝতে পারছি। মনের সাথে মনের মিল হলে কথা নাকি সব বুঝা যায়!
“আমার খুবই জল তৃঞ্চা লেগেছে। একটু সাহায্য করুন না। ” আবার শব্দগুলো কানে বেজে উঠল । মুখটা বিষন্ন । ইস ! এত সুন্দর চাঁদ বদনে যেন গ্রহণ লেগেছে । আমি চাই না কারো চাঁদ বদনে গ্রহণ লাগুক। আমার ব্যাগ থেকে ছোট একটি জলের বোতল বের করে শ্রাবস্তীর হাতে দিলাম। শ্রাবস্তী আমার হাত থেকে জলের বোতলের নিয়ে, মুখটা খুলে বোতলের মুখে বোতলের মুখে মুখ দিয়ে প্রায় অর্ধেকটা জল শেষ করে ফেলল। আমি এক দুষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম শ্রাবস্তীর মুখের দিকে।
জল খাওয়া হয়ে গেলে জলের বোতলের মুখ আটকিয়ে জলের বোতলটি আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বাম হাত দিয়ে মুখ মুছলো। শ্রাবস্তী বলল, “আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।”
আমি বললাম, “আপনাকেও ধন্যবাদ।”
শ্রাবস্তী বললো, “খুব ক্ষিধে লেগেছিল। পাউরুটি কলা খেতেই জল পিপাসা লেগেছিল।”
আমি কিছু বললাম না। মৃদু হেসে বোঝাতে চাচ্ছি। মাঝে-মধ্যে, চোখে-চোখ পড়ছে। নিঃশব্দে ভাষা বিনিময় হচ্ছে। মনে মনে প্রস্ততি নিচ্ছি কী কলবো, কী করবো।
“টাকাটা ভাঙতি করা হলো না যে।”
“না-থাক-লাগবে না।”
“কেন আপনার টাকা তো ফেরত দেওয়া হয়নি।”
“পওে দেবেন।”
“আচ্ছা ঐ দিকেÑ ঐ দেখুন একটা ছোট দোকান দেখা যাচ্ছে।
আমি বললাম, “আপনি কিছু কিনবেন?”
“না, ভাবছি ওখান থেকে টাকাটা ভাঙতি করে আপনাকে দিয়ে দেব।”
“ও!”
“আমার সাথে একটু যাবেন?”
শরীরটা শিরিত হয়ে উঠল, কাজ সেরেছে। শ্রাবস্তী হয়তো আমাকে কোন ভাবেক ওর লোকজনের কাছে নিয়ে যেতে চাচ্ছে।
মন সায় না দেয়াতে আমি বললাম, “গেলে আপনি একাই যান।”
নিয়মিত চলবে
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-১৫ পর্ব
শ্রাবস্তী হাতের ব্যাগ নামিয়ে ব্যাগ থেকে প্লাস্টিক বোতল বের করল। খালি বোতল, বোতলটা হাতে নিলো। হয়তো জল তৃঞ্চা পেয়েছে ওর। কিন্তু বোতল খালি বলে ও আমার কাছে এসেছে। আমাকে যদি খারাপ ভাবতো হয়তো আমার কাছে জল পান করতে আসত না। কিন্তু লজ্জায় ও জরের কথা প্রকাশ করছে না।
হঠাৎ শ্রাবস্তী বললো, “আমার খুবই জল তৃঞ্চা লেগেছে।” আপন জনকে যেন বললো কথাগুলো। একটু অভিমানের পর আপন মানুষের সাথে যেমন করে কথা বলে মানুষ। শ্রাবস্তী আমার সাথে অভিনয় করছে নাতো? খালি জলের বোতল আমাকে দেখানোর জরে্য বের করেনি তো। শ্রাবস্তীর মনের কথা সবই যেন বুঝতে পারছি। মনের সাথে মনের মিল হলে কথা নাকি সব বুঝা যায়!
“আমার খুবই জল তৃঞ্চা লেগেছে। একটু সাহায্য করুন না। ” আবার শব্দগুলো কানে বেজে উঠল । মুখটা বিষন্ন । ইস ! এত সুন্দর চাঁদ বদনে যেন গ্রহণ লেগেছে । আমি চাই না কারো চাঁদ বদনে গ্রহণ লাগুক। আমার ব্যাগ থেকে ছোট একটি জলের বোতল বের করে শ্রাবস্তীর হাতে দিলাম। শ্রাবস্তী আমার হাত থেকে জলের বোতলের নিয়ে, মুখটা খুলে বোতলের মুখে বোতলের মুখে মুখ দিয়ে প্রায় অর্ধেকটা জল শেষ করে ফেলল। আমি এক দুষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম শ্রাবস্তীর মুখের দিকে।
জল খাওয়া হয়ে গেলে জলের বোতলের মুখ আটকিয়ে জলের বোতলটি আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বাম হাত দিয়ে মুখ মুছলো। শ্রাবস্তী বলল, “আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।”
আমি বললাম, “আপনাকেও ধন্যবাদ।”
শ্রাবস্তী বললো, “খুব ক্ষিধে লেগেছিল। পাউরুটি কলা খেতেই জল পিপাসা লেগেছিল।”
আমি কিছু বললাম না। মৃদু হেসে বোঝাতে চাচ্ছি। মাঝে-মধ্যে, চোখে-চোখ পড়ছে। নিঃশব্দে ভাষা বিনিময় হচ্ছে। মনে মনে প্রস্ততি নিচ্ছি কী কলবো, কী করবো।
“টাকাটা ভাঙতি করা হলো না যে।”
“না-থাক-লাগবে না।”
“কেন আপনার টাকা তো ফেরত দেওয়া হয়নি।”
“পওে দেবেন।”
“আচ্ছা ঐ দিকেÑ ঐ দেখুন একটা ছোট দোকান দেখা যাচ্ছে।
আমি বললাম, “আপনি কিছু কিনবেন?”
“না, ভাবছি ওখান থেকে টাকাটা ভাঙতি করে আপনাকে দিয়ে দেব।”
“ও!”
“আমার সাথে একটু যাবেন?”
শরীরটা শিরিত হয়ে উঠল, কাজ সেরেছে। শ্রাবস্তী হয়তো আমাকে কোন ভাবেক ওর লোকজনের কাছে নিয়ে যেতে চাচ্ছে।
মন সায় না দেয়াতে আমি বললাম, “গেলে আপনি একাই যান।”
নিয়মিত চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।