www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

গোপলার কথা - ৪৭

সংস্কার নাকি কুসংস্কার
--------------------

সাধারণ প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী গ্রামে বেশিরভাগ মানুষ কম শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত এবং খেটে খাওয়া। তাদের অনেকেই কু/সু-সংস্কারাচ্ছন্ন গরীব মানুষ।
সে তুলনায় শহরে বেশিরভাগ সম্পূর্ণ শিক্ষিত, সুশিক্ষিত, সংস্কারমুক্ত ধনী মানুষ বসবাস করে। গ্রামের শিক্ষিত সাধারণত বেশি শিক্ষিত হলেই তারা শহরে চলে আসে।
আমি আমার জীবনের প্রথম ২০ বছর একেবারে এঁদো গ্রামে বসবাস করেছি। বিদ্যুৎবিহীন। মাটির রাস্তা। বর্ষাকালে কাদা থাকত। অন্যসময়ও জলে ডুবে থাকত। বাঁশবন ধানক্ষেত ভুতদীঘি নতুন পুকুর ইত্যাদি নিয়ে সে গ্রাম। তারপর শহরে পা দিয়ে সেখানেই জীবনের বাদবাকি সময় বসবাস করে চলেছি। এখন মাঝে মধ্যে গ্রামে যাওয়া হয়। তবে দু চারদিন কুটুম্বের মত। তারপর শহরে ফিরে আসি। এখন অবশ্য সেই গ্রামে বিদ্যুৎ এসে গেছে। রাস্তা পাক্কা। শহরের মত বেশ চিকনাই।
তখন এবং এখন গ্রামে পূজো পার্বণ ইত্যাদির জন্য মন্দির/মসজিদ আছে। কিন্তু সে সব আমাদের বাড়ি থেকে অনেকটাই দূরে। তাও খুব কম। বিশেষ পার্বণ বা উৎসব বা মানত জাতীয় কিছু না থাকলে সেই মন্দিরে/মসজিদে অনেকেরই যাওয়া হয়ে ওঠে না। কাছাকাছি যাদের বাড়িঘর তারা সেই মন্দিরে/মসজিদে যাতায়াত করে। মন্দিরে নিত্য পূজো হয় এবং মসজিদে তিন বেলা নামাজ পড়া হয়।
অনেকের ঘরে দেবতার স্থান রাখা আছে। সেখানে নিয়মিত নিজেরাই( বিশেষ করে বাড়ির মেয়েরা) পূজো দেয়, ধূপ/মোমবাতি জ্বালে, সন্ধ্যে দেয়। তা কেবল নিত্তনৈমিত্তিক নিজেদের/পরিবারের শুদ্ধতার জন্য।
আবার শহরে এসে দেখেছি আশে পাশে মোড়ে গলিতে রাজপথে কাছে পিঠে সর্বত্র মন্দির/মসজিদ দেখা যায়। গায়ে গায়ে। সেখানে নিয়মিত ভক্ত সমাগম হয়। মন্দিরে/মসজিদে দর্শন না করে বেশিরভাগ মানুষ কাজে বের হয় না। প্রতিদিন রীতিমত ঘটা করে সন্ধ্যারতি হয়। আজান হয়। প্রায় প্রতিটি ঘরে দেবতার জন্য একটু জায়গা ছেড়ে দেওয়া থাকে। ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে এরকম আরও বেশি হয়ে থাকে। সেখানে অন্তত একবার মাথা না নুইয়ে বেশিরভাগ পুরুষ এবং স্ত্রী কাজে বের হয় না। তবে গ্রামের দিকে চার্চ খুব একটা দেখা যায় না। শহরের ক্ষেত্রেও চার্চ সীমিত সংখ্যক দেখা যায়।
হিসেব করে দেখলে গ্রামের তুলনায় শহরে মন্দির/মসজিদ অনেক বেশি। ভক্ত সমাগম গ্রামের তুলনায় শহরে বেশি দেখা যায়। গ্রামের কোথাও কোথাও আশ্রম ইত্যাদি থাকলেও তাতে কেবলমাত্র বিশেষ পার্বণে ভক্ত সমাগম দেখা যায়। কিন্তু শহরে নানা রকমের আশ্রম দেখা যায়। প্রায় সব আশ্রম ধর্মের আশ্রয়ে গড়ে ওঠে।
এই সব আশ্রম চলে কেবলমাত্র ডোনেশনের উপর। এই ডোনেশন দেয় বেশির ভাগ শহরবাসী। শহরবাসী এই ডোনেশন দেয় ঈশ্বর/আল্লা/গডের উদ্দেশ্যে। আশ্রম অধিবাসী সে ভাবেই বেশি ডোনেশন পেয়ে থাকে।
যেমন ধরুন দুর্গাপূজা। গ্রামের বিশ তিরিশটা পঞ্চাশটা গ্রাম মিলে একটা দুর্গাপূজো হয়। সেখানে শহরে অগুনতি। অনেকটা ঘরে ঘরে পূজোর মত। তারপর তো অন্যান্য পূজো শহরে লেগেই আছে। যেখানে গ্রামে সমবেত গ্রামমণ্ডলী মিলে কিছু পূজো করে; না হলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে যেসব পূজোর আয়োজন করা হয় তা খুবই সীমিত।
আবার দুর্গাপূজোতে বা ঈদে নতুন জামাকাপড় কেনা ( তাও একটা নয় কারো কারো ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটা যা তাদের প্রয়োজনের জন্য নয়। শুধু মাত্র পূজোর সাজ) শহরেই প্রচলিত। সেখান থেকে আস্তে আস্তে গ্রামেও ঢুকে পড়ছে। তাও শহরের কালচারে মিশে যাওয়া মানুষ জনের হাত ধরে।
অন্য একটা যুক্তি আছে গ্রামের মানুষ কিপটে অথবা গরীব সেজন্য। কিন্তু যে জন্যই হোক উদ্দেশ্য থাকে দেবতা/আল্লা/গড ভাবনার সাথে জড়িয়ে।
এই পূজোতে যে উন্মাদনা থাকে তার দ্বিগুণ উন্মাদনা দেখা যায় প্রতিমা বিসর্জনে। রীতিমত রাস্তাজুড়ে ব্যাণ্ডপার্টি সহযোগে। অন্য সমস্ত পার্বণে দিনে রাতে ডি জের আসর বসে। এ সমস্তই সাধারনত শহরে দেখা যায়। গ্রামে এর প্রভাব পড়েই না। যদিও থাকে তা নিমিত্তমাত্র।
গ্রামের পুরোহিত পূজোর জন্য বিশেষ পার্বণ ছাড়া ডাক পায় না। অন্য সময় তাই তাদের যে যার যজ্জমান বাড়িতে গিয়ে কিছু চাল ডাল সংগ্রহ করতে হত। অন্যান্য কাজকর্ম করে। যেমন চাষবাস, হাতের কাজ, রাজমিস্ত্রী ইত্যাদি।
কিন্তু শহরের পুরোহিতদের( যদিও অনেকেই আজকাল গ্রাম থেকে শহরে চলে আসছে বা যাতায়াত করছে) বারমাস কাজ। নানান রকম আচার বিচারে পূজো লেগেই আছে। কোন কোন সময় বিশ্রাম নেওয়ার সময় পায় না। তখন হয়তো কোন বিশেষ পার্বণ নেই। তার মানে পূজো আচ্চা ধর্মাধর্ম শহরের হাওয়ায় ভালই ঘুরছে।
আর আছে আচার আচরণের পরে পুরোহিতকে/ধর্মাচরণের হোতাকে দক্ষিণা প্রদান। এই দক্ষিণা গ্রামের ক্ষেত্রে পরিমাণ খুবই কম। তবে গ্রহীতা বুঝতে পারেন সামর্থ্য অনুযায়ী এই যথেষ্ট। তাই বেশি একটু দাবী করে তবে না পেলেও মন শান্ত থাকে।
কিন্তু শহরে অনেক বেশি দক্ষিণা দিলেও গ্রহীতা বুঝতে পারেন এদের কাছে এ কিছুই না। কোন কোন ক্ষেত্রে এই দক্ষিণার পরিমাণ বেশ মোটা অঙ্কের হয়। কিন্তু সেই ভাবাবেগ বা ভক্তি ততটা বেশি থাকে না। যতটা না গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা যায়।
যে সব ধর্মাচরণ হোতা বাড়িতে বাড়িতে নিত্য পূজো করেন তারা জানেন তাও বাড়িতে বাড়িতে শহরের মন মানসে কিভাবে ভেতরে ভেতরে ভাঙন আরো স্পষ্ট ও মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বেড়ে যাচ্ছে। ফলে যে লোক রাস্তার ধর্মাচরণ শোভাযাত্রায় আটকে পড়ে উল্টোপাল্টা বলছে, সেইই পরের দিন ধর্মাচরণে রাস্তায় শোভা যাত্রা করছে।
গ্রামের ক্ষেত্রে এই ভাঙন অতটা ভেতরে প্রবেশ করে নি। ফলে ধর্ম ভাবনা যেমন আগে ছিল সেই ভাবেই আছে।
তবে হ্যাঁ, গ্রামের ক্ষেত্রে ডাইনি ভাবনা, তাবিজ, কবজ, মানত, দণ্ডকাটা, ছোট জাত, সম্ভ্রান্ত, সম্ভ্রান্তের মধ্যযুগীয় বিধান ইত্যাদি এখনও বেশ ভালোভাবে ছড়িয়ে আছে।
শহরের মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। একে অপরের সাথে বংশানুক্রমিকভাবে, পারিবারিকভাবে বা লোকাচারে যুক্ত থাকে না। তাই বিধান/সংস্কার একে অপরের উপর ফলাতে পারে না।
কিন্তু ধর্মাচরণের হাত ধরে জড়ি বুটি প্রকাশ্য রাজপথে বিভিন্ন রঙবেরঙের সুতোয় বেঁধে বিক্রি হচ্ছে। নিশ্চয় বিক্রিবাটা হচ্ছে। শহরের মানুষ ভালই পরছে।
গ্রামের কিছু জায়গায় এই রকম জড়িবুটি বিক্রি হয় কিংবা তান্ত্রিক/সাধু/ধর্মাধিকারীর হাত ধরে এসব দেখা যায়। মুছে যায় নি।
আজকাল তো মলের মধ্যে মন্দির কিংবা দেবতার স্থান রাখা হচ্ছে। যেকোন ছোটখাটো বাজারে অন্তত একটা/দুটো দশকর্ম্মার দোকান আছে। যেখানে পূজোর সমস্ত সামগ্রী পাওয়া যায়। শহরের এক দশকর্ম্মা ভাণ্ডারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম - শুধু এইসব সামগ্রী নিয়ে বসে আছেন সারাবছর চলে কি করে? পূজো তো কেবলমাত্র পার্বণে। উত্তর দিতে গিয়ে তিনি অবাক হয়েছিলেন - বলেন কি? এইসব সামগ্রী সারাবছর সমান বিক্রি। বিবাহ, অন্নপ্রাশন, উপনয়ন, শ্রাদ্ধ, নিত্যপূজো, মানতপূজো এবং পূজো লেগেই আছে। প্রতিদিন দোকান খুলতেই হয়। না হলে বাড়ি থেকে ডেকে আনবে।
একই কথা গ্রামের এক দশকর্ম্মা ভাণ্ডারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। উত্তরে তাঁর গলায় হতাশা। বললেন - ঠিকই বলেছেন দাদা। ফাঁকা সময়ে তাই এদিকে ওদিকে অন্য টুকটাক কাজ করি। কিছু মুদিখানার জিনিস রেখেছি। কিছু প্লাস্টিকের জিনিস রেখেছি। মোবাইল রিচার্জ করি। না হলে যে চলছে না।
এই হল আমাদের গ্রাম। এই হল আমাদের শহর। ধর্মাধর্মে টেক্কা দিচ্ছে একে অপরকে। সবাই ভাল আছে নিজেদের মত।
শহরের অলিতে গলিতে ফুলের দোকান। ছোট্ট একটা চট পেতে বসে পড়েছে। জিজ্ঞেস করলাম - আজকাল তো সব কাজে ফুল লাগে। কেমন বিক্রি? দোকানদার বললেন - সব কাজের জন্য ফুল কেনে, ঠিক কথা। কিন্তু পূজোর জন্য দৈনিক ফুল বিক্রি আছে তাই ব্যবসা চলছে। না হলে ব্যবসা লাটে উঠত।
গ্রামের ক্ষেত্রে দূরে দূরে বাজারে কিছু ফুল নিয়ে ব্যবসাদার বসে। তবে তা সীমিত। কিংবা অন্য ব্যবসার সাথে ফুল রেখেছে। দোকানদার বললেন - বিক্রি কম। প্রায়ই নষ্ট হয়। অনেকের বাড়িতে ফুল গাছ আছে। তাতেই চালিয়ে নেয়। তাছাড়া খাবার জোগাড়ে দিনাতিপাত; কে আর রোজ রোজ পূজো করে?
তাহলে গ্রামের তুলনায় শহরে বেশি পূজোআচ্চা/মন্দির /মসজিদ ও ধর্মাচরণ হয়। হাসপাতালের মধ্যে, স্কুল কলেজের সামনে, থানায় ঢোকার মুখে কোন না কোন উপাসনালয় দেখা যায়।
আবার যে কোন কুসংস্কার বা বিধান ধর্মের হাত ধরে সমাজে ছড়িয়ে পড়ে।
কোন দিন নিরামিষ খেতে হয়, কোন দিন একটু আমিষ খেতেই হয়, কোন দিন তর্পন, কোন দিন পুণ্যস্নান, কোন দিন পুণ্যদান, অমাবস্যা, পূর্ণিমা ইত্যাদি শহরের মানুষ বেশি খোঁজ রাখে। গ্রামের মানুষ যারা শহরমুখী ভাবনায় যুক্ত তারাও খোঁজ রাখে। গ্রামের গরীব মানুষ হয়তো খোঁজ রাখে কিন্তু সামর্থ্যে কুলোয় না। তাই নিরামিষের দিন যদি আমিষ কুড়িয়ে বাড়িয়ে পেয়ে যায় তাহলেও খেয়ে নেয়। কেন না আমিষের দিন যদি আমিষ না পায়। তাছাড়া সব দিনই তো নিরামিষ, ভাতে ভাত।
আবার শহরবাসীর ক্ষেত্রে বাড়িতে নিরামিষ কিন্তু বাইরে বেরিয়ে আমিষে আপত্তি থাকে না। কেন না প্রায়ই মিটিং কনফারেন্সে শহরবাসীকে অ্যাটেণ্ড করতে হয়।
তাছাড়া তর্পণ অর্পণে জন্য গঙ্গা বা অন্য কোন নদী গ্রামের মানুষ খুব সহজে পায় না। শহরবাসী এসব নিয়ম মেনে করে।
চারধাম, অমরনাথ, মক্কা মদিনা সাধারণ গ্রামবাসীর জন্য কি? ক'জন যেতে পারে। শহরবাসী এসবে বেশি প্রভাবিত। অনেকে তীর্থ দর্শনের চেয়ে ভ্রমণ দর্শনের কথা বলে থাকেন। তবে তা বাহানামাত্র। ব্যয় বহুল এই সব যাত্রায় শহরবাসীর প্রভাব দেখা যায়।
বাড়ির কোন অনুষ্ঠান, শুভারম্ভ, নতুন আগমন ইত্যাদি একেবারে তিথি নক্ষত্র সময় ধরে পূজাপাঠের মাধ্যমে সম্পন্ন করে শহরবাসী। গ্রামের মানুষ অতসব ভাবেই না। তারা যদিও এসব করে তা সম্পূর্ণ পুরোহিত/ধর্মাচরণ হোতার উপর নির্ভরশীল থাকে। তিনি যা বলেন তাতেই তাদের সম্মতি থাকে।
তার মানে এই বিধান/সংস্কার কোথায় বেশি পল্লবিত। শহরে নাকি গ্রামে?
আবার বিখ্যাত যোগী মহারাজ সাধু সন্ত সেবক কেউ অজ পাড়া গাঁয়ে কুটিরে বাস করে না। প্রত্যেকেই দেবতার স্থান সহযোগে বিলাস বহুলে বাস করে। কিংবা পুণ্য ধর্মস্থান। এসব একদিনে গড়ে ওঠে নি। আবার সাধারণ মানুষের দু চার টাকা দক্ষিণায় এ সমস্ত গড়ে ওঠা এবং পরবর্তীতে দেখাশুনা করা আদৌও সম্ভব নয়। নিয়মিত বিত্তবানদের যাতায়াতে ঈশ্বর/আল্লা/গডের সঙ্গে সাক্ষাৎ হোক না হোক আরাম আয়াসের অভাব হচ্ছে না।
এই বিত্তবানেরা শহরেই বাস করে। দু হাতে যত এধার ওধার কামাই করে ততই দান ধ্যানে নাম করে। যত অন্যাহ্য তত বেশি দান-পেটি ভর্তি। যত অন্যাহ্য তত কামাই। তাই অন্যাহ্য ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বাহবা পেয়ে যায় বেশি। "যা, জয় মা বা জয় বাবা বলে করে ফেল। ঈশ্বর/আল্লা/গড তো আছে। চিন্তা কি?"
গ্রামে আর অত কামাই কোথায়? ওই তো দু চারটে কলাটা মুলোটা। তাও যাদের আছে তাদের শহরমুখী ভাবনা। সেখান থেকে দু চার আনা দিলে কি দেব, বাবা, মাতাদের বিলাস বহুল আশ্রম গড়ে ওঠবে?
তাহলে কু/সু সংস্কার কোথায় বেশি? গ্রামে না শহরে।
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ১০০২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৮/১০/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • সাঁঝের তারা ২৯/১০/২০১৭
    যথার্থ...
  • সোলাইমান ২৯/১০/২০১৭
    অপূর্ব সুন্দর লিখেছেন প্রিয় কবি আন্তরিক শুভকামনা রইল
  • আজাদ আলী ২৮/১০/২০১৭
    Valo likhechen priy kobi
 
Quantcast