www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

কাকতালীয় যুক্তিতে কাকতাড়ুয়া হাসে

আমি দেখিলাম।
একটি কাক আকাশে উড়ে গেলো।
বেলটা গাছ হইতে পড়ে গেলো।
কাক উড়ে যাওয়া বেল পড়ার কারন(সিদ্ধান্ত)
আমি দেখিলাম

একটি বাবুই পাখি তাল গাছে বসলো।
তালটা মাটিতে ঝড়ে পড়লো।
বাবুই পাখি বসেছে তাই তাল পড়েছে(সিদ্ধান্ত)

বজ্র পাত হচ্ছিলো।
ঘরটা ভেজ্ঞে গেলো।
বজ্রপাত ঘর ভাঙ্গার কারন(যুক্তি সিদ্ধান্ত)


আর রহিমা বুরকা পড়ে ধর্ষিত।
করিমা হিজাব পড়ে ধর্ষিত।
বিল্কিস পর্দা করে ধর্ষিত।
সকল ধর্সনের কারন বুরকা।
তাই বুরকা বাদ দাও ( যুক্তি সিদ্ধান্ত)


এই ঘারতেড়া রগ ত্যারা রা জানে না। এই সব যুক্তি
আসলে ভুল আর কাকতালীয় যুক্তি।ভ্রান্ত যুক্তির উদাহরণ ছাড়া কিছু না।এরা মনে করে তারা একাই যুক্তিবিদ্যা বই পড়িয়াছে। বাকি সব মানুষ পাগল।
কেনো ? ধরুন।
প্যান্ট পড়ে কেউ মারা গেলো।
প্যান্ট পড়ে কেউ এক্সিডেন্ট করলো।
প্যান্ট একটা বিপদজনক পোশাক(সিদ্ধান্ত)
আমরা কি এমন করি?না। কারন এই যুক্তিগুলো ভ্রান্ত
এবং এখানে নীরিক্ষা করা হয়নি। ভালো করে দেখা হয়নি। সামান্য নীরিক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেতা হয়েছে।
১৬কোটি জনগণ। ১০,২০ টি সংখ্যাকেউ যদি নীরিক্ষা করি। তাহলেও যুক্তি এমন হয় না। যে প্যান্ট অনিরাপদ পোশাক। তাহলে হিজাব বা পর্দা কেনো??
কারব যারা বলে।তারা ঘার ত্যারা যুক্তিতে কথা বলে।
এরা নাস্তিকদের দ্বারা সাইকোলজিক্যালি মোটিভেটেড হয়ে গেছে। তাই সাদা কে সাদা দেখে না কালোকে কালো দেখে না।সত্যকে মিথ্যা দেখে। তাদের বিবেক বিক্রিত মোটিভেটেড করা।প্রেষিত করা বিবেক।তারা ইসলামেই ভুল খুঁজে পায়।তারা আমাদের সবাইকে সন্ত্রাসী ভাবতেই বেশি পছন্দ করে।কেনো অন্য কোন দেশে কি ধর্ষণ হয় না?সেখানে তো মেয়ে, মহিলা শিক্ষক রা ছেলেদের
ধর্ষণ করে। অস্ত্রবল, হাতিয়ার দেখিয়ে ভিডিও করে
। আর যতো অপরাধ সব আমাদের?? এদের আর কি বলবো।এদের যুক্তি দেখলে হাসি আসে। এখনো লেখছি আর হাসতেছি। পাগলের কত রঙ। এদের দেখে শিক্ষা নেয়া যায়।।।।
আসল কথা হল ধর্ষণের জন্য কি পোশাক দায়ী? না দায়ী আমাদের মন মানসিকতা? আমরা কি শিক্ষা নিচ্ছি?
পশ্চিমা যত ভুলভাল আর নগ্ন সংস্কৃতি।
উদাহরণ।
আগের দিনে (আমার ছেলেবেলা বা চাচা বাবা তাদের ছেলে বেলা শৈশব))) আমরা ছেলে মেয়ে এক সাথে গোল্লা ছুট চুর পুলিশ খেলা করতান। তখন কোন ছেলে মেয়েকে এতো বৈষম্য করতে দেখিনি। আমরা বন্ধু ভাবতাম। বিপরীত লিঙ্গ শব্দটা ভাবিনি কোনদিন। আর আমরা খেলার ছলে মারামারি করলেও কিছু ভাবিনি।কেউ কাউকে হেনস্ত করতেও দেখিনি। স্কুলে মেয়ে ছেলে একটা বন্ধুত্ব ছিলো।প্রেম করা শুরু হলেও সেটা স্কুলের গন্ডি পার হবার পর।
আর আজকের দিনে দেখুন।
ভারতের টিবি সিরিয়াল , নগ্ন নাচ আর
এডাল্ট ছবি বাচ্চাদের মগজে। তারা
৬বছর বয়সেই জানে বয় ফ্রেন্ড, গার্ল ফ্রেন্ড। ও ছেলে তার সামনে যাওয়া যাবে না।তাকে বন্ধু করলে চান্স নিবে। আরো কিসব। আপনারা কি এখনকার বাস্তবতা জানেন? ও ভাই #নারীবাদী জানো????
ক্লাস ত্রি + বয়স ৭, ৮। সে তার বয় ফ্রেন্ড নামক বস্তুটিকে বাসায় নিয়ে যায়।আর
১৮+কর্মে লিপ্ত হয়। এর জন্য কারা দায়ী??এখন বাচ্চা ছেলেটাও আন্টিদের মাল বলে গালি দেয়।আর বাচ্চা মেয়েটা
বড় ভাই চাচ্চুদের প্রেমে পড়ে। বলে অহ আমি ক্রাশ খাইছি। আমি ঘাস খাইছি।
পাতা লতা কতো কিছু খেয়ে ফেলে বাচ্চা বয়সেই।
এক ভাইয়ের কথা মনে পড়ে। তার ছাত্রী তার মেসে অনশন শুরু করেছিলো। বলে আমাকে বিয়ে করতে হবে। না হয় আমি মরে যাবো।।। হায় আফসুস মেয়েটি তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। সে বলে ভাইয়া এতো ভালো ছাত্র তাই তাকে আমি জামাই বানাইতে চাই।তাহলে আমাকে পড়া লেখা করতে হবে না। কষ্ট করে।
ভাইয়া তো চাকরি পাবেই।দেখুন দুধ খাওয়ার বয়সে কি ভাবে।।।
তাহলে আমরা কি ধরে নিবো??
থাক এসব কাকতালীয় যুক্তি। আমিও জানি। তবে এই কাকতালীয় কাজ টা আমাদের সুন্দর সমাজকে নষ্ট করে খাচ্ছে। ভারতের সিরিয়াল বা আগ্রাসী
# ক্রাইম পেট্টোল। সাবধান ইন্ডিয়া।
এসব দেখে আমাদের দেশে সেই কাজ গুলো বাড়ছে। আমরা কি বলতে পারি না?????পারি।।।
আগে তো আমাদের দেশে এমন ছিলো না। বন্ধু বন্ধুকে মারে। ভাই ভাইকে মারে
মা সন্তানকে মারে। এসব ই তো দেখায় তারা। পুত্রবধূ পরিবারের সবাইকে মারে আর দেবরকে নিয়ে পলায়ন।।। তাই
বলে কি আমরা সব ভাবিদের খুনি বলবো???
তাহলে আপনারা কি করে বলেন। বাবা, ভাইয়ের দিকে আংগুল তুলেন। বলেন
মা বোন কে তারা কি করতো।।।।আরে
ছাগলের মতো যুক্তি আমরা বুঝি।তবে
আফসুস সে সকল ভাইদের জন্য।যারা এখনো তোমাদের কথা শোনে মোটিভেটেড হয়।।।।।
আরেকটা যুক্তি খন্ডন দেখুন।
রহিম মৃত্যুর সময় লুঙ্গি পরিহিত ছিলো।
যদু হার্ট এটাকের সময় লুঙ্গি পড়ে ছিলো।
মধু এক্সিডেন্ট হওয়ার সময় লুঙ্গি পড়া ছিলো।
লালু খুন হল যখন তার পরনে লুঙ্গি ছিলো।
লুঙ্গি একটি বিপদজনক পোশাক।(সিদ্ধান্ত)
তাই নাকি ভাইজানেরা? আপনাদের যুক্তি অনুযায়ি এটা একটা স্ট্রং শক্তিশালী যুক্তি।কারন গ্রামের ১০০মানুষের যদি মৃত্যুর সময় দেখা যায়। দেখা যাবে ৯০জন মরার সময় লুঙ্গি পরিহিত ছিলো।বা চর দখল করতে যেয়ে যারা খুন হয় তারাও পরনে লুঙ্গি।
তাহলে কি বলতে পারি? এই লুঙ্গি একটি বিপদজনক পোশাক।
না আমরা আপনাদের মতো এতো ঘার ত্যারা না। আমরা জানি এটা কার্জ ও কারন আলাদা। সিদ্ধান্ত, ও কার্জ
এর সাথে কারিনের মিল নাই।সব ক্ষেত্রে মিল নাই। নীরিক্ষাতে ভুল আছে। অনীরিক্ষিত রয়ে গেছে।
আরো একটা যুক্তি।
বলিউডে ক নায়িকা বয়সে ছোট একজনকে বিয়ে করেছে।
# খ নায়িকা বয়সে কম ছেলের সাথে প্রেম ও বিয়ে করেছে।
# গ নায়িকা তার কম বয়সীকে বিয়ে করেছে।
বলিউডে সকল নায়িকা বয়সে ছোট পুরুষকে বিয়ে করে।(সিদ্ধান্ত)
হল এই যুক্তি? এটা কি সঠিক? সবাই কি করে??
আরেকটা।
গ ও ঘ শিল্পী প্রেম করে বিয়ে করে সংসার টিকেনি।
ব ও ভ এর সংসার টিকেনি প্রক্রিয়াগত কারনে।
জ ও ঝ এর সংসার ও টিকেনি প্রক্রিয়া ঘটিত কারনে।
সকল অভিনেতা অভিনেত্রী রা বিয়ে বহির্ভূত প্রক্রিয়া তে লিপ্ত(সিদ্ধান্ত)
আপনি এই যুক্তি মানেন??আমি মানি না।কারন এখানে সব উলটা পালটা।
কারন কার্জ, কোন মিল নাই।কয়েকটি মাত্র নীরিক্ষণ। আরো কত শত ভুল।
তাহলে পর্দা নিয়ে এতো মাথা ব্যথা কেনো????
আপনার ভালো লাগে না??? এই জন্য।
ভালো আপনাকে মানতে হবে না।এমনিতেই অনেক আছে যারা পর্দা করে না।
আর যারা করে তাদের করতে দিন।যারা মানে তাদের মানতে দিন।সন্ত্রাসী, সয়তান বলবেন না। মূর্খ কারা তা একটু
পরীক্ষা আর নীরিক্ষা করলেই দেখা যায়।
# আসল কথা হল আপনারা কার বিচার চান?পোশাকের? নাকি অপরাধীর?কার বিচার চাওয়া উচিত? পোশাকের নাকি অপরাধীর?দুই শ্রেণীর লোক যারা পোশাক নিয়ে কথা বলে।
১)যদি ধর্ষিতা মেয়ে হিজাব /বোরকা পড়ে ধর্ষিত হয় তবে নাস্তিকরা বলে দেখলা আস্তিক ভাই? হিজাব মেয়েটাকে রক্ষা করতে পারলো না।হিজাবের কোন দরকার নাই।
২)আর যদি ধর্ষিতা মেয়ে যদি প্রগতিশীল ;আধুনিক পোশাকে থাকে তবে আমাদের কিছু ভাই বলে। তার গায়ে ভালো পোশাক ছিলো না। তাই এমন হয়েছে।
কেউ বলেনা আগে বিচার হোক। পোশাক যেটাই হোক।বিচার ধর্ষণকারীর হবে। কথায় কথায় যারা পর্দাপ্রথার বিরোধিতা করে তারা কার বিচার চায় কে জানে।।।যাও সব পোশাককে জেল খানাতে বন্দি করে রাখো।না হয় শাহবাগ মোরে দেশের সব পোশাক কে শাস্তি দিয়ে জালিয়ে ফেলো।দরকার নাই তোমাদের পোশাকের। তারপর গান গাও
আমি পাগল, ভবের পাগল।।


আমি জানি এই যুক্তি ব্যাখ্যা গুলো দুর্বল। তবে তোমাদের যুক্তিগুলো কিন্তু যুক্তিগত কোন ভিত্তি দেখিনা।

আর যারা ধর্ষণ এর প্রধান কারন পোশাক আর বোরকা এই
কথা বলে এই দুই শ্রেণীর মানুষকেই বলবো পোশাক নয়।


সামাজিক শিক্ষার অভাব। সামাজিক অবক্ষয়, আর
ভারতীয় এডাল্ট সিরিয়াল গুলোর আগ্রাসন। পশ্চিমা সংস্কৃতি এর জন্য দায়ী। ধর্মীয় শিক্ষার অভাব আছে সাথে আছে কিছু পশুদের ধর্ম না মানার অপরাধ।যারা ভাবে শুধু নারীকুল
ধর্ম মানিবে। নারীরাই শালীন পোশাক পড়বে। নারীরা শুধু
বোরকা পরবে তারা দায়ী এসবের জন্য। দায়ী কিছু পাপী।
বোরকা দায়ী না।


পুরুষকেও বলা হয়েছে নিজেকে কন্ট্রোল করে রাখার জন্য।
নিজের দৃষ্টিকে, নিজের খারাপ চিন্তাকে সামলে রাখার জন্য।
নারীকে সম্মান দেয়ার কথা আছে কুরানে। পুরুষের শালীন পোশাকের কথাও আছে।।।।আছে সবার অধিকার রক্ষার কথা।


তাই শুধু বোরকার বিরোধিতা করে আপনারা বুদ্ধিবান হয়ে যাবেন না।হয়ে যাবেন না কোন বিশেষ কেউ। যুক্তি দেখাতে হয়।
ভালো যুক্তি দেখান।অপরাধীর শাস্তি দাবি করে যুক্তি তুলে ধরুন। ভুলে ভরা যুক্তি নিয়ে ধর্মকে আক্রমণ করা বাদ দিন।
আপনারা জ্ঞান বিজ্ঞানে অনেকে পি এইস ডি করা। তাদের জ্ঞান মাওনবতার কল্যানে লাগান। শুধু এক চেটিয়া বিরুধিতা করে কি পাবেন? কি আছে এই সংঘাত পূর্ণ সম্পর্কে?



কিছু কথা-------




ধর্ষণ, উত্যক্ত হওয়ার সাথে হিজাবের অবস্থানটা কী সেটা অনেকেই জানতে চায়। হিজাব নিয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করে বলে থাকে, বোরকা পরলে ধর্ষণ হয় কেন?


অনেকে আবার শিশু ধর্ষণের দুঃখজনক ঘটনাগুলোর পর সব ক্ষোভ হিজাবের ওপর ঝাড়তে গিয়ে বলে, দুই বছরের বাচ্চাকেও বোরকা পরতে হবে নাকি?
হিজাবের সাথে ধর্ষণের কোনো সম্পর্ক নেই। ধর্ষক পোশাক দেখে ধর্ষণ করে না। বোরকা পরার পরেও ধর্ষণ হয়। বোরকা পরলে ধর্ষণ করা হবে না, এমন কথা কোথাও বলা হয় নি।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,

"হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।"



বাংলাদেশে পর্দা করেন কিংবা বোরকা পরেন এমন নারীর সংখ্যা নগন্য নয়। মুসলিম নারীদের অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ পর্দা করেন। দেশের যে কোনো প্রান্তে গেলেই অহরহ চোখে পড়ে বোরকা পরা নারী। সন্দেহ নেই বোরকা পরা নারীকে অন্য যে কোনো পোশাক পরিহিত নারীর চেয়ে শালীন ও সমীহযোগ্য দেখায়। তাদের দেখলে কেবল অসুস্থ মানসিকতার লোকরা ছাড়া সবাই মনে মনে শ্রদ্ধা বোধ করেন। মুসলিম সমাজে পথে-ঘাটে তাদের সম্মান দেখানো হয়। গাড়িতে সিট না পেলে বেপরোয়া তরুণরাও তাদের জন্য নিজের আসন ছেড়ে দেয়। যারা সত্যিকার পর্দা করেন রাস্তা-ঘাটে তাদের পিছু লাগে না বখাটে যুবকরাও। এটিই বাংলাদেশের স্বাভাবিক চিত্র।



প্রশ্ন????????
#তবে যারা এই পর্দা থাকার পরেও নোংড়া কাজ করে।নারীকে
সম্মান দেয় না। তারা তো জাগ্রত মাতাল।তারা পর্দার ই কি বুঝে আর পর্দাবিহীনতাই কি বুঝে। এদের স্থান হওয়া দরকার পাগলা গারদ না হয় জেল খানা। এরা তো মানুষ না পশু। এদের জন্য ধর্ম পরায়ণ মানুষ পর্দা ছেড়ে দিবে কেনো??




তবে বাংলাদেশের এই স্বাভাবিক চিত্রের উল্টোপিঠও আজকাল দেখা যাচ্ছে। এ যুগের বোরকা পরা মেয়েদের পেছনেও ইদানীং বখাটে ছেলেরা ঘুরঘুর করছে। বোরকা হেফাযতের কারণ হওয়ার পরও অনেক বোরকাবৃতা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। গৃহবধূ থেকে নিয়ে স্কুল-কলেজ এমনকি মাদরাসার ছাত্রীরাও সাম্প্রতিককালে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন। তারাও আজকাল খবরের শিরোনাম হচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে আসলে স্বতন্ত্রভাবে ভাবা দরকার।




বিশ্বব্যাপী ইসলামের পর্দা বিধানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, দেশীয় মিডিয়াগুলোয় বোরকাকে নেতিবাচকভাবে বিরামহীন উপস্থাপন, সর্বোপরি কিছু লোক বোরকাধারীর সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করে যা দিনদিন বেড়ে চলেছে।।বোরকার প্রতি এক শ্রেণীর মানুষের বিরূপ মনোভাব গড়ে উঠছে।

মিডিয়ার বিষয়টি বাদ দিলে তথাকথিত এই লোকেরা বোরকার প্রতি ঘৃনা প্রকাশ করতে বোরকাওয়ালীদের সাথে খারাপ আচরণ করে। মূলত দায়ী সম্প্রতি একটি শ্রেণীর বোরকাবিরোধী কটু বাক্য উচ্চারণে অভ্যস্তকরণে ।
এদের কারণে অনেক সময় প্রকৃত পর্দাশীল নারীদেরও দুষ্টু লোকের অশিষ্ট মন্তব্য হজম করতে হয়। নিজের মতো বোরকা পরা একটি মেয়েকে নষ্টামি করতে দেখে কে না লজ্জায় অধোবদন হন। মানুষের সামনে আড়ষ্ট হয়ে ভেতরে হায় হায় করেন।
এরা ধর্মকেও করে অপমান আর এর চিনহ সরুপ হাসপাতাল, স্কুলে বোরকা ধারীদের সাথে খারাপ আচরণ করে কিছু লোক।যা প্রচার পায়না।




#সবশেষে একটা কথা বলতে চাই।কোন পোশাক ধর্ষণের জন্য দায়ী নয়।এবং কি হিজাব বা বোরকা ও নয়। যারা কালপ্রিট ও সয়তান তারা যে কাউকে যে কোব পোশাকে ধর্ষণ করতে পারে।যারা বোরকা পড়ে তাদের কে হেয় করে অপমান করা থেকে বিরত থাকুন আর যেখানে সেখানে বিদ্বেষ ছড়ানো বাদ দিন। বোরকা পর্দা এই জিনিস ধর্মপ্রাণ মানুষের আমল আর আখলাক। তা তারা পালন করুক করতে দিন। আর যারা অন্য ধর্ম মানে বা নাস্তিক তাদের আমরা চাপিয়ে দিতে চাই না।
তারা তাদের বিষয় ভালো বুঝেন।

পোষাক নয়। মানসিকতা পরিবর্তন করুন।ইসলাম ধর্ম সহ সকল ধর্ম কে সম্মান দিতে শিখুন। হিজাব যারা ব্যবহার করে তারা সন্ত্রাসী না । বা যারা পাঞ্জাবী পড়ে তারা শিবির না সবাই
আই এস নয়।।। আমরাও মানুষ। কিছু খারাপ লোক সব সমাজেই থাকে। তাদের বাছাই করে বিচার করা

সময়ের দাবী।।।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৮৮৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০১/০৪/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • আনাস খান ০১/০৪/২০১৮
    ধন্যবাদ প্রিয় ভাই
  • আব্দুল হক ০১/০৪/২০১৮
    বেশ!
  • অপবাদ
    ♦♦♦♦♦♦♣♣
    ২৪) সূরা আন-নূর ( মদীনায় অবতীর্ণ ), আয়াত সংখাঃ ৬৪
    আন-নূর (আলো)


    (4) যারা সতী-সাধ্বী নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে অতঃপর স্বপক্ষে চার জন পুরুষ সাক্ষী উপস্থিত করে না, তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত করবে এবং কখনও তাদের সাক্ষ্য কবুল করবে না। এরাই না’ফারমান।


    (5) কিন্তু যারা এরপর তওবা করে এবং সংশোধিত হয়, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম মেহেরবান।


    (6) এবং যারা তাদের স্ত্রীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে এবং তারা নিজেরা ছাড়া তাদের কোন সাক্ষী নেই, এরূপ ব্যক্তির সাক্ষ্য এভাবে হবে যে, সে আল্লাহর কসম খেয়ে চারবার সাক্ষ্য দেবে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী।
    (7) এবং পঞ্চমবার বলবে যে, যদি সে মিথ্যাবাদী হয় তবে তার উপর আল্লাহর লানত।


    (8) এবং স্ত্রীর শাস্তি রহিত হয়ে যাবে যদি সে আল্লাহর কসম খেয়ে চার বার সাক্ষ্য দেয় যে, তার স্বামী অবশ্যই মিথ্যাবাদী;
    (9) এবং পঞ্চমবার বলে যে, যদি তার স্বামী সত্যবাদী হয় তবে তার ওপর আল্লাহর গযব নেমে আসবে।


    (10) তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকলে এবং আল্লাহ তওবা কবুল কারী, প্রজ্ঞাময় না হলে কত কিছুই যে হয়ে যেত।



    (11) যারা মিথ্যা অপবাদ রটনা করেছে, তারা তোমাদেরই একটি দল। তোমরা একে নিজেদের জন্যে খারাপ মনে করো না; বরং এটা তোমাদের জন্যে মঙ্গলজনক। তাদের প্রত্যেকের জন্যে ততটুকু আছে যতটুকু সে গোনাহ করেছে এবং তাদের মধ্যে যে এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে, তার জন্যে রয়েছে বিরাট শাস্তি।




    (12) তোমরা যখন একথা শুনলে, তখন ঈমানদার পুরুষ ও নারীগণ কেন নিজেদের লোক সম্পর্কে উত্তম ধারণা করনি এবং বলনি যে, এটা তো নির্জলা অপবাদ?



    (13) তারা কেন এ ব্যাপারে চার জন সাক্ষী উপস্থিত করেনি; অতঃপর যখন তারা সাক্ষী উপস্থিত করেনি, তখন তারাই আল্লাহর কাছে মিথ্যাবাদী।
    (14) যদি ইহকালে ও পরকালে তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকত, তবে তোমরা যা চর্চা করছিলে, তজ্জন্যে তোমাদেরকে গুরুতর আযাব স্পর্শ করত।
    (15) যখন তোমরা একে মুখে মুখে ছড়াচ্ছিলে এবং মুখে এমন বিষয় উচ্চারণ করছিলে, যার কোন জ্ঞান তোমাদের ছিল না। তোমরা একে তুচ্ছ মনে করছিলে, অথচ এটা আল্লাহর কাছে গুরুতর ব্যাপার ছিল।
    (16) তোমরা যখন এ কথা শুনলে তখন কেন বললে না যে, এ বিষয়ে কথা বলা আমাদের উচিত নয়। আল্লাহ তো পবিত্র, মহান। এটা তো এক গুরুতর অপবাদ।
    (17) আল্লাহ তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন, তোমরা যদি ঈমানদার হও, তবে তখনও পুনরায় এ ধরণের আচরণের পুনরাবৃত্তি করো না।
    (18) আল্লাহ তোমাদের জন্যে কাজের কথা স্পষ্ট করে বর্ণনা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
    (19) যারা পছন্দ করে যে, ঈমানদারদের মধ্যে ব্যভিচার প্রসার লাভ করুক, তাদের জন্যে ইহাকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে। আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না।
  • Mahbubur Rahman ০১/০৪/২০১৮
    সুন্দর
  • শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
    (1) এটা একটা সূরা যা আমি নাযিল করেছি, এবং দায়িত্বে অপরিহার্য করেছি। এতে আমি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা স্মরণ রাখ।

    (2) ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।


    (3) ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী অথবা মুশরিকা নারীকেই বিয়ে করে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষই বিয়ে করে এবং এদেরকে মুমিনদের জন্যে হারাম করা হয়েছে।
  • কি বলা যায়। যে আপনি কোন ভালো মহিলাকে অপবাদ দিতে পারেন না।।।।।
  • (20) যদি তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকত এবং আল্লাহ দয়ালু, মেহেরবান না হতেন, তবে কত কিছুই হয়ে যেত।
    (21) হে ঈমানদারগণ, তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। যে কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তখন তো শয়তান নির্লজ্জতা ও মন্দ কাজেরই আদেশ করবে। যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া তোমাদের প্রতি না থাকত, তবে তোমাদের কেউ কখনও পবিত্র হতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পবিত্র করেন। আল্লাহ সবকিছু শোনেন, জানেন।
    (22) তোমাদের মধ্যে যারা উচ্চমর্যাদা ও আর্থিক প্রাচুর্যের অধিকারী, তারা যেন কসম না খায় যে, তারা আত্নীয়-স্বজনকে, অভাবগ্রস্তকে এবং আল্লাহর পথে হিজরতকারীদেরকে কিছুই দেবে না। তাদের ক্ষমা করা উচিত এবং দোষক্রটি উপেক্ষা করা উচিত। তোমরা কি কামনা কর না যে, আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম করুণাময়।
    (23) যারা সতী-সাধ্বী, নিরীহ ঈমানদার নারীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারা ইহকালে ও পরকালে ধিকৃত এবং তাদের জন্যে রয়েছে গুরুতর শাস্তি।
    (24) যেদিন প্রকাশ করে দেবে তাদের জিহবা, তাদের হাত ও তাদের পা, যা কিছু তারা করত;
    (25) সেদিন আল্লাহ তাদের সমুচিত শাস্তি পুরোপুরি দেবেন এবং তারা জানতে পারবে যে, অল্লাহই সত্য, স্পষ্ট ব্যক্তকারী।
    (26) দুশ্চরিত্রা নারীকূল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষকুল দুশ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। সচ্চরিত্রা নারীকুল সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। তাদের সম্পর্কে লোকে যা বলে, তার সাথে তারা সম্পর্কহীন। তাদের জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা।
    (27) হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত আলাপ-পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না কর। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম, যাতে তোমরা স্মরণ রাখ।
    (28) যদি তোমরা গৃহে কাউকে না পাও, তবে অনুমতি গ্রহণ না করা পর্যন্ত সেখানে প্রবেশ করো না। যদি তোমাদেরকে বলা হয় ফিরে যাও, তবে ফিরে যাবে। এতে তোমাদের জন্যে অনেক পবিত্রতা আছে এবং তোমরা যা কর, আল্লাহ তা ভালোভাবে জানেন।
    (29) যে গৃহে কেউ বাস করে না, যাতে তোমাদের সামগ্রী আছে এমন গৃহে প্রবেশ করাতে তোমাদের কোন পাপ নেই এবং আল্লাহ জানেন তোমরা যা প্রকাশ কর এবং যা গোপন কর।
    (30) মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
    (31) ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
    (32) তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।
    (33) যারা বিবাহে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন। তোমাদের অধিকারভুক্তদের মধ্যে যারা মুক্তির জন্য লিখিত চুক্তি করতে চায়, তাদের সাথে তোমরা লিখিত চুক্তি কর যদি জান যে, তাদের মধ্যে কল্যাণ আছে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে, অর্থ-কড়ি দিয়েছেন, তা থেকে তাদেরকে দান কর। তোমাদের দাসীরা নিজেদের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য কারো না। যদি কেহ তাদের উপর জোর-জবরদস্তি করে, তবে তাদের উপর জোর-জবরদস্তির পর আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
    (34) আমি তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করেছি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ, তোমাদের পূর্ববর্তীদের কিছু দৃষ্টান্ত এবং আল্লাহ ভীরুদের জন্যে দিয়েছি উপদেশ।
    (35) আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের জ্যোতি, তাঁর জ্যোতির উদাহরণ যেন একটি কুলঙ্গি, যাতে আছে একটি প্রদীপ, প্রদীপটি একটি কাঁচপাত্রে স্থাপিত, কাঁচপাত্রটি উজ্জ্বল নক্ষত্র সদৃশ্য। তাতে পুতঃপবিত্র যয়তুন বৃক্ষের তৈল প্রজ্বলিত হয়, যা পূর্বমুখী নয় এবং পশ্চিমমুখীও নয়। অগ্নি স্পর্শ না করলেও তার তৈল যেন আলোকিত হওয়ার নিকটবর্তী। জ্যোতির উপর জ্যোতি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ দেখান তাঁর জ্যোতির দিকে। আল্লাহ মানুষের জন্যে দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন এবং আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
    (36) আল্লাহ যেসব গৃহকে মর্যাদায় উন্নীত করার এবং সেগুলোতে তাঁর নাম উচ্চারণ করার আদেশ দিয়েছেন, সেখানে সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে;
    (37) এমন লোকেরা, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে, নামায কায়েম করা থেকে এবং যাকাত প্রদান করা থেকে বিরত রাখে না। তারা ভয় করে সেই দিনকে, যেদিন অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ উল্টে যাবে।
    (38) (তারা আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করে) যাতে আল্লাহ তাদের উৎকৃষ্টতর কাজের প্রতিদান দেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও অধিক দেন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অপরিমিত রুযী দান করেন।
    (39) যারা কাফের, তাদের কর্ম মরুভুমির মরীচিকা সদৃশ, যাকে পিপাসার্ত ব্যক্তি পানি মনে করে। এমনকি, সে যখন তার কাছে যায়, তখন কিছুই পায় না এবং পায় সেখানে আল্লাহকে, অতঃপর আল্লাহ তার হিসাব চুকিয়ে দেন। আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।
    (40) অথবা (তাদের কর্ম) প্রমত্ত সমুদ্রের বুকে গভীর অন্ধকারের ন্যায়, যাকে উদ্বেলিত করে তরঙ্গের উপর তরঙ্গ, যার উপরে ঘন কালো মেঘ আছে। একের উপর এক অন্ধকার। যখন সে তার হাত বের করে, তখন তাকে একেবারেই দেখতে পায় না। আল্লাহ যাকে জ্যোতি দেন না, তার কোন জ্যোতিই নেই।
    (41) তুমি কি দেখ না যে, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যারা আছে, তারা এবং উড়ন্ত পক্ষীকুল তাদের পাখা বিস্তার করতঃ আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে? প্রত্যেকেই তার যোগ্য এবাদত এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণার পদ্ধতি জানে। তারা যা করে, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।
 
Quantcast