www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

গোপলার কথা - ৫৩

প্রাইভেট
-------
এখন চারিদিকেই প্রাইভেট। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, হোটেল, ফ্ল্যাট, বাড়ি, দোকান, বাজার, সিক্যুইরিটি, বাস, লরি, ট্যাক্সি, প্লেন, টেলিফোন, ব্যাঙ্ক, খেলাধূলা ইত্যাদি সবই প্রাইভেট। সব কিছুতে প্রাইভেট।
আচ্ছা, এই যে প্রাইভেট স্কুল কলেজ হাসপাতাল মল টেলিফোন ইত্যাদি কোন রাজ্যে বা দেশে কেউ কি এমনি এমনি বসতে পারে? নিশ্চয় পারে না। সম্পূর্ণ অনুমতি ও নিদির্ষ্ট হারে ট্যাক্স প্রদানের মাধ্যমে এই সব প্রাইভেট সংস্থা বসতে পারে। না হলে সম্ভব নয়?
এখন চারিদিকে যদি এই রকম প্রাইভেট ব্যবস্থা প্রচলিত হয় এবং যদি আরো ভালো পরিসেবা পায় তাহলে জনসাধারণ সেদিকেই ঝুঁকবে। কিংবা বলতে গেলে সেইদিকে ঝুঁকতে বাধ্য হবে। এছাড়া আর উপায় কি? কোন পরিসেবা তো আর কারো জন্য বসে থাকবে না।
স্কুলে ভাল পড়াশুনা না পেলে প্রাইভেটে তো যেতেই হবে। ছেলে মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে তো আর ছেলেখেলা করা সম্ভব নয়। পড়াশুনা এবং পড়াশুনা করার ইচ্ছে অথবা পড়াশুনা করানোর মানসিকতা তো আর বসে থাকবে না। বিভিন্ন পরীক্ষায় ছেলে মেয়েদের বসতে হলে প্রস্তুতি তো নিতেই হবে। সেই প্রস্তুতি যদি ছাত্রছাত্রী তার নিজের স্কুলে না পায় অথবা যতটুকু পেল তাতে ছাত্রছাত্রীর শিক্ষার অভাব বসে থাকলে তো আর হবে না। তাই সম্পূর্ণ প্রস্তুতির জন্য তাকে তো প্রাইভেটে যেতেই হবে।
আপনার স্কুল দিক না দিক ছাত্রছাত্রী তার পড়াশুনার প্রস্তুতি আহরণ করে ঠিকই প্রস্তুত হয়ে ওঠবে। উঠতে হবে।
আবার উল্টো বিড়ম্বনা, স্কুলে পুরো প্রস্তুতি পেল না কিন্তু স্কুলে যেতেই হবে। তার মানে সময় নষ্ট। আবার প্রাইভেটেও যেতে হল। অর্থাৎ ছাত্র ছাত্রীর উপর ডবল চাপ। ফলে কেউ যদি পুরোটাই প্রাইভেটে চলে যায় তাহলে সেইই বেশি লাভবান। বর্তমানে সবাই তাই প্রাইভেটের দিকে ঝুঁকছে।
স্কুল থাকতে কে চায় আমার ছেলেমেয়ে স্কুলের শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়ে এক্সট্রা টাকা দিয়ে প্রাইভেট পড়ুক। কেউ চায় না, বরং বাধ্য হয়। যেমন ধরুন মাধ্যমিক বা টেনথ স্ট্যাণ্ডার্ড পর্যন্ত তাও ঠিক আছে। যেখানে স্কুল না পড়াশুনা করালেও নিজে নিজে পড়াশুনা করে ছেলে মেয়েরা দারুণ কিছু করতে পারে। যদিও মাধ্যমিকে রাজ্যের সেরা দশ ছাত্রছাত্রী কেউ বলে না, আমি শুধু স্কুলের ক্লাস করে এবং নিজে নিজে পড়াশুনা করে এরকম রেজাল্ট করেছি। কেউ বলে না। বরং শুনেছি দেখেছি এবং দেখছি সবার ডবল ডবল করে প্রাইভেট টিউটর থাকে।
কিন্তু দ্বাদশে বহু ছাত্রছাত্রীর সামনে দুটো অবস্থান থাকে। এক, বোর্ড পরীক্ষা। দুই, ডাক্তারীন/ইঞ্জিনিয়রিং এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল পরীক্ষা। প্রতিটি ছেলে মেয়ে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নেবে। বোর্ডের পরীক্ষার সাথে সাথে বৃত্তিমূলক পরীক্ষার পূর্ণ প্রস্তুতি নেবে। স্কুল কোনটাতে তাকে সহযোগিতা করে? শুধুমাত্র বোর্ডের পরীক্ষার। তাও সিলেবাস অনুযায়ী স্কুল থেকে এখন তার সিকিভাগ পায় কি না সন্দেহ আছে। তার উপর আছে একাদশ দ্বাদশের এতবড় কোর্স। স্বভাবই ছাত্রছাত্রী প্রাইভেটে যেতে বাধ্য হয়।
হাসপাতালের পরিসেবা না পেলে নার্সিংহোমে যেতে হবে। মরুক বাঁচুক যাই হোক সবাই তো চায় রোগী অন্তত চিকিৎসাটুকু যেন পায়। তাতে মানুষ সর্ব শান্ত হলেও কিছু করার নেই। অনেকক্ষেত্রে দেখা গেছে হাসপাতালে চিকিৎসা শুরুই করে না। প্রাইভেট ব্যবস্থায় দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসাটুকু তো পায়। প্রতিটি পরিবার সেটুকুই চায়। দুটো ক্ষেত্রেই পরিসেবার বিনিময় দিতে সবাই রাজী থাকে। ফলে প্রাইভেটের দিকে তাকিয়ে থাকে জনসাধারণ।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাস না পেলে প্রাইভেটে চড়তে তো বাধ্য হবে। গন্তব্যে যাওয়ার জন্য তো ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলে চলবে না। সবার মত আমিও সঠিক সময়ে এগিয়ে যেতে চাই। পরিবহন ব্যবস্থা যেখানে যত বেশি উন্নত সেখানে কাজের অগ্রগতিও তত বেশি।
টেলিফোন যদি ঘড়ঘড় করে কথা কেটে কেটে যায় তো প্রাইভেট নেটওয়ার্কের দিকে সাধারণ মানুষ ঝুঁকবে।ঝুঁকছে।
সরকারী ব্যবস্থায় ফ্ল্যাট বাড়ি আবাসন ইত্যাদি থাকার ব্যবস্থা থাকলে জনসাধারণ তাই নেবে। না হলে প্রাইভেট ফ্ল্যাট আবাসন নিতে বাধ্য হবে।
আর আছে ব্যাঙ্ক। রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারী। যদিও দুটোই প্রাইভেট। তবুও নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি সরকারের উপর। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে পরিসেবা না পেলে প্রাইভেট ও চিট ফাণ্ডের দিকে মানুষ ঝুঁকবে। সব ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ডেকোরামে সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এসব প্রাইভেট অবস্থান চলে। হঠাৎ করে কোন ভাবেই এসব গজিয়ে ওঠে না।
তাহলে প্রাইভেটের দিকে কে ঠেলে দিচ্ছে? জনসাধারণ নিজে নিজেই ঝুঁকছে। নাকি ঝুঁকে পড়তে বাধ্য হচ্ছে।
আবার দেখবেন প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকারী ব্যবস্থা আছে। অর্থাৎ সরকার এই সমস্ত পরিসেবা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করেই রেখেছেন। কিন্তু সাধারণ নাগরিক ( যদিও দেশের প্রতিটি নাগরিককে সাধারণ হিসেবে ধরা হয়) অনেকেই কেন প্রাইভেটের দিকে যাচ্ছে। তাতে অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে প্রাইভেটের জন্য সরকারী ব্যবস্থা তুলে দিতে হচ্ছে। খবরে দেখছি, অনেক স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অনেক বাস আর চলছে না। অনেক হাসপাতাল যাই হোক করে ধুঁকে ধুঁকে চলছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সরকারী পোষ্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ইত্যাদি।
কিন্তু একই রকম অবস্থান আরও আরও বেশি বেশি করে তারই পাশে প্রাইভেট হিসেবে গড়ে উঠছে। এবং সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল অনুমতি সাপেক্ষে এবং নির্দিষ্ট হারে কর প্রদানের মাধ্যমে এই প্রাইভেট জাঁকিয়ে বসছে। এই কর ব্যবস্থায় প্রাইভেটের কোন অসুবিধাই নেই। কেন না যত রাজস্ব দিতে প্রাইভেট বাধ্য তার দ্বিগুণ তিনগুণ টাকা জনসাধারণের কাছ থেকে সেই প্রাইভেট আদায় করে নেবে। এবং আদায় করে নিচ্ছে।
কেন না, কর প্রদানের সুনির্দিষ্ট হার আছে কিন্তু জনসাধারণকে পরিসেবা দেওয়ার বিনিময় নির্দিষ্ট নয়। যে যেমন পারে সেভাবেই জনসাধারণের পকেট কাটছে। সেখানে কোন সরকারি নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রাইভেটে এটাই সুবিধা।
কেন না, কোন প্রাইভেট (ব্যবসাদার) যা কিছু করে সবই বাইরের টাকায়। ঘর থেকে এক কানা কড়িও দেয় না। দেবেও না। এখন এই প্রাইভেটকে (ব্যবসাদারকে) তাই কেউ চাঁদা হিসেবে বা ফান্ড হিসেবে দু'শ পাঁচশ হাজার পাঁচ হাজার চাইলে নির্দ্ধিধায় দিয়ে দেয়। এখানে ওখানে দান করে মুক্ত হস্তে। সমাজসেবায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। দুহাতে উড়াতেও পারে। কেন না, এই প্রাইভেট (ব্যবসাদার) ঠিক উসুল করে নেবে। প্রতি বস্তায় একটাকা বা তার অর্ধেক বা তার অর্ধেক বাড়িয়ে দিলেই মুনাফাসহ পুরোটাই উঠে আসবে। MRP লেখা থাকা সত্ত্বেও একজন পাঁচ ছাড় দিল, অন্যজন দুই কেউ কেউ আবার ছাড় দিলই না। তাহলে, কোন্ প্রাইভেট লাভ করে নি? করেছে। সব প্রাইভেট, সবাই লাভবান। কিন্তু পারসেণ্টেজে কম বেশি।
আর সেইজন্য দেখবেন আপনার একটাকা থাকলে কোনভাবে বা কিছুতেই এই একটাকাকে দু'টাকা করতে পারবেন না। কিন্তু এক লাখ থাকলে বা দশ লাখ থাকলে বা আরো বেশি থাকলে আপনি চেষ্টা করলেই তাকে সহজেই ডবল বা ট্রিপল করতে পারবেন। টাকা ফেললেই টাকা। তার জন্যই তো প্রাইভেট।
এই পারসেণ্টেজের হিসেবে সরকারী ব্যবস্থার সাথে সমান্তরালভাবে রমরমিয়ে এগিয়ে চলছে প্রাইভেট। স্কুলে শিক্ষক পড়াচ্ছে না, যাও প্রাইভেটে। হাসপাতালে রোগী দেখছে না, যাও নার্সিং হোমে। রাস্তায় বাস পাচ্ছ না, যাও প্রাইভেট যানবাহনে। চাকরী বাকরী নেই, যাও প্রাইভেট সংস্থায়।
তাহলে যাও প্রাইভেটে যেমন সাধারণ মানুষ যেতে বাধ্য হচ্ছে তেমনি কেন সাধারণ মানুষ প্রাইভেটে যাবে সে দায়ভার কি শুধুই সাধারণের? অন্য কারোর নয়? কেন স্কুলে শিক্ষক পড়াচ্ছে না? কেন হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে না? কেন রাস্তায় বাস নেই? এসব দায়িত্ব কার? জনসাধারণ নিজস্ব পরিসেবার জন্য ছুটবে, না এসব দেখবে? এসব দেখার জন্য ব্যবস্থা তো আছে। তারা কেন দেখছে না?
তাহলে প্রাইভেট ব্যবস্থা হঠাৎ গজিয়ে ওঠে না। অনুমতি দিচ্ছে কে? এত রমরমিয়ে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠার কারণ কি?
মানুষ পরিসেবা চায়। সেই পরিসেবার জন্য গজিয়ে উঠছে প্রাইভেট। বড় হওয়ার জন্য, বাঁচার জন্য, সুখের জন্য মানুষ হন্যে হয়ে পরিসেবার দিকে মুখ করে ছুটছে।
আর সেখানে প্রায় সমস্ত পরিসেবা প্রাইভেটে।
আবার প্রাইভেট আছে বলে কিছু তো কর্মসংস্থান হচ্ছে। কর্মচারী হিসেবে প্রাইভেটে ও সরকারীর মধ্যে কিছু পার্থক্য থাকার জন্য প্রাইভেট রমরমিয়ে চলছে। প্রাইভেটে প্রতিটি কর্মচারীকে যতটুকু মাইনে দেয় তার মাপের কাজ সবটাই সে বুঝে নেয়। সমস্ত কর্মচারীর কাছে। এমন কি যে কাজ বুঝে নেয় তার কাছেও কাজ বুঝে নেয়। তার মানে যে কাজ করে বা কাজে যোগ দিয়ে কাজ ভালোবাসে তার ক্ষেত্রে সঠিক কর্মক্ষেত্র। আবার কাজ বুঝে নেয় মানে আপনার কাজের ও কাজের হাতের তারিফ মাস্ট। জব স্যাটিসফেকশন আপনি একশভাগ পাবেন। ফলে কাজের প্রেক্ষিতেই আপনার প্রমোশন, উপহার ইত্যাদি পাবেনই।
কিন্তু সরকারীতে এসবই সিস্টেম মাফিক আছে। কিন্তু কাজ চলছে খুঁড়িয়ে। কাজের প্রেক্ষিতে জব স্যাটিসফেশন পেয়েছেন এমন উদাহরণ খুব কম আছে। যদিও থাকে তা কেবল 'এ' গ্রেডের ক্ষেত্রে। সমস্ত কর্মচারীর জন্য নয়।
আর আছে কাজের পরিবেশ। প্রাইভেট এই জায়গায় একশভাগ এগিয়ে। যাকে যে কাজের জন্য নিয়োগ করা হয় তাকে সেই কাজ করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ অবস্থান ও সাহচর্য্য দেওয়া হয়। ফলে কাজের মানুষের কাজ করতে অসুবিধা হয় না।
প্রত্যেকে তার প্রয়োজন মাফিক কাজের জন্য সমস্ত কিছু হাতের কাছে পেয়ে যান। টেকনিশিয়ান কাজের সমস্ত হ্যাণ্ডলিং পেয়ে যান। পর্যবেক্ষক তার পূর্ণ মতামত দিতে পারেন।
টেকনিয়ানকে কখনই হাতুড়ি বয়ে আনতে হবে না। সুপারভাইজারকে বস্তা মাথায় তুলতে হবে না। পর্যবেক্ষককে বগলদাবা করে ফাইল বইতে হবে না। অ্যাডভাইজারকে ঝাড়ু দিতে হবে না।
সরকারী ক্ষেত্রে যা এসব হামেশাই হয়। লোক নেই বলে কিংবা লোক আছে অথচ করছে না বলে কাজ ফেলে রাখা চলবে না। অন্যে কেন কাজ করে নি সে কৈফিয়ৎও যে কাজটা করে নিয়েছে তাকেই দিতে হবে।
আর সবচেয়ে বড় কথা প্রাইভেটে কোন অভিযোগ এলে প্রথমে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার অবস্থান ও অভিযোগ পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখা হয় এবং তার ভিত্তিতে অভিযোগকারীকে নিয়ে ভাবা হয়।
যা সরকারী ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ উল্টো। ফলে অভিযোগকারীরা ভয়ে আর কোন অভিযোগ করে না। সে পাবলিক অথবা কর্মচারী উভয়ের ক্ষেত্রে। অভিযোগ করে বিপদে পড়েছে নয় হেনস্থা হয়েছে এরকম বহু উদাহরণ আছে। আবার যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে পাবলিসিটি পেয়ে ফেমাস হয়েছে এবং বহু সম্মান পেয়েছেন। যে চিত্র প্রাইভেটে কখনই পাবেন না।
আর পরিসেবার দিক থেকে দেখলে দেখা যায়, প্রাইভেটে প্রতিটি কর্মচারী পরিসেবা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে।
কারন পরিসেবা দেওয়ার জন্যই তারা মাইনে পান। পরিসেবা দিলে তার বিনিময় অর্থে কর্মচারীর বেতন হয়। ফলে পরিসেবায় ফাঁকি হলে পরিসেবা গ্রহণকারী ফিরে গেলে সেই কনসার্ন চলবে কি করে? তাই পরিসেবা (বেস্ট পরিসেবা) দেওয়ার জন্য প্রাইভেট মুখিয়ে থাকে।
সরকারী ব্যবস্থায় এই পরিসেবা কেউ যে ফ্রিতে দিচ্ছে তা কিন্তু নয়? সরকারী ক্ষেত্রে যে টাকা নগত নেওয়ার কথা সেটা আগেই ট্যাক্স মারফত আপনার কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হয়ে গেছে। সেখান থেকে খরচ হচ্ছে। আপনি ভাবছেন কোন খরচ না করে এই তো পরিসেবা পেলাম। তা কিন্তু নয়। খরচ সরকারীতে যেমন হয় প্রাইভেটে তেমনই হয়। জনমানসও ভাবে তাই। সরকারী কাজে ফ্রিতে আর কত সার্ভিস দেবে, এই যথেষ্ট।
তবু কিছু জিজ্ঞেস করলেন সরকারী মুখ ফিরিয়ে বসে থাকে। কিংবা অনেক পরে উত্তর পাবেন। কিংবা উত্তর পাবেন না। বা বেশ ঝাঁঝালো উত্তর এল। প্রাইভেট কিন্তু কখনই মুখ ফিরিয়ে বসে না।
আপনি গিয়ে দাঁড়ালেন কিন্তু সরকারী উঠে গেল কিছু না বলে। পরে জিজ্ঞেস করুন খেঁকিয়ে উঠবে। প্রাইভেট যেখানেই থাক না কেন আপনি দাঁড়ালেই উত্তর পাবেন।
আপনি একটি সরকারী অফিসে গেলেন কিন্তু নির্দিষ্ট জায়গাটি না জানলে খুব সহজে খুঁজে পাবেন না। সরকারীতে অনেক ঘোল খেতে হবে। প্রাইভেটে আপনি দাঁড়ালেই ঠিক জায়গায় পৌঁছে যাবেন বা কর্মচারী পৌঁছে দেবেন।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৮২৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২০/১২/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • আরিফ নীরদ ২৯/১২/২০১৭
    চমৎকার লিখনি
  • ভালো লিখেছেন।
 
Quantcast